নিজেকে সুস্থ রাখতে সহজ -১২টি উপায়

স্বাস্থ্য সচেতনতার মাধ্যমে বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার ফলে নিজেকে সুস্থ রাখতে পারা যায়। সুস্থ থাকার জন্য খেতে হবে পুষ্টিকর ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। পুষ্টিকর ভিটামিন ফল ও শাকসবজি। কিছু নিয়ম মেনে চললে সুস্থ সুস্বাস্থ্য অধিকারী হওয়া যায়।

আমাদের আর্টিকেলটিতে নিজেদের সুস্থ রাখার জন্য যে সকল নিয়ম মেনে চলা উচিত। এবং যে সকল শাকসবজি খাওয়া প্রয়োজন তা সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আশা করি শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। তাহলে নিজেকে সুস্থ কিভাবে রাখতে হয় সে সম্পর্কে সঠিক নিয়ম জানতে পারবেন।

পেজ সূচিপত্রঃ নিজেকে সুস্থ রাখতে সহজ উপায়

নিজেকে সুস্থ রাখতে সহজ উপায়

নিজেকে সুস্থ রাখতে সহজ উপায়? সুস্থ থাকার জন্য খেতে হবে পুষ্টিকর খাবার, মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যকর নিয়ম। যে সকল পুষ্টিকর খাবার ভিটামিন এবং নিয়মিত কিছু নিয়ম মেনে চলার মাধ্যমে সুস্থ থাকা যায়। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য যে সকল খাবার তালিকা বিভিন্ন মৌসুমী শাকসবজি, ফলমূল। আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। যে সকল খাবার খেলে আমাদের শরীর সুস্থ থাকে সে সকল খাবার সম্পর্কে আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।

প্রতিটি মানুষ চায় সুস্থ থাকতে। সুস্থতা আল্লাহর অশেষ নেয়ামত। যা সবাই পায়না, সুস্থ থাকলে হলে কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলা উচিত। নিয়ম কানুন মেনে চলার পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার ও শাকসবজি খাওয়া উচিত। তাহলে সুস্থ থাকা সম্ভব। যে সকল নিয়ম কানুন মেনে চললে সুস্থ সবল জীবন পাওয়া যায় তা নিচে আলোচনা করা হলোঃ

ব্যায়াম করার মাধ্যমে

ব্যায়াম করার মাধ্যমে? নিয়মিত শরীর চর্চা মাধ্যমে শরীর সুস্থ থাকে। শরীরের রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে ব্যায়াম করার প্রয়োজন। দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে, রক্তচাপ স্বাভাবিক করতে, চর্বিহীন পেশি উন্নত করতে, কোলেস্টেরল কমাতে হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে ব্যায়াম করা জরুরী।
নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীর সুস্থ রাখতে পারেন। আপনাকে ফিট এবং সুস্থ থাকার জন্য ব্যায়াম করা জরুরী। খোলা জায়গা একটু জয়েন করতে পারেন বাচ্চাদের সাথে পার্কে একটু হাটাহাটি করতে পারেন।

দড়িতে লাফ খেলতে পারেন খেলাধুলা করতে পারেন দৌড়াতে পারেন ইত্যাদির মাধ্যমে শরীর সুস্থ রাখতে পারেন। ব্যায়াম আপনার শরীরে এন্ড্রোসফিন রিলিজ করে। যা সামগ্রিকভাবে আপনার শারীরিক ও মানসিক সুস্থতাকে রক্ষা করে। নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে শরীর ফিট থাকে, শরীর সুস্থ থাকে উদ্যোগ এবং মানসিক অসুস্থতার ঝুঁকি কমে।

আরো পড়ুনঃ মেয়েদের ওজন কমানোর জন্য উত্তম ডায়েট চার্ট

সঠিক স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খান

সঠিক স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খান? সারাদিনের কর্মব্যস্ততার মধ্যে সর্বদা আমরা বাহিরের খাবার কে প্রাধান্য দিয়ে থাকি। আসলে আমরা সবাই জানি যে বাহিরের খাবার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকারক। অতিরিক্ত ক্ষতিকারক হওয়া সত্ত্বেও আমরা বাহিরের খাবার খাওয়ার চাহিদা এটাই বেশি দেখিয়ে থাকি। অন্তত আমাদের স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত। সারাদিনই পাঁচটি সবজির খাওয়ার অভ্যাস করা যেতে পারে। সেগুলো হল পছন্দ মত কাঁচা সবজি বা সেদ্ধ সবজি বা ভাজা কিংবা রান্না করা সবজি খেতে পারেন।


ডায়েটে প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজির পরিমাণ বেশি হলে ফুসফুস, কোলন, জরায়ু, খাদ্যনালী, পাকস্থলী, মূত্রাশয়, অগ্ন্শ্য়ায় এবং ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকে কমাতে সাহায্য করে। আবার বেশিরভাগ সময়ে সঠিক খাবার খাওয়ার ফলে ওজন দ্রুত হ্রাস পেতে থাকে। কারণ বেশিরভাগ মানুষেরই অতিরিক্ত ওজন হওয়ার ফলে অসুস্থতায় ভুগতে হয়। অতিরিক্ত অস্বাস্থ্যকর খাদ্য এড়িয়ে চলাই ভালো। তাহলে আপনি সুস্থ থাকবেন। আপনার খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিন সে সকল খাবার আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকারক।
 
ক্ষতিকার  খাদ্যভাস মানব দেহে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যে সকল খাবার খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে তা হলঃ ঠান্ডা পানীয় জাতীয় খাবার, ক্যান্ডি চিপস এ জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন। শরীরে পুষ্টির যোগান দেয়ার বদলে শরীরে বেশি ক্যালোরি পৌঁছে দেয়। চা এবং কফি জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা কতটা পরিমানযুক্ত খাবার গ্রহণ করছেন সে বিষয়ে খেয়াল রাখা প্রয়োজন। প্রতিদিন যদি আপনি দুই কাপের বেশি চা কিংবা কফি খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে। 

ওজনের ব্যাপারে মনোযোগ দিন

যদিও সকলের শরীরের আকার, আয়তন, ওজন এক নয় তবে শরীরের ওজন ঠিক রাখার জন্য যে সকল উপায় গুলো মেনে চলা উচিত তার প্রধানই হল আদর্শ খাবার তালিকা। আদর্শ খাবার তালিকার মাধ্যমে ওজন দ্রুত কমানো সম্ভব। কেননা খাদ্য ভাসে অস্বাস্থ্যকর খাদ্য খাওয়ার কারণে ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পাই। ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে জটিল রোগের মত ব্যাধি বাসা বাধতে শুরু করে। যা মোটেও আমাদের শরীরের জন্য ভালো না। ওজন কমানোর অনেক উপায় রয়েছে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সব ঠিক নিয়ম মেনে আপনি দ্রুত ওজন কমাতে পারেন। অতিরিক্ত ফ্যাট জাতীয় খাবার চিনি জাতীয় খাবার বর্জন করা প্রয়োজন। তাহলে আপনার ওজন বৃদ্ধি পাওয়া থেকে মুক্তি পাবে।

সঠিক লক্ষ্য তৈরি করুন

সঠিক এবং স্বাস্থ্যসম্মত স্বাস্থ্য গড়ে তোলা এত সহজ নয়। ছোটখাটো লক্ষ্য তৈরি করুন এক কথায় লাইক চ্যাট। সঠিক লক্ষ্য তৈরি করে লক্ষ্য স্থির রাখার চেষ্টা করুন। অপ্রয়োজনীয় অভ্যাসগুলোকে একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাসে পরিণত করুন। প্রধানত যে সকল নিয়মকানুন মেনে চলে আপনি আপনার সঠিক লক্ষ্য এবং অভ্যাসে পরিণত করতে পারবেন তা হলঃ এক গ্লাস ঠান্ডা পানির বদলে বেছে নিন ২ গ্লাস পানি। সঠিক লক্ষ্য গুলো একদিন আপনাকে বড় লোককে পৌঁছাতে সাহায্য করবে এবং সঠিক দিক নির্দেশনায় আপনাকে সঠিক পথ দেখাতে সাহায্য করবে।

অ্যালকোহল ও তামাক খাওয়া থেকে বিরত থাকুন

অ্যালকোহল ও তামাক খাওয়া থেকে বিরত থাকুন? অ্যালকোহল শরীরের টক্সিন এর পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। যার ফলে হৃৎপিণ্ড এবং ফুসফুসের গতি অনিয়মিত করে তোলে। যা মানব দেহের জন্য অনেকটাই ক্ষতিকারক। মস্তিষ্ক নিজেকে তুরান্বিত করে ফেলে এবং লিভার বিপাক করার চেষ্টা করে তোলে। মানসিক স্বাস্থ্য, ওজন দ্রুত বৃদ্ধি, ঘুমের উপর প্রভাব, ক্যান্সার ইত্যাদি রোগের ঝুঁকি বাড়াই। অ্যালকোহলের পাশাপাশি তামাকজাতীয় দ্রব্য খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে, কেননা ধূমপান বন্ধ করার কঠিন ঠিকই। 


তারপরও ধূমপান খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। ধূমপান হলো ক্যান্সারের অন্যতম কারণ যা চাইলে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। পুরুষদের মধ্যে ক্যান্সারে ৫০% ধূমপানের সঙ্গে জড়িত। আপনার যদি এই ধূমপান খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত না রাখতে পারেন। তাহলে আপনার শরীরে জটিল ব্যাধি বাসা বাধতে শুরু করে। নিজে নিজে যদি ধূমপান বর্জন করতে না পারেন। বা খাওয়া থেকে বিরত না নিজেকে রাখতে পারেন। তাহলে কোন সংস্থার সাথে যোগাযোগ করুন যারা ছাড়তে আপনাকে সাহায্য করবে।

মেডিটেশন করার উপকারিতা

মেডিটেশন বা ধ্যানের উপকারিতা গুলো ব্যাপক রয়েছে। কেননা ধ্যানের মাধ্যমে শরীরের লক্ষ্য স্থির রাখে এবং ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে অনুশীলন, মরণশীলতা, মস্তিষ্ককে স্থির রাখা ইত্যাদি মেডিটেশন এর মাধ্যমে হয়ে থাকে। এটি মানসিক চাপ কমায় আমাদের শরীরকে ভালোভাবে সংযোগ স্থাপনে সাহায্য করে। নিজের প্রতি সদয় হওয়া মাধ্যমে জীবনে বদ অভ্যাসের পরিবর্তনের জন্য অন্তত মেডিটেশন করা প্রয়োজন। তাহলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে, সুস্থ থাকে।

নিয়মিত ডাক্তারের কাছে যান

নিয়মিত ডাক্তারের কাছে যান? আপনি পুরোপুরি সুস্থ আছেন কিনা সেটা একমাত্র ডাক্তারি বলে দিতে পারে। বেশিরভাগ মানুষ ডাক্তারকে বিশ্বাস করে থাকে। আপনি আমি ঠিক সেম একই মানুষকে বিশ্বাস করে থাকি। আপনি যদি সুস্থ থাকেন তবুও যদি সপ্তাহে একবার ডাক্তারের সাথে দেখা করে চেকআপ নেন তাহলে আমার মনে হয় এটা সব থেকে ভালো গুণ। আপনি পুরোপুরি সুস্থ বোধ করলেও আপনার শরীর সুস্থ আছে তো? এ বিষয়ে একমাত্র ডাক্তারই আপনাকে সঠিক পরামর্শ দিতে পারে। তাই অন্তত সময় বের করে নিজের বডি চেকআপ করে নেবেন।

এটি যে কোন রোগের প্রাথমিক শনাক্তকরণ এবং প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে আপনাকে সুস্থ রাখার জন্য। ডাক্তারের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করতে সাহায্য করে। এবং সকল প্রকার স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে। আপনার কিছু বদভ্যাসের কারণে যদি আপনার কোন জটিল রোগ হওয়ার আগে যদি কোন লক্ষণ বুঝতে পারেন। তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কেননা ডাক্তারই পারে সঠিক পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে এবং সঠিক চেকাপের মাধ্যমে আপনার রোগ শনাক্ত করতে এবং সমাধানের পরামর্শ দিতে।

 আপনাকে প্রচুর পরিমাণে ঘুমাতে হবে। কেননা ঘুম মানুষের শরীরে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা মানুষকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। জটিল রোগ ব্যাধি থেকে দূরে রাখে। কিনা তা খুঁজে বের করুন। যে সকল খাবার খাওয়ার ফলে আপনার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে সেসব গোল খাবার হল ধূমপান নিয়মিত অ্যালকোহল পান করা মাধ্যমে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। সে সকল খাবার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। তা পরিহার করতে হবে তাহলে আমরা সর্বদা সুস্থ থাকতে পারবো।

বাহিরের খাবার এড়িয়ে চলুন

আজকাল আমরা বেশিরভাগ সময়ই বাহিরের খাবার কি বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকি। কেননা আমরা সকলেই অনেক ব্যস্ত। অতিরিক্ত ব্যস্ততার ফলে সময় স্বল্পতার কারণে বাহিরের খাবার দিয়ে চালিয়েদি। আমাদের উচিত বাইরের খাবার এগিয়ে চলা। বাইরের খাবার খেলে প্রচুর পরিমাণে আমাদের শরীরে ক্ষতি হয়ে থাকে। অতিরিক্ত ফ্যাট যুক্ত খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। তাই আমরা সবাই বাসায় রান্না করা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করব। তাই চেষ্টা করুন ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার রান্না করে খেতে। ছুটির দিনে একবার হলেও বাসায় খাবার তৈরি করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। অতিরিক্ত ফ্যাট যুক্ত খাবার, অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার এবং নুনযুক্ত খাবার রাতে সাহায্য করবে এবং আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

স্বাস্থ্যকর  স্নেক জাতীয় খাবার খান

আমরা বেশিরভাগ সকলেই জানি যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট জাতীয় খাবার এবং ট্রান্স ফ্যাট জাতীয় খাবার উভয়ই আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকারক। খাদ্য তালিকায় আন্টি ইনফ্লামেটরি ওমেগা- 3 ফাটিয়াসিড সমৃদ্ধ খাবার রাখা যেতে পারে। যা আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। কারডিওভাসকুলার রোগ এবং জটিল অসুস্থতার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। যে সকল খাদ্য থেকে ওমেগা থ্রি পাওয়া যায়। সে জাতীয় খাদ্যগুলো হলঃ দুধ, ডিম এবং পনির।

নিজের দাঁতের কথা ভুলবেন না

নিজের দাঁতের কথা ভুলবেন না? আমরা বেশিরভাগ সময়ে ত্বকের যত্ন নিয়ে থাকি। কিন্তু ত্বকের পাশাপাশি দাঁত যে আমাদের শরীরে একটি প্রধান অংশ আমরা বেশিরভাগ সময় ভুলে যাই। আপনার স্বাস্থ্যর অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো দাঁত। সে দাঁতের অবহেলা করলে অনেক জটিল সমস্যায় হতে হয়। আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে আমাদের খাবার খেতে হয়। আর দাঁত যদি ব্যাথা থাকে, কিংবা দাঁতের রোগ হয়, মাড়ি ফুলে যায় তাহলে আমরা খাবার খেতে পারি না। এতে আমাদের শরীর অসুস্থ হয়ে যায়। দাঁতের সমস্যায় যে সকল রয়েছে।

দাঁতের সুস্বাস্থ্য হৃদরোগ, নিউমোনিয়া, অসাস্থ্যকর গর্ভাবস্থা, অ্যালজাইমার এবং এডেক্স স্টাইল ডিসফাংশন এর ঝুঁকি কমায়। মুখের মধ্যে যদি অস্বাভাবিক ভাবে আলসার বা ক্ষত রয়েছে কিনা তা চেক করতে হবে। সে ক্ষেত্রে পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। আপনারা যারা অতিরিক্ত ধূমপান করে থাকেন তাদের উচিত নিয়মিত দাঁতের পরীক্ষা করানো। কেননা তামাক শুধুমাত্র আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্যই ক্ষতিকারক নয় আপনার দাঁত ও নারীর জন্য অনেক ক্ষতিকারক।

স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের সাথে মেলামেশা করুন

স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের সাথে মেলামেশা করুন? বেশিরভাগ মানুষই কর্মব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে জীবন যাপন করেন। আপনি যদি আপনার নিজের কর্মে অধিক ব্যস্ত থাকেন। কর্ম ব্যস্ততার কারণে যদি সময় না পান তবে আমি বলব আপনি আপনার জীবনটাকে একটু সময় দেওয়ার ব্যবস্থা করন। আপনি যদি কম্পিউটারের ডেস্কে কাজ করেন, তাহলে আমি বলব আপনার জীবন ধারায় পরিবর্তন নিয়ে আনুন। কারণ পেশিগুলিকে নাড়াচাড়া করতে এবং মাননীয় করতে একটানা কাজ না করার ভালো। এতে আপনি অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। 


এর থেকে রেহাই পেতে আপনাকে কর্মের মাঝেও সময় দিতে হবে। কর্মের মাঝেও বিরতি নিন এবং চলাফেরা করুন তাহলে আপনার পেশিগুলো রক্ত চলাচল বাড়বে এবং আপনি সুস্থ থাকবেন।অফিসের কাজের পর প্রয়োজনীয় জিম জয়েন করতে পারেন বাচ্চাদের বা প্রিয় পশুদের নিয়ে পার্কে ঘুরে বেড়াতে পারেন। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলুন সহকর্মীদের সঙ্গে ঘুরে বেড়ান ইত্যাদির মাধ্যমে। আপনি বাহিরের পরিবেশে স্বাস্থ্য সচেতন ভাবে মেলামেশা করতে পারবেন এবং নিজেকে সুস্থ রাখতে পারবেন।

সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজনীয় খাবার

সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজনীয় খাবার? শরীর সুস্থ রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন। সঠিক পুষ্টি উপাদানের অভাবে আমাদের শরীর অসুস্থ হয়ে যায়। আমরা প্রতিদিনই প্রায় ক্ষতিকর খাবার। খাবারগুলোর মধ্যে কিছু খাবার রয়েছে যা আমাদের পুষ্টি উপাদানের যোগান দেয়। আবার কিছু খাবার রয়েছে যা স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। নিয়ম মেনে সঠিক উপায়ে শাকসবজি খাওয়ার মাধ্যমে শরীর সুস্থ রাখতে পারে। তবে আমরা জানি না যে কিভাবে সুস্থ থাকতে হয়। কিভাবে নিয়ম মেনে শাকসবজি খেতে হয়। সুস্থ থাকার জন্য যে সকল পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরে প্রয়োজন। কোন খাবারগুলোতে কি কি পরিমাণ পুষ্টিগুণ রয়েছে সে সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

সবুজ শাকসবজি

সবুজ শাকসবজি? সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর ভিটামিন ও উপকারী উপাদান রয়েছে। যা শরীর সুস্থ রাখার জন্য জরুরী। সবুজ শাকসবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ক্যালোরি, নিউট্রিশন ইত্যাদি। ক্যালরির পরিমাণটা কম থাকে। ওজন কমানোর জন্য শাকসবজি খাওয়া জরুরী। শাকসবজি শরীরের রক্ত চলাচল ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করে। শরীরে পুষ্টি যোগায় শরীর সুস্থ রাখে। শরীর সুস্থ রাখতে হলে প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খান। শাকসবজি খাওয়ার আগে অবশ্যই ভালো করে শাকসবজি পরিষ্কার করে নিতে হবে। যে সকল শাকসবজি খাওয়ার মাধ্যমে শরীর অসুস্থ থাকবে, সে সকল শাকসবজি গুলো হলোঃ পালং শাক, বিট, শালগম, ইত্যাদি সবজি। শীতকালে বিভিন্ন শাকসবজি পাওয়া যায়। যা আমাদের শরীরের অনেক উপকারী।

গোটা শস্য দানা

গোটা শস্য দানা? সুস্থ থাকার জন্য শাক সবজির পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার প্রয়োজন, যা একমাত্র পাওয়া যায়। প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের পাশাপাশি যে সকল খাবার আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে পারে। তা হল চাল, গম, ভুট্টা ইত্যাদি। রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন উপাদান, খনিজ উপাদান আন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। গোটা শস্য উপাদান গুলো ডায়েটে যুক্ত করতে পারেন যা আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী হবে। আরো যে সকল খাবার খেলে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে যে চাল, গম, ভুট্টা, বার্লি, জোয়ার, বাজরা ইত্যাদি। 

বাহিরের দেশগুলোতে এ সকল খাবারের প্রচারের ব্যবস্থা রয়েছে। ইতালিরা এবং সার্ডিনিয়াতে বালির মত বিভিন্ন ধরনের শস্য দ্বারা খাবার তৈরি করে থাকে। যেমন রুটি, রুটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। দৈনন্দিন জীবনের আমরা সকলেই গমের আটা খেয়ে থাকি। নিয়মিত ভাবে খাবারের তালিকাতে গোটা সুস্থ রাখা জরুরী। গোটা শিষ্য খাবার মাধ্যমে শরীর সুস্থ থাকে।

বিনশ খাবার খেলে যেসব উপকার মেলে

বিনশ খাবার খেলে যেসব উপকার মেলে? আমরা প্রতিদিনই কমবেশি শাক সবজি খেয়ে থাকি। আমাদের আশেপাশে অনেক উপকারী শাকসবজি রয়েছে। কাজেই শাকসবজি গুলো আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
আরে পুষ্টি উপাদান ভরা শাকসবজি গুলো বেশিরভাগই আমরা জানি না যে কোন খাবার খেলে কি সমস্যা দূর হয়। আমরা যদি বিনশের উপকারিতার কথা বলতে চাই, তাহলে এর উপকারিতা বলে শেষ করার নই।

বিনশ এর মধ্যে যে সকল পুষ্টি উপাদান ও ভিটামিন রয়েছে তা হল ঃ ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ইত্যাদি বিনশ আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। বিনশে রয়েছে আয়রন সমৃদ্ধ ভিটামিন যা নিয়মিত খেলে শরীরের দুর্বলতা দূর করে, ক্লান্তি দূর করে, রক্ত কণিকা বাড়ায়।

আরো পোস্টের তালিকা:

বিনশ শরীরে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে

বিনশ রয়েছে আয়রন সমৃদ্ধ ভিটামিন। যা নিয়মিত খেলে শরীরের দুর্বলতা দূর করে। শরীরের ক্লান্তি সমস্যা গুলো দূর করে। বিনশ শরীরের রক্ত কণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত আপনার খাদ্য তালিকায় বিনশ রাখা প্রয়োজন।

বিনশ হাড়ের স্বাস্থ্য জন্য উপকারী

বিনশ হাড়ের স্বাস্থ্যর জন্য বিশেষ উপকারী একটি সবজি। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে রয়েছে। আপনার হারকে সুস্থ রাখতে। আপনাকে সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আপনার যদি হাড়ের জয়েন্টের ব্যথার সমস্যা থাকে। এ সবজি আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

চোখের জন্য উপকারী বিনশ

বিনশ চোখের জন্য ক্যারোটিন সমৃদ্ধ ভিটামিন। চোখকে সুস্থ রাখতে হলে বিনশ খাওয়া প্রয়োজন। চোখ সুস্থ রাখতে হলে নিয়মিত খাদ্য তালিকায় বিনশ রাখা প্রয়োজন। দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পাবে বিনশ খাওয়ার মাধ্যমে।

বিনশ পেট ভালো রাখে

পেট ভালো রাখতে বিনশ খাওয়া প্রয়োজন। কমবেশি সকল মানুষেরই পেটের সমস্যার ভোগেন। বিনশ পেটের সমস্যা দূর করার পুষ্টি উপাদান রয়েছে। বিনশ যে পরিমাণ ফাইবার রয়েছে পেটের গ্যাস থেকে শুরু করে সকল সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

বাদাম খাওয়ার মাধ্যমে

বাদাম খাওয়ার মাধ্যমে? বাদামী প্রচুর পরিমাণে মিনারেল, অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন রয়েছে। নিয়মিত বাদাম খেলে শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়। শরীরের যাবতীয় সব চাহিদাগুলো পূরণ করতে হলে বেশি পরিমাণে বাদাম খাওয়া উচিত। ওজন নিয়ন্ত্রণ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করার ক্ষমতা। প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় বাদাম রাখলে শরীর সুস্থ থাকবে। এবং শরীরের সকল ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হবে। স্বাস্থ্য ভালো থাকবে বাদাম খেলে। বাদামি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে। যা শরীরকে পুষ্টি উপাদানের যোগান দেয়। চিনা বাদামি রয়েছে প্রোটিন এবং ফ্লোটের পরিমাণ বেশি হওয়ার কারণে ব্রাজিলের বাদামগুলোতে সালেসিয়াম বেশি থাকে। কাজুতে ম্যাগনেসিয়াম বেশি থাকে। আখরোটে আলফা এসিডের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই খাবার তালিকা বাদাম রাখা জরুরি।

মাটির নিচে সবজি

মাটির নিচে সবজি? মাটির নিচে সবজিগুলো অনেক পুষ্টিকর এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ হয়ে থাকে। শাকসবজি আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। শাক-সবজি খাওয়ার ফলে শরীর সুস্থ থাকে মন মেজাজ ভালো থাকে। মাটির নিচে যে সকল সবজি পাওয়া যায় তা হল আলু, কাসাভা, মিষ্টি আলু এবং ডালিয়াস জাতীয় সবজি। জাপানের মিষ্টি আলু গুলো খেলে স্বাস্থ্য ও দীর্ঘ জন্য দুর্দান্ত কাজ করে। মাটির নিচে সবজিগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। যেমনঃ ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, ফাইবার, পটাশিয়াম ইত্যাদি যার শরীর সুস্থ রাখার জন্য বিশেষ উপকারী।

শেষ কথা: নিজেকে সুস্থ রাখতে সহজ উপায়

নিজেকে সুস্থ রাখতে সহজ উপায়? নিজেকে সুস্থ রাখতে হলে উপরিক্ত নিয়ম মেনে চলতে হবে। সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে, শাকসবজি, ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল খাওয়া প্রয়োজন। প্রতিদিন খাবার তালিকাতে অল্প পরিমাণ হলেও সকল খাবার গুলো রাখা উচিত। খাবারগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং পুষ্টি উপাদান। আশা করি উপরোক্ত আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা তা বুঝতে পেরেছেন। এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে অনুগ্রহ করে শেয়ার করে দেবেন। এতক্ষণ ধরে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য এবং আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।💗

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url