২ মিনিটে পা ফাটার সমস্যা দূর করার - সঠিক উপায়

শীত ঋতুতে বেশিরভাগ মানুষেরই একটি কমন সমস্যা হলো পা ফাটা। আমরা অনেকেই এটাই জানি যে, শীতে পা ফাটা তেমন কিছুই নয়। বিভিন্ন মশ্চারাইজার ক্রিম এবং ঘরের থাকা কিছু উপকরণ দিয়ে খুব সহজে পা ফাটার সমস্যা দূর করা যায়। পা ফাটার সমস্যা অনেক বড় সমস্যা।
আজ আমরা পা ফাটা ভালো করার এমন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। এবং সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে কিভাবে পা ফাটা ঘরে বসে রোধ করতে পারবেন সে বিষয়ে জ্ঞান পেয়ে যাবেন। আমাদের আর্টিকেলটির মাধ্যমে, শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকুন।

পেজ সূচিপত্রঃ ২ মিনিটে পা ফাটার সমস্যা দূর   

২ মিনিটে পা ফাটার সমস্যা দূর করার উপায়

২ মিনিটে পা ফাটার সমস্যা দূর? শীত মানেই ত্বকের জন্য দুঃসংবাদ বটে। শীত আবহাওয়া আমাদের তো ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। মুখ হাত-পা সব খসখসে অমলিন হয়ে যায়। আমাদের ত্বকের যত্নে আমরা কমবেশি মনোযোগী হলেও পায়ের ব্যপারে তেমন কোন সচেতনতা নেই বা মনোযোগী নয়। আপনাকে সারাদিন পায়ের উপর নির্ভর করে চলতে হয়। কিন্তু দিনশেষে আপনি কখনোই নিজেই আপনার পায়ের যত্ন নিতে পারেন না। যে পা দুটি আমাদের সারাদিন বহন করে তার প্রতি যত্নশীল তো আমাদের হতেই হবে। 

চলুন তাহলে পায়ের যত্নে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার করি। শীতের পা ফাটার সমস্যা প্রায় সবারই হয়ে থাকে। কোমল প্রাণহীন পাও হয়ে পড়ে খসখসে অমলিন অসুন্দর। পা ফোটার কারণে দেখতে তো অসুন্দর লাগেই। এটি অস্বস্তি ও যন্ত্রণার হয়ে দাঁড়ায়। পা তো ধুলাবালির কাছাকাছি সর্বদাই থাকে। তাই পা পরিষ্কার রাখা জরুরী। পা ফোটা সমস্যা দেখা দিলে সময় নেবেন না, দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করবেন। শীতের সময় পা ফাটার সমস্যা যদি আপনারও হয়ে থাকে। 

তাহলে দেরি না করে দ্রুত আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং পা ফাটা দূর করুন। প্রতিদিনের ছোট ছোট কিছু কাজ আপনাকে সমস্যায় ফেলে দিতে পারে। আবার সেই ছোট ছোট কিছু কাজ সমস্যা থেকে মুক্ত করতে পারে। নিয়ম মেনে যত্ন নিলে শীতেও পা মোলায়েম এবং সফট হবে।

দুই মিনিটের যত্নে কোমল হবে পা

দিনশেষে বাড়িতে ফেরার পর আপনাকে একটি কাজ করতেই হবে। তা না হলে আপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটি অমলিন ও খসখসে হয়ে যাবে। যা আপনার কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। 
  • একটি বলে শ্যাম্পু মেশানো হালকা গরম পানিতে পা দুখানা ভিজিয়ে রাখুন।
  • এরপর পা তুলে জামা বা পাথর দিয়ে রুক্ষ শুষ্ক জায়গাটি একটু ঘুষে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • এবার পা ভালোভাবে মুছে, ক্রিম মেখে মোজা পরে নিন। ঘুমের আগে পায়ে ভালোভাবে ময়েশ্চারাইজার মাখলে পা ফাটা রোদ হবে।

দুই মিনিটে মৃত কোষ পরিষ্কার

পায়ের মৃত কোষ প্রতিদিন পরিষ্কার করা ভালো। মৃত কোষ প্রতিদিন না পরিস্কার করলে সমস্যা হয়ে থাকে। কারণ এগুলো জমতে থাকলে একটা সময় শক্ত চামড়ায় পরিণত হয়ে যাই। তখন তা মুশকিল হয়ে যাবে এবং কষ্টকর। করতে পারেন কিছু প্রয়োজনীয় পায়ের স্ক্রাব।
  • চালের গুড়ার মাধ্যমে স্ক্রাব করা যায়।
  • মধু লেবু দিয়ে স্ক্রাব করা যায়।
  • দুধের সর দিয়ে স্ক্রাব করা যায়
  • স্ক্রাব করার পরে পা শুকিয়ে গেলে ঘষে ঘষে তুলে নিন। 
  • পরিষ্কার পানি দিয়ে পা ধুয়ে ক্রিম লাগিয়ে রাখুন তাহলে পা ফাটা দ্রুত দূর হবে।

২ মিনিটে পায়ের যত্নে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ব্যবহার

পা সর্বদা সুস্থ মোলায়েম এবং পরিষ্কার রাখতে পায়ের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। পা ভালো রাখতে কার্যকরী ও সাহায্যকারী উপাদান হলো ভিটামিন ই ক্যাপসুল। যা পায়ের মলিনতা দূর করতে সাহায্য করে। খসখসে ভাব দূর করতে সাহায্য করে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের ফলে আপনার পা প্রাণ ফিরে  পাবে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল কিভাবে ব্যবহার করতে হয় আমাদের আর্টিকেলটিতে তা আমরা সুন্দরভাবে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
  • প্রথমে একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল নিয়ে ছোট্ট একটি ফটো করে ভেতরের অয়েলটুকু বের করে নেবেন।
  • এবার ভিটামিন ই ক্যাপসুলের অয়েলের সাথে সমপরিমাণ পেট্রোলিয়াম জেলি মিক্স করে নেবেন।
  • রাতে ঘুমানোর আগে হালকা কুসুম গরম পানিতে পা পরিষ্কার করে নিয়ে এই মিক্স প্যাকটি পায়ে লাগাবেন।
  • মিশ্রণটি লাগানো হয়ে গেলে, মোজা পড়ে নেবেন এবং ঘুমাতে যাবেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখবেন আপনার পা ফাটা গায়েব ম্যাজিকের মত। 

অ্যালোভেরা জেল এবং অলিভ অয়েল ব্যবহার

অ্যালোভেরা জেল এবং ভিটামিন অয়েল এর ব্যবহার পা ফাটা রোদে বিশেষ কার্যকারী। শীতে পা ফাটা একটি প্রধান সমস্যা হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। বেশিরভাগ মানুষের পা ফাটা সমস্যা হয়। লজ্জায় পা নিয়ে কেউ বের হতে পারে না। কারণ পা একটি সৌন্দর্যের অংশ। সে দূর করতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে অ্যালোভেরা জেল এবং অলিভ অয়েল। পা ধোয়ার পর এলোভেরা জেল এবং অলিভ অয়েল একটি মিশ্রণ তৈরি করে পুরো পায়ে ভালো করে লাগিয়ে রাখলে পা ফাটা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এ পদ্ধতি নিয়মিত ব্যবহার করার মাধ্যমে দ্রুত পা ফাটা থেকে বাঁচা যায়।

গোসলের পর পায়ের যত্ন

আপনাকে সব সময় মাথায় রাখতে হবে যে গোসলের পর পায়ের যত্নের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রতিদিন গোসলের পর পায়ে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে ভুলবেন না। আবার বাইরে বের হওয়ার সময় পায়ে ময়শ্চেরাইজার লাগিয়ে মোজা ব্যবহার করবেন এবং পা ঢাকা জুতা পড়ার চেষ্টা করবেন। পা ঢাকা জুতা পরলে আপনার পা সর্বদা বাহিরের আবহাওয়া থেকে সুরক্ষিত থাকবে।

বাহিরে বের হওয়ার আগের প্রস্তুতি

পা ফাটার সমস্যা দূর করার জন্য খুব বেশি হলে, মশ্চারাইজার লাগানো প্রয়োজন। পা ফাটা রোদে ময়শ্চেরাইজার কার্যকরী উপাদান হিসেবে কাজ করে থাকে। শরীরে বিভিন্ন ভিটামিনের ঘাটতির ফলে পা ফেটে থাকে। পায়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে মোজা পড়ে পা ঢাকা জুতো পড়ে বাহিরে বের হলে পা ফাটার সম্ভাবনা খুব কম থাকে।

রান্না ঘরের মসলাতেই দূর হবে পা ফাটা

রান্না ঘরের মসলাতেই দূর হবে পা ফাটা? শীতকালে নানান সমস্যায় জর্জরিত হয়ে থাকে প্রতিটা মানুষ। ঠোঁট ত্বক পা ইত্যাদি সমস্যা হয়ে থাকে। শীতে পায়ের গোড়ালি ফাটা একটি কমন সমস্যা। বেশিরভাগ মানুষের শীতে পায়ের সমস্যা নিয়ে চিন্তিত থাকেন। ভাবেন কিভাবে দূর করবে এ পা ফাটা? কি করে সম্ভব পা ফাটা দূর করা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ভাবতে ভাবতে সময় পার করে দেন। পা ফাটার সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। যে সকল উপাদান দিয়ে পা ফাটা দূর হবে তা নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • পেঁয়াজ দিয়ে
  • হলুদ গুঁড়ো দিয়ে 
  • সরিষার তেল দিয়ে ইত্যাদি
পায়ের গোড়ালি ফোটা দূর করতে পেঁয়াজের ব্যবহার অত্যন্ত কার্যকরী। পা ফাটা রোদে পেঁয়াজ একটি প্রধান উপকারী উপাদান। পেঁয়াজের রস কি উপায়ে ব্যবহারের ফলে পা ফাটা দূর হয়। প্রথমে একটি পেঁয়াজ নেবেন। পেঁয়াজ পাটাই বেটে কিংবা থেতো করে রস বের করে নিবেন। এ রসের মধ্যে এক চিমটি মধু মেশান বা অলিভ অয়েল নিতে পারেন। এবার পেস্ট আলতো করে পায়ে লাগান। আধাঘন্টা মেসেজ করার পর নরমাল ঠান্ডা পানি দিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন।

পা ফাটা দূর করতে পেঁয়াজের জাদুকারি পদ্ধতি

পা ফাটা দূর করতে পেঁয়াজের জাদুকারি পদ্ধতি? ঘরোয়া উপায় পা ফাটা দূর করতে পেঁয়াজের জাদুঘরের পদ্ধতি অতুলনীয়। কেননা পা ফাটা দূর করতে পেঁয়াজের অনেক গুনাগুন রয়েছে। আসুন আমরা জেনে নিই ঘরোয়া উপায় পেঁয়াজ দিয়ে কিভাবে পা ফাটা দূর করা যায়।

শীতে অনেকেরই পায়ের গোড়ালি ফেটে চৌচির হয়ে যায়। কেউ কেউ গোড়ালি ফাটার বড় লোক লজ্জা হয়ে শেয়ার করতে পারেনা। সাধারণত শীতকালে আবার জন্য ত্বক রুক্ষ শুষ্ক হয়ে যায়। এ কারণে শরীরে বিভিন্ন অঙ্গের মতো পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়। পা ফাটার সমস্যা সঠিক সময়ে সমাধান না করলে ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে।


তাই নিয়মিত ত্বকের পাশাপাশি পায়ের বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। প্রায় লোকে কুসুম কুসুম গরম পানিতে পা ধুয়ে থাকেন। কিন্তু শুধু গরম পানিতে পা দিলেই হবে না। গরম পানির পাশাপাশি আরও কিছু নিয়ম আছে সেগুলো মেনে চললে খুব দ্রুতই পা ফাটা দূর করা সম্ভব। চলুন দেখা যাক পেঁয়াজ দিয়ে কি কি উপায়ে ঘরে বসে পা ফাটা দূর করা যায়।

ত্বকের শুষ্কতা রক্ষা

শীতকালের ত্বক শুষ্ক রুক্ষ হওয়ার সাথে সাথে ফুসকুড়ির সমস্যা বৃদ্ধি পায়। এই এ সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে পেঁয়াজের ব্যবহার করা যাই। সকল উপাদান রয়েছে তা হল ফসফরাস, দস্তা, ম্যাগনেসিয়াম, এবং আয়রন যা শরীরকে ঠান্ডা রাখে। এছাড়া শরীরে থাকা অতিরিক্ত টক্সিন করে এই পেঁয়াজ। টক্সিন দূর করার পাশাপাশি রক্ত প্রবাহ ঠিক রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। 

ত্বক কোমল রাখতে সাহায্য করে

পিয়াজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ সি এবং ই রয়েছে। প্রাকৃতিক উপাদানের ভরপুর এ পেঁয়াজ যা ত্বককে কোমল রাখতে ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে, ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এই ভিটামিন ত্বকে সকল ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে থাকে।

ফাটা দাগ দূর করতে পেঁয়াজের ব্যবহার

পায়ের গোড়ালি ফোটা দূর করতে পেঁয়াজের ব্যবহার অত্যন্ত কার্যকরী। পা ফাটা রোদে পেঁয়াজ একটি প্রধান উপকারী উপাদান। পেঁয়াজের রস কি উপায়ে ব্যবহারের ফলে পা ফাটা দূর হয়। প্রথমে একটি পেঁয়াজ নেবেন। পেঁয়াজ পাটাই বেটে কিংবা থেতো করে রস বের করে নিবেন। এ রসের মধ্যে এক চিমটি মধু মেশান বা অলিভ অয়েল নিতে পারেন। এবার পেস্ট আলতো করে পায়ে লাগান। আধাঘন্টা মেসেজ করার পর নরমাল ঠান্ডা পানি দিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন। তারপর ভালো কোন পা ফাটা ক্রিম লাগিয়ে শুতে যান। এভাবে কয়েক দিন ব্যবহারের ফলে খুব দ্রুতই পা ফাটা ভালো হবে।

আরো পড়ুনঃ নিজেকে সুস্থ রাখতে সহজ ১২টি উপায় 

ত্বক নরম রাখে পেঁয়াজ

পায়ের গোড়ালি ফাটা এটি একটি প্রধান সমস্যা। গোড়ালি ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে পেঁয়াজ। রাতে ঘুমানোর আগে পেঁয়াজের রসের সঙ্গে ক্যাস্টর অয়েল কিংবা অলিভ অয়েল মিশিয়ে পায়ে লাগালে পা ফাটা দূর হয়। নিয়মিত পেঁয়াজের রস ব্যবহার করলে তাও ভালো থাকবেন চামড়ার নরম রাখবে এবং পা ফাটা দূর হবে। 

শীতে পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায়

শীতে পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায়? পা ফাটার সমস্যা এমন একটি সমস্যা যা কমবেশি সকলেরই হয়ে থাকে। সঠিক সময়ে এই পা ফোটার সমস্যা দূর করতে চাইলে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করা প্রয়োজন। পায়ের গোড়ালিতে ফেটে যাওয়ার সমস্যার ঝামেলা বেশিরভাগ সব মানুষকেই পোহাতে হয়। এ সমস্যাটি খুব বেশি হলে মারাত্মক মনের না করে সঠিক সমাধানের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করা উচিত। যেসব কারণে এই সমস্যাটা হয়ে থাকে, তা হল পা অতিরিক্ত ড্রাই হয়ে যাওয়া, মশ্চারাইজার সঠিক সময় ব্যবহার না করা, পায়ের সঠিক যত্ন না নেওয়া, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যভাস এবং সঠিক জুতা নির্বাচন না করা এর মাধ্যমে পা ফোটার সমস্যা বেশিরভাগ হয়ে থাকে।

চালের গুড়ার ব্যবহার

এক মুঠো চালের গুঁড়ো সাথে ২ চামচ মধু সাথে ২ টেবিল চামচ ভিনেগার ১ চামচ অলিভ অয়েল একসাথে পেস্ট করে। ১০ মিনিট গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পরে পা উঠিয়ে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। এবার মিক্স করে রাখা পেস্ট গুলো পায়ের গোড়ালিতে লাগান। কিছুক্ষণ স্ক্রাব করুন। এবার পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তাহলে আপনার পায়ের মৃত চামড়া খুব সহজেই দূর করতে সাহায্য করবে।

নিম পাতার ব্যবহার

কিছু নিম পাতা নিন। এবার নিম পাতাগুলোকে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে একটু বেটে নিন। নিমপাতা বাটার মধ্যে হালকা পরিমাণে হলুদ গুঁড়ো ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার তৈরি করা পেস্ট পায়ের গোড়ালিতে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে আধা ঘন্টার মত হালকা কুসুম গরম পানিতে পা ধুয়ে নিন। তাহলে আপনার পায়ের সকল সমস্যা দূর হয়ে যাবে ম্যাজিকের মত।

পায়ের গোড়ালি কেন ফাটে

পায়ের গোড়ালি কেন ফোটে? যে সকল কারণে পায়ের গোড়ালি সাধারণত ফেটে থাকে তা হলঃ বিভিন্ন ভিটামিনের কারণে, অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন থাকার কারণে, সময় মত পায়ের সঠিক যত্ন না নেওয়ার কারণে ইত্যাদি কারণে পা ফাটার সমস্যা হয়ে থাকে। যে সকল কারণে পা ফাটার সমস্যা হয়ে থাকে তার নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
  • শরীরের ভিটামিনের অভাব হলে পা ফেটে যায়। বেশিরভাগ মানুষকেই পা ফাটা সমস্যা ফেস করতে হয়। মানব দেহে ভিটামিন, আয়রনের ঘাটতি, জিংক ইত্যাদি কারণে পা ফেটে যায়।
  • মানবদেহে পানি শুন্যতার কারণে বেশিরভাগ সময় পা ফেটে যায়। পা ফাটা দূর করতে নিয়মিত পানি খাওয়া প্রয়োজন।
  • ডায়াবেটিস রোগীদের স্নায়জনিত কারণে পায়ের আদ্রতা হারিয়ে ফেলে। ডায়াবেটিস রোগীদের বেশিরভাগ সময় পা ফাটা সমস্যার ভুগতে হয়।
  • খুব বেশি গরম পানিতে গোসল করা উচিত না। খুব বেশি গরম পানিতে গোসল করলে, দূর ধুলাবালি দীর্ঘদিন ধরে পায়ের লেগে থাকলে, সময় মতো পায়ের যত্ন না নিলে, অপরিচ্ছন্ন জুতা ব্যবহার করলে ইত্যাদি কারণে সমস্যা দেখা দেয়।
  • হালকা পা ফাটা জায়গায় জোরে জোরে চামড়া তুলে ফেরার কারণে এ সমস্যা বৃদ্ধি পায়।
  • অনেক সময় জেনেটিক কারণেও পা ফাটার সমস্যায় ভুগতে হয়। যেমনঃ যদি বাবা-মা বা বংশের কারক এ সমস্যা থেকে থাকে। তাহলে এই সমস্যাগুলি তাদের বংশধর যেমনঃ ছেলে-মেয়েদের হতে পারে।
পা ফাটা দূর করার সঠিক উপায় হল নিয়মিত পায়ের পরিচর্যা করা। পা প্রতিদিন সময় নিয়ে পরিষ্কার করা। পায়ের সঠিক যত্ন নেওয়া। নিয়ম পায়ে ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম ব্যবহার করা তাহলে পা সুস্থ থাকবে ভালো থাকবে এবং সুন্দর থাকবে।

কি করলে পা ফাটবে না

কি করলে পা ফাটবে না? বেশিরভাগ মানুষেরই পা ফাটার সমস্যা হয়ে থাকে। এ সমস্যার থেকে বাঁচার জন্য অনেক টোটকা ব্যবহার করে থাকে। সঠিকভাবে সঠিক উপায় যদি টোটকা ব্যবহার না করা হয় তাহলে পা ফাটা সমস্যা থেকে যায়। পা ফাটা রোধে যে সকল উপাদান ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তা হলঃ

মধুর ব্যবহার

মধু একটি প্রাকৃতিক উপাদান। মধুতে রয়েছে ময়শ্চেরাইজিং এবং আন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা আমাদের পা ফাটা রোদে সাহায্য করে থাকে। শুষ্ক ত্বক দূর করতে সাহায্য করে। হালকা কুসুম পানিতে এক থেকে দুই চা চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে। ওই পানিতে আধা ঘন্টা পা ভিজিয়ে রাখলে। পায়ের ফাটার সমস্যা দূর হতে সাহায্য করে।

পা ফাটাই গোলাপজল এবং গ্লিসারিন এর ব্যবহার

গোলাপ জল এবং গ্লিসারিনের ব্যবহার করার সঠিক উপায় সম্পর্কে আজ আমরা জানবো। গোলাপ জলে রয়েছে ভিটামিন এ,বি৩, সি, ডি, অ্যান্টিসেপটিক এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা আমাদের পা ফোটা দূর করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। গোলাপজল ও গ্লিসারিন পা কে নরম কোমল রাখতে সাহায্য করে।

পা ফাটাই কলার ব্যবহার

সবচাইতে সহজ পদ্ধতি হচ্ছে পা ফাটাই কলার ব্যবহার। কেননা একটি কলা নিয়ে টা ভালোভাবে পেস্ট করে। গরম পানিতে পা ডুবিয়ে রেখে। এবার  মিক্স করা কলাটি পায়ের গোড়ালিতে ব্যবহার করুন দেখবেন খুব সহজে পা ফাটা দূর হয়ে যাবে।

লেবুর রসের ব্যবহার

লেবুতে রয়েছে পায়ের ত্বক রুক্ষ হয়ে যাওয়া দূর করার উপাদান। একটি লেবু কেটে নিয়ে সরাসরি তা পায়ের গোড়ালিতে স্ক্রাব করে নিন। এবার হালকা গরম পানিতে লেবুর রস চিপে পা ভিজিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পরে পা ঝামা দিয়ে ঘষে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এবার ভালো কোন ময়েশ্চারাইজার পায়ে লাগান। তাহলে পা ফাটা খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে।

লবণ গরম পানি ব্যবহার

অর্ধেক বালতি কুসুম কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে পা আধাঘন্টা ডুবে রাখুন।ঝামা দিয়ে পা ঘসে নিন। এতে পায়ের ত্বক পরিষ্কার হবে। সাথে সাথে পায়ের মরা চামড়া উঠে যাবে। এবার ভালো কোন মশ্চেরাইজিং ক্রিম যেমন ফুট ক্রিম বা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে পারেন।

পা ফাটার হাত থেকে বাঁচার উপায়

পা ফাটার হাত থেকে বাঁচার উপায়? আপনি যদি পা ফাটার সমস্যায় ভুগেন তাহলে খুব মনোযোগ সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। আমাদের আর্টিকেলটিতে খুব গুরুত্ব সহকারে পা ফাটার সমস্যা থেকে বাঁচার উপায়গুলো বর্ণনা করা হয়েছে। বেশিরভাগ মানুষই পা ফাটার সমস্যায় ভোগেন। পা ফাটার সমস্যা এমন একটি সমস্যা যা, কারো সাথে শেয়ার করা যায় না। ঘরোয়া উপায় কিছু টোটকা রয়েছে, যার মাধ্যমে পা ফাটার সমস্যা দূর করা যায়। যেমনঃ মধুর মাধ্যমে পা ফাটা দূর করা যায় কেননা মধু একটি প্রাকৃতিক এন্টি সেপটিক ও অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ। যা পা ফাটা রোধে আপনাকে অনেক সাহায্য করবে।

  • অ্যালোভেরা ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি পায়ের যত্ন নিতে পারেন। পায়ের যত্নে কমবেশি আমরা এতটা গুরুত্ব সহকারে খেয়াল করি না। যার কারণে আমাদের পায়ের ত্বক রুক্ষ-শুষ্ক ও অমলিন হয়ে যায়। পায়ের ত্বক নরম করতে এবং পা ফাটা দূর করতে এলোভেরার ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ।
  • আপনি চাইলে ভেসলিন জেল এর সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে পায়ে লাগাতে পারেন। কেননা এটি আপনার পা নরম করতে এবং পায়ের গোড়ালি ফাটা থেকে আপনাকে বাঁচাতে কার্যকারী টোটকা হিসেবে কাজ করে থাকে।
  • হালকা গরম পানিতে বেকিং সোডা দিয়ে দিন। এবার বেকিং সোডা মিশ্রিত পানিতে পা কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন। এরপর ঝামা দিয়ে ঘষে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এবং ময়শ্চেরাইজার লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। সকালে উঠে দেখুন পা ফোটার সমস্যা দূর হয়েগেছে।
  • অলিভ অয়েল এর সাথে কিছু তিলের তেল, কিম্বা নারিকেল তেল, সরিষার তেল, বাদাম তেল ব্যবহার করতে পারেন। কিংবা রাতে ঘুমোনোর সময় ভেজিটেবল অয়েল লাগিয়ে ঘুমিয়ে যেতে পারেন এতেও উপকার পাবেন।

পা ফাটা দূর করার ওষুধ

পা ফাটা দূর করার ওষুধ? কমবেশি আমাদের সকলকেই পা ফাটার সমস্যায় ভুগতে হয়। এই পা ফাটার সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য যা করা উচিত। তা হল কিছু ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করার মাধ্যমে পা ফাটা দূর করা যাই। আবার যারা ঘরোয়া টোটকা তে বিশ্বাস করেন না, কিংবা ঘরোয়া টোটকা ব্যবহারের সময় পান না।

অল্প সময়ের মধ্যে সঠিক সমাধান চান। তাহলে আপনি বাজারের যে সকল পণ্য পা ফাটার রোধে ব্যবহার করা হয় তা কিনে ব্যবহার করতে পারেন। যদি পা ফাটা দূর করার জন্য কি কি ক্রিম ব্যবহার করতে হয় সে সম্পর্কে না জানেন। তাহলে আমি বলব আপনি আমাদের পোস্টটি ভালোভাবে পড়লে পা ফাটার অধিকার যে সকল ক্রিম ব্যবহার করা হয় সে সকল ক্রিমের নাম জেনে যাবেন। নিম্নে পা ফাটা রোধের কিছু ক্রিমের বা ওষুধের নাম উল্লেখ করা হলোঃ

  • Krack Cream
  • Emolent Cream
  • Cracksol Cream
  • Fona Cream
  • Avon Foot Warks Cream
  • Bio Active Banana Foot Cream
  • Urea Cream
  • Horse oil Cream
  • Ramy Pa Phata Cream

কোন ভিটামিনের অভাবে পা ফাটে

কোন ভিটামিনের অভাবে পা ফাটে? শীতকালে পা ফাটা একটি প্রধান সমস্যা। প্রায় লোকদের শীতকালীন সময়ে পা ফাটার সমস্যায় ভুগতে হয়। আর এ পা ফোটা সমস্যা কারণ হলো ভিটামিনের অভাব। সঠিক ভিটামিনের অভাবে পা ফাটা সমস্যায় ভুগতে হয়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কি কারনে? কোন ভিটামিনের অভাবে? পা ফাটা সমস্যায় ভুগতে হয়। ভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি অভাব হলে পা ফোটার সমস্যা দেখা দেয়। পায়ের গোড়ালি ফাটা ভিটামিন সি এবং বি এর কারণে হয়ে থাকে।
শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণে প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি, ফল ইত্যাদি হওয়া উচিত। 

শাকসবজি খেলে শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হবে। শরীর সুস্থ থাকবে পা ফাটার সমস্যার সমাধান হবে। শীতকালীন সময়ে ভিটামিন সমৃদ্ধ ভিটামিন সি যুক্ত খাবার বা ফল খেলে শরীর যেমন সুস্থ থাকবে সাথে সাথে পা ফাটার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। শাকসবজি এবং ফলের পাশাপাশি বেশি বেশি করে শরীরের যত্ন নিতে হবে। এবং নিয়মিত পায়ের যত্ন নিতে হবে। বেশি বেশি করে শোয়ার সময় ময়েশ্চারাইজার লাগে ঘুমাতে যেতে হবে তাহলে খুব দ্রুত পা ফাটা দূর হবে।

বদ অভ্যাস বদলানো দরকার

বদ অভ্যাস বদলানো দরকার? আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে আমরা এমন ভাবে জড়িয়ে আছি যে প্রয়োজনের বেশি কোন কিছু খেয়াল রাখি না। পা আমাদের শরীরের একটি বিশেষ অঙ্গ। যার উপর নির্ভর করে সারাটা দিন চলাফেরা করি। দিনশেষে পায়ের যত্ন নিতে ভুলে যায়। শীতকালে পায়ের একটি মারাত্মক সমস্যা হল পা ফাটা। কিছু অভ্যাস বদলানোর ফলে পা ফাটা থেকে মুক্তি পাওয়া যাই। আমরা যারা নিয়মিত শরীর যত্ন নিতে অলসতা করি। আমাদের উচিত নিয়মিত ত্বকের পাশাপাশি সঠিক যত্ন নেওয়া। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।


খাওয়ার তালিকায় ভিটামিন সি যুক্ত খাবার যোগ করতে হবে। জিংক সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। তাহলে খুব দ্রুতই এই সমস্যা থেকে সমাধান মিলবে। কেননা খুসখসে পা ফাটা পায়ে কোন কিছুই মানায় না। সবই যেন বে মানান। আমাদের উচিত আমাদের বদ অভ্যাস গুলো পরিবর্তন করে। সঠিক নিয়ম মেনে পায়ের যত্ন নেওযা

শেষ কথা: ২ মিনিটে পা ফাটার সমস্যা দূর 

২ মিনিটে পা ফাটার সমস্যা দূর? মানবদেহে একটি মূল্যবান অঙ্গ হলো ত্বক। আর এই মূল্যবান অঙ্গটিকে রক্ষা করা বিশেষ দায়িত্ব হলো আমাদের। আমাদের শরীরের মধ্যে কোন অংশ ক্ষত হলে ব্যথা অনুভব হয়। সঠিক সময়ে ক্ষত না সারালে ইনফেকশন এবং অনেক রোগ ব্যাধি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। শীতকালে তীব্র শীতের কারণে অধিকাংশই মানুষের পা ফোটার সমস্যা হয়ে থাকে। সেই সমস্যার সমাধান হিসেবে ঘরোয়া উপায়ে যদি কিছু নিয়ম ফলো করি। তাহলে খুব দ্রুতই সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। 

পা এর যত্নে উপরের নিয়ম অনুসরণ করলে সমস্যার সমাধান সম্ভব। আশা করি আমাদের পোস্টটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হবেন। কেননা আমরা ঘরোয়া উপায়ে খুব কম সময়ে পা ফাটার সমস্যার সঠিক সমাধান আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। অনুগ্রহ করে সর্বদা আমাদের পাশে থাকবেন। আমাদের সাপোর্ট করবেন যেন আমরা ভালো ভালো আর্টিকেল আপনাদের দিতে পারি ধন্যবাদ💗

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url