ফ্রিল্যান্সিং শিখে বেশি টাকা আয় করা ৭টি উপায়

ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে অনলাইনে কোন কাজ করে তার বিনিময়ে অর্থ আয় করাকেই ফ্রিল্যান্সিং বলে। ঘরে বসে সঠিক উপায়ে আয় করার একটি মাধ্যম হল ফ্রিল্যান্সিং করা। বর্তমান এই পেশাকে অনেকে সময় নষ্ট না করে চাকরির পাশাপাশি পার্টটাইম এবং ফুল টাইম হিসেবে নিচ্ছে।

আপনার দক্ষতা অর্জন করার ক্ষেত্রে বেশ সতর্ক থাকতে হবে। আপনি যে বিষয়টি নিয়ে কাজ করবেন, সেই কাজের চাহিদা যদি কম থাকে, তাহলে ভালো পরিমাণ আয় করা আপনার কঠিন হয়ে যাবে। যে সেক্টরে কাজের চাহিদা বেশি। সে সকল বিষয় জানতে আমাদের আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ফ্রিল্যান্সিং শিখে বেশি টাকা আয় করার উপায়

ফ্রিল্যান্সিং শিখে বেশি টাকা আয়

ফ্রিল্যান্সিং শিখে বেশি টাকা আয়? আপনি যদি সময় নিয়ে মার্কেটপ্লেসগুলো ভিজিট করেন। তাহলে দেখতে পারবেন সেখানে বিভিন্ন ধরনের কাজ আছে। যে কাজগুলো রয়েছে সেসব কাজের চাহিদা এক না। কিছু কিছু কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে আবার কিছু কিছু চাইতে কম তাই আমরা পরিচিত করিয়ে দিব যে সাতটি কাজের চাহিদা বেশি। ১ থেকে ২ টি সেক্টর চার্জ করে আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং জগতে জার্নি কনফিডেন্সের সাথে শুরু করতে পারেন। যে সেক্টরগুলোতে ফ্রিল্যান্সিং কাজের চাহিদা বেশি সেগুলো আপনার সুবিধার্থে নিচে আলোচনা করা হলোঃ

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে টাকা আয়

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে টাকা আয়? ডিজিটাল মার্কেটিং? মার্কেটিং বলতে এখানে দোকানে গিয়ে কিংবা বাজারে গিয়ে পণ্য বিক্রি করাকে বোঝানো হয়নি। এখন পণ্য র্মার্কেটিং করার জন্য কিংবা কোন কিছু প্রচারণার জন্য বাজারে বাজারে গিয়ে ঘুরতে হয় না। এখন ঘরে বসেই পণ্যের মার্কেটিং করা যায়। আর এটাকে বলে ডিজিটাল মার্কেটিং। সহজভাবে বলতে গেলে অনলাইনে আপনার প্রোডাক্টগুলোর বিজ্ঞাপন প্রচার করা।

ডিজিটাল মার্কেটিং করার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। যেগুলো করে আপনি সফল একজন ফ্রিল্যান্সার কিংবা ডিজিটাল মার্কেটের হয়ে উঠতে পারেন। এ বিষয়ে নিচে উল্লেখ করা হলোঃ

  •  ইউটিউব মার্কেটিং।
  • ফেসবুক মার্কেটিং। 
  • ই-মেইল মার্কেটিং
  • ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
  • কনটেন্ট মার্কেটিং
  • ব্র্যান্ড ট্র্যাটেজি মার্কেটিং
  • SCO মার্কেটিং
ফাইবার এবং আপওয়ার্কের তথ্য অনুসারে, একজন ডিজিটাল মার্কেটার প্রতি ঘন্টায় 20 থেকে 50 ডলার পর্যন্ত ইনকাম করে দিতে পারি নির্দ্বিধাই। অনলাইনে যেকোনো ধরনের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস মার্কেটিং ক্যাম্প ইন পরিচালনা করার জন্য এসব মার্কেটিং করার প্ল্যাটফর্ম যা প্রোডাক্টের প্রচার করে আয় করতে সহযোগিতা করবে। আপনি আপনার স্মার্টফোনের মাধ্যমে মার্কেটিং করতে পারবেন। যেসব- ব্যবসার প্রচারের জন্য ব্যবহৃত হয় সবকিছু ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্তর্ভুক্ত। তাহলে বোঝা গেল ডিজিটাল মার্কেটিং কি আপনি যেকোনো ধরনের বিজনেস দ্রুত সবার কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে। আপনি হয়তো মনে করছেন ডিজিটাল মার্কেটিং করে নিজের পণ্য বা সার্ভিস মার্কেটিং করতে হবে। 

বিষয়টা এমন নয় আপনি অন্য কাজ করে আয় করতে পারবেন। মার্কেটপ্লেস গুলোতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রচুর পরিমাণে চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি Upwork,SEO এক্সপার্টদের প্রোফাইল দেখেন তাহলে নিজেই বুঝতে পারবেন যে তারা প্রতি ঘন্টায় কত ডলার ইনকাম করে থাকে। তারা ঘন্টায় প্রায় ৮০০ থেকে ১০০০ ডলারের উপরে কাজ করে থাকে। তাহলে আপনি অবশ্যই বুঝতে পারছেন ডিজিটাল মার্কেটিং বুঝতে পারছেন। ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা বিশ্ববাজারে কি পরিমান।

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে টাকা আয়

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে টাকা আয়? গ্রাফিক্স ডিজাইন? ডিজাইন একটি সৃজনশীল কাজ। এই পৃথিবীতে কেউ সৃজনশীল মন নিয়ে জন্মগ্রহণ করে না। চেষ্টা পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে একজন শিল্পীর জন্ম হয়। গ্রাফিক ডিজাইনের বেলায় একই নিয়ম আপনি যত সুন্দর করে একটা ডিজাইন করবেন তত আপনার কাজের প্রশংসা হবে এবং তত বেশি আপনার কাজের চাহিদা দিন দিন বাড়বে।আপনি কাজ করতে যাবেন, সেই সেক্টরে গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ দেখতে পাবেন।

অপরকে সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন কাজের তালিকা মধ্যে একটি হচ্ছে গ্রাফিক ডিজাইন। গ্রাফিক্স ডিজাইন চাহিদা সম্পন্ন কাজের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে আছে। গ্রাফিক্স ডিজাইন এর ক্ষেত্রে আপনি যে কাজগুলো করতে পারেন সেগুলো হলঃ ইউ আই-ইউ এক্স, লোগো ডিজাইন, প্রোডাক্ট প্যাকেজি ফটো প্যাকেজিং, ফটো এডিটিং , মার্কেটিং মেটেরিয়াল ডিজাইন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে।

দিন দিন গ্রাফিক ডিজাইনের কাজের চাহিদা কেমন বেড়েই চলেছে। আপনি চাইলে কাজ করে ২৪ ঘন্টা ৩০ থেকে ৩৫ ডলার ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। আর কোন গ্রাফিক ডিজাইনার যদি কোম্পানির আন্ডারে কাজ করে তাহলে তার বেতন ৪০ থেকে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার কাছাকাছি হয়ে থাকে। অনেক ডিজাইনার ছোট ছোট কাজ শিখে সেই সব ডিজাইন বিভিন্ন সাইডে বিক্রি করার মাধ্যমে অনেক টাকা আয় করে।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজ শিখে টাকা আয়

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজ শিখে টাকা আয়? ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কাজ? আপনি যদি একজন ভালো মানের ওয়েব ডেভেলপার হতে পারেন। তাহলে আপনাকে টাকার পেছনে ছুটতে হবে না, টাকায় আপনার পেছনে ছুটবে। বর্তমান বিশ্বে সব ধরনের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ওয়েব ডেভেলপদের ব্যাপক চাহিদা । ওয়েব ডেভেলপারদের কাজ হচ্ছে একটা ওয়েবসাইট কে নিয়ন্ত্রণ করা। এবং তার সাথে সে ওয়েবসাইটে একজন এডমিন কিভাবে ঢুকবে, এডমিন কিভাবে সে ওয়েবসাইটে সেটিং চেঞ্জ করবে, সকল বিষয়ে সার্ভিস প্রদান করে থাকে।


এই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কাজ আমাদের দেশের অনেক ফ্রিল্যান্সাররা বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস এ কাজ করে মাসের ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা আয় করছে ঘরে বসে। তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে অনলাইনে কি পরিমাণ চাহিদা রয়েছে এ কাজ গুলো প্রতি। এই ওয়েব ডেভেলপমেন্টের ধাপ দুইটি। দুটি ধাপের জন্য ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করতে হয় আলাদা আলাদা। ওয়েব ডেভেলপমেন্টের ধাপসমূহ আলোচনা করা হলোঃ  
  • ফ্রন্ট এড 
  • ব্যাক এড
এখানে ফন্ট এড ডেভেলপার এর কাজ হল ওয়েবসাইটের বাহিরের দিকগুলো দেখাশোনা করা। যেমন ডিজাইন, ভিজুয়াল, প্রিভিও ইত্যাদি।

 ব্যাক এন্ড ডেভলপারের কাজ হল ওয়েবসাইটের ভেতরে সেটিংস এন্ড কাস্টমাইজেশন এর কাজ করা। আর ডেভলপার ফন্ট ও ব্যাক এড এর কাজই করতে পারে তাকে বলা হয় full track,
Front এড এর জন্য যেসব ল্যাংগুয়েজ জানা আবশ্যক, নিচে সেগুলো উল্লেখ করা হলোঃ
  • CSS
  • HTML
  • Javascrips
ব্ল্যাক এড এর জন্য যেসব ল্যাংগুয়েজ জানা আবশ্যক, নিচে সেগুলো উল্লেখ করা হলোঃ
  • PHP
  • MySQL
  • Node.is
  • Javascript ইত্যাদি।
এ সকল ল্যাংগুয়েজ জানার সাথে সাথে ফ্রেম ওয়ার্ক এর কাজ জানা থাকতে হবে। তবে আপনি প্রফেশনাল ভাবে অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করতে পারবেন। যত বেশি কাজ করবেন তত বেশি নতুন নতুন জিনিস শিখতে পারবে না। যে সকল সেক্টরে ফিন্যান্সিং কাজে চাহিদা বেশি সেই সকল সেক্টরে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করতে পারেন। ও টেকনোলজির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় ওয়েবসাইট তৈরি করে ইনকাম করার সুযোগ দিন দিন বাড়ছে। অনেক মানুষ ওয়েবসাইট বানিয়ে ঘরে বসে প্রচুর টাকা ইনকাম করে চলেছে।
  • ব্লগ ওয়েবসাইট
  • ওয়েবসাইট
  • সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট
  • কোম্পানির ওয়েবসাইট
  • নিজের ব্যবসা ওয়েবসাইট ইত্যাদি
কেননা প্রতিটি প্রতিষ্ঠান চান ছোট হোক আর বড় হোক নিজের ওয়েবসাইট রাখার। যাতে মানুষ তাদের ওয়েবসাইটে দেখে আর কোম্পানির কার্যক্রম দেখে সঠিক ধারণা নিতে পারে। আপনি মনে করে থাকেন যে চাকরি করবেন তাহলে, যে কোন কোম্পানির একজন নতুন ওয়েব ডেভেলপার এর বেতন ৩০ হাজার থেকে সাত হাজার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এর সাথে অন্যান্য সুযোগ সুবিধা করবেন।

ওয়েবসাইট আপনি দুইভাবে তৈরি করতে পারবেন

  • কোডিং করে 
  • ওয়ার্ড প্রেস কাস্টমাইজেশন করে
আপনার কোডিং করে অনেকটা ঝামেলা মনে হতে পারে। ওয়ার্ডপ্রেসে ঝামেলা যেহেতু কম তাই এটি শিখতে আপনার বেশি সময় লাগবে না। তবে যখন শুরু করবেন কিছুটা সঠিক মনে হতে পারে আবার প্র্যাকটিস করলে দেখবেন অনেক সহজে করতে পারবেন।

আর্টিকেল রাইটিং শিখে টাকা আয়

আর্টিকেল রাইটিং শিখে টাকা আয়? আর্টিকেল রাইটিং বিষয়টিকে এক নাম্বারে রাখা উচিত ছিল। কেননা রাইটিং মানে কি বললে লেখা লিখি নয়-তার সাথে রয়েছে জ্ঞান তথ্য এবং সৃজনশীলতার প্রকাশ। একটা আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে কিওয়ার্ড রিচার্জ থেকে শুরু করে পাঠকের চাহিদার দিকগুলো সহ সকল ধরনের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো বিবেচনা রাখতে হয়। যে কোম্পানির হয়ে লিখবেন সে কোম্পানির ব্র্যান্ডিং এবং লেখাকে এসইও ফ্রেন্ডলিও করতে হয়। যদিও বর্তমানে রাইটিং এর উপর ফ্রিল্যান্সিং জব পাওয়া কিছুটা কঠিন। তবে ভালো লেখক হলে আপনাকে জব লেস থাকতে হবে না।আপনি চাইলে নিজের ব্লগে লিখে মাসে কয়েক হাজার ডলার আয় করতে পারে। আর্টিকেল রাইটিংকেকয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলোঃ

  • কপিরাইটার (Copy writer)
  • আর্টিকেল রাইটার (Article Writer)
  • টেকনিক্যাল রাইটার (Technical writer)
  • কনটেন্ট রাইটিং (Content writing) ইত্যাদি।
উপরে উপরে উল্লেখিত সেক্টরটিতে লেখালেখি করে আপনি  ১৫ থেকে ১৫০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারে। আপনি চাইলে আর্টিকেল রাইটিং জব এর মাধ্যমে আপনার ক্যারিয়ার নতুন ভাবে গড়ে তুলতে পারেন।

গেম ডেভেলপমেন্ট শিখে টাকা আয়

গেম ডেভেলপমেন্ট শিখে টাকা আয়? বর্তমানে মোবাইল এবং কম্পিউটার ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এবং ভিডিও গেমের চাহিদা তার থেকেও অধিক হারে বাড়ছে। বর্তমানে গেম খেলেন না এমন মানুষ পাওয়া যাবে না। ছোট বড় প্রায় সকলেই এই গেমের সাথে সম্পৃক্ত। কেউ অনেক বেশি পরিমাণ খেলে আবার কেউ কম খেলে। প্রাই বেশিরভাগ মানুষ গেম এর প্রতি দুর্বলতা আছে। গেমের প্রতি মানুষের বেশি পরিমাণ চাহিদা আছে বলেই ব্যাপক হারে গেম ডেভেলপমেন্টের চাহিদা বাড়ছে। বৈদেশিক গেমিং পদ্ধতি পূর্বের বছরের তুলনায় প্রায় ১২ থেকে ১৩ শতাংশ বেড়ে প্রায় 20 হাজার 230 কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশে মোবাইল গেমস এর বাজার ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে। সুতরাং আপনি অবশ্যই বুঝতে পারছেন যে গেমের চাহিদা কেমন চলছে ছোট-বড় সকলে গেমের প্রতি আসক্তি। তাই আপনি ক্যারিয়ার হিসেবে গেম ডেভেলপমেন্ট নিতে পারেন এখনই সঠিক সময় আপনার জন্য যে আপনাকে উন্নতির শেখরে পৌঁছে দিতে পারে।

সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কাজ

সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কাজ? প্রোগ্রামের কাজগুলো বিশেষ করে কম্পিউটার সফটওয়্যার এবং মোবাইল অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট জন্য ফ্রিল্যান্সারদের অনেক চাহিদা রয়েছে। কারণ এটা এমন একটি দক্ষতা কাজ যা সবার দ্বারা হয় না। এ কাজের পরিশ্রমিক বেশি। আপনি চাইলে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এর কাজ শিখে প্রতি ঘন্টায় ৭০- ৮০ ডলার আয় করতে পারেন। সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের এর জন্য আপনি ল্যাঙ্গুয়েজ গুলো আয়ও করে ফেলতে পারেন।

  • Javascript
  • C++
  • Python
  • Java
  • C
সবচেয়ে বেশি আয়ের কাজগুলোর মধ্যে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এর কাজ অন্যতম। আপনি যদি এই কাজটি করবেন বলে ঠিক করে থাকেন, তাহলে উপরের যে কোন একটি ল্যাঙ্গুয়েজ শিখে কাজ করা শুরু করতে পারেন। সবগুলো একসাথে শিখতে যাবেন না। তাহলে সব জটপাকিয়ে যাবে। একবার একবার করে শিখে সেটাতে দক্ষ হয়ে তারপর নতুন একটি শিখবেন।

SCO এক্সপার্টের কাজ সম্পর্কে জানুন

SCO এক্সপার্টের কাজ সম্পর্কে জানুন? SCO এক্সপার্টের কাজ? "ব্লগার" কিংবা "ওয়েবসাইট ওনার" তারা এই নামটির সাথে পরিচিত। বর্তমানের সময় সবচেয়ে ট্রেনডিং এবং চ্যালেঞ্জিং মার্কেটিং হল SCO মার্কেটিং। একজন এক্সপার্ট অনলাইনে কত ভাবে নিজের অধিপত্য বজায় রেখে বিভিন্ন সেক্টর হতে ইনকাম করতে পারে তা বলে শেষ করা যাবে না। SCO এক্সপার্ট হতে গেলে অনেক ধৈর্য ও পরিশ্রমের প্রয়োজন হয় এবং দীর্ঘদিন যাবত কাজ করতে হয়।

তাই একজন SCO এক্সপার্ট এর দাম অন্যান্য কাজের তুলনায় অনেক বেশি হয়ে থাকে। আপনি যদি একজন এসইও এক্সপার্ট হতে পারেন। তাহলে অনলাইনে কাজ করে ইনকাম করার পাশাপাশি নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করে ইনকাম করতে পারেন। একজন প্রফেশনাল SCO এক্সপার্ট ঘন্টা প্রতি ইনকাম ১০০ থেকে ১৫০ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে।

ভিডিও এডিটিং শিখে টাকা আয়

আর্টিকেল রাইটিং শিখে টাকা আয়? বর্তমানে ভিডিও এডিটিং কাজের চাহিদা দিন দিন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। youtube থেকে শুরু করে facebook, twitter, instagram সব ধরনের প্লাটফমের ভিডিও চাহিদা রয়েছে। আর এই ভিডিওকে সুন্দরভাবে অবস্থান করার জন্য এডিট করা প্রয়োজন পড়ে। সেই জন্য বড় বড় প্রতিষ্ঠান কোম্পানি তাদের বিজ্ঞাপন তৈরি করার জন্য ভিডিও এডিটর খুজে থাকেন। এছাড়া চলচ্চিত্র, মিউজিক ভিডিও, নাটক, ছোট ছোট বিজ্ঞাপন জন্য ভিডিও এডিটরদের প্রয়োজন পড়ে। এক্ষেত্রে তারা ফ্রিল্যান্সারদের ভাড়া করেন।

বিশ্বের সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার গুলোর তালিকা উল্লেখ করা হলোঃ
  • Adobe Premiere Pro
  • Wondershare Filmora
  • Vegas Pro
  • Camtasia
  • Magix Movie Edit pro
আপনি চাইলে উপর রক্ত ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার শিখে প্রতি মাসে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ভিডিও এডিটিং এর মাধ্যমে ভিডিও এডিট করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করার সঠিক পদ্ধতি।

লেখক এর মন্তব্যঃ ফ্রিল্যান্সিং শিখে বেশি টাকা আয়

ফ্রিল্যান্সিং শিখে বেশি টাকা আয়? বর্তমান ফ্রিল্যান্সিং বাজার এখন প্রতিযোগিতামূলক একটি যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে রূপ লাভ করেছে। এখানে এখন আয় করা তো দূর কাজ করাটাই মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ এখন প্রতিযোগিতার সাথে সাথে প্রতিযোগীদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।ফ্রিল্যান্সিং করে যে কাজে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন আশা করি আপনাদের খুব সহজ ভাষায় বুঝতে পেরেছেন। আপনি যদি পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন। তাহলে আশা করছি আপনার মনে আর কোন প্রশ্ন নেই। 

যদি আমাদের আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করি আপনার বন্ধু-বান্ধবকে জানাতে পারেন।আমাদের আর্টিকেলটিতে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে আমাদের জানাবেন। আমরা দ্রুত ভুল সংশোধনের চেষ্টা করব। এতক্ষণ ধরে ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ💗

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url