কিভাবে বাংলাদেশের ছাত্ররা অর্থ উপার্জন করতে পারে বিস্তারিত জানুন
Jakia parvin jui
১১ ডিসে, ২০২৪
বাংলাদেশের ছাত্র হিসেবে অর্থ উপার্জন করতে হলে, সর্বপ্রথম অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি
জেনে থাকা জরুরী। আমরা যারা পড়াশোনার পাশাপাশি অর্থ উপার্জনের স্বপ্ন দেখে থাকি।
সাধারণত তাদের সবার একটি আশা থাকে যে, ছাত্র জীবনে ইনকাম করতে পারলে
পরিবারের উপর চাপ অনেকটাই কমে যাবে।
আপনি যদি একজন ছাত্র হয়ে থাকেন এবং ছাত্র জীবনে ইনকাম শুরু করতে চান। তাহলে
আজকের এই আর্টিকেল আপনার জন্য। এখানে আমরা ছাত্রদের অনলাইন ইনকাম করে কিভাবে সফল
হতে পারবে সে সম্পর্কে জানাবো। শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি সাথে থাকুন।
পেজ সূচিপত্র: কিভাবে ছাত্ররা অর্থ উপার্জন করতে পারে
কিভাবে ছাত্ররা অর্থ উপার্জন করতে পারে? বাংলাদেশের ছাত্ররা চাইলেই অনেকগুলো
মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারে। বুদ্ধি, পরিশ্রম, এবং মেধা দিয়ে সেই মাধ্যম
গুলো খুঁজে বের করে খুব সহজেই ছাত্ররা অর্থ উপার্জন করতে পারে। ছাত্র
জীবনের অর্থ উপার্জনের একটি সঠিক উপায় হল অনলাইন ইনকাম করা। অনলাইন ইনকাম করার
বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে। আপনি যদি একজন ছাত্র হয়ে থাকেন, তাহলে আজকের এই
আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।সাধারণত আমাদের মধ্যে
বেশিরভাগ ছাত্র রয়েছে।
যারা পড়াশুনা করার পাশাপাশি কিভাবে অর্থ উপার্জন করবে এই বিষয়টি চিন্তাভাবনা
করে থাকে। সাধারণত বেশ কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো করলে পড়াশোনার ক্ষতি না করে,
সহজে ইনকাম করা সম্ভব। ডিজিটাল মার্কেটিং প্লাটফর্মে বেশিরভাগ ছাত্ররাই
সফলতা অর্জন করে থাকে।
ছাত্ররা টিউশনি করানোর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন
ছাত্ররা টিউশনি করানোর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন? বাংলাদেশের ছাত্রদের সবচেয়ে
পছন্দের অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হচ্ছে টিউশনি করানো। এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে
জনপ্রিয় উপায়, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের ছাত্ররা অর্থ উপার্জন করে। বিশেষ
করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা তাদের অবসর সময় টিউশনি করানোর মাধ্যমে অর্থ
উপার্জন করে থাকে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাত্রদের টিউশনি
করানোর চাহিদা অনেক বেশি থাকে। যে ছাত্র যে বিষয়ে অভিজ্ঞ ও যে বিষয় নিয়ে
পড়ালেখা করে সেই ছাত্রকে উক্ত বিষয়ের উপর টিউশনি করিয়ে থাকে। এর ফলে সে উক্ত
বিষয়ে পেশাগত ভাবে সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকে।
সবার একটাই প্রশ্ন যে বাংলাদেশে কিভাবে ছাত্ররা অর্থ উপার্জন করতে পারে?
টিউশনের মধ্য দিয়ে। কিন্তু অনেক ছাত্র অভিযোগ করে থাকে যে, তারা পড়ানোর জন্য
কাউকে পাই না। কিন্তু সে যদি এই সমস্যার সমাধান হিসেবে পেশাগত ভাবে পেপারে
বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে যে, সে পড়াতে চান। তাহলে সে খুব সহজে টিউশনি পেয়ে যাবে।
টিউশনি করানোটা মূলত, বাংলাদেশের ছাত্রদের জন্য সহজ।
ছাত্ররা ফিলান্সিং এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারে
ছাত্ররা ফিলান্সিং এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারে? ফ্রিল্যান্সিং হলো
সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায়। যার মাধ্যমে ছাত্ররা অর্থ উপার্জন করতে পারে।
ফ্রিল্যান্সিং একটি বিশাল ক্ষেত্র। একজন ছাত্রকে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য বিশেষ
দক্ষতা সম্পর্কে জানতে হবে।
ওয়েব ডিজাইন, ডেভেলপেমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, এসইও, কন্টেন রাইটিং ইত্যাদি
freelansing এর কিছু ক্ষেত্র। একজন ছাত্র যদি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান। তবে তাকে
অবশ্যই ব্যক্তিগতভাবে এই দক্ষতা গুলো শিখতে হবে। কোন ছাত্র যদি মনে করে যে সে
ফ্রিল্যান্সিং করতে চাই। তাহলে তাকে অবশ্যই ব্যক্তিগতভাবে এই স্কিল গুলো শিখে
নিতে হবে।
আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য এই ধরনের কোর্সের ব্যবস্থা
নেই। ছাত্রদের কে এই স্কিল বিভিন্ন একাডেমি অথবা ইন্টারনেট থেকে শিখে নিতে হবে।
অনেকগুলো চ্যানেল রয়েছে যেখানে ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে ফ্রি ধারনা দেওয়া হয়ে
থাকে। শিক্ষার্থীর যেকোন একাডেমি বা ইন্টারনেট থেকে এই দক্ষতা সম্পর্কে শিখতে
পারে। ইউটিউবে এমন অনেক চ্যানেল রয়েছে, যেখানে ওয়েব ডিজাইনের মত জিনিসগুলি
বিনামূল্যে শেখা যায়। সুতরাং, একজন শিক্ষার্থী কোন অর্থ ব্যয় না করে youtube
থেকে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে শিখতে পারে। কিছু শিক্ষার্থী তাদের সম্পূর্ণ করা কাজে
কোর্সের একটি প্রশংসা পেতে চাই।
কিন্তু ইউটিউবে শেখার একটি উন্নতি স্তর খুজে পাওয়া খুব কঠিন। যে সকল ছাত্র
ছাত্রীরা সার্টিফিকেট অর্জন করতে চাই।বা কোন বিষয়ে অ্যাডভান্স লেভেল শিখতে চাই।
তারা পেড কোর্স করতে পারে। Udemy, Udacity, Coursera একটি প্রশংসা পত্রসহ অর্থ
প্রদানের কোর্স প্রদান করে। এছাড়া তাদের কাছে গ্রাফিক্স ডিজাইন, এসইও ইত্যাদি
বিষয়ের জন্য শিক্ষা উপাদানের অগ্রিম স্তর রয়েছে। দক্ষতা অর্জনের পর শিক্ষার্থী
দেশী বা বিদেশি কোম্পানির সাথে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারে। যে কোন লোকাল কোম্পানিতে
ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করলে ভালো হবে। এটি একজন ছাত্রকে অনেক নতুন জিনিস
শিখতে সাহায্য করে।
ফেসবুক গ্রুপে অনুসন্ধান করে ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য বিভিন্ন কাজ খুঁজে পেতে
পারেন। কাজ পাওয়ার জন্য স্থানীয় লোকদের সাথে সংযুক্ত হওয়ার উপায়। একজন
শিক্ষার্থী ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গ্রাফিক ডিজাইনিং করতে চাইলে, তাকে গ্রাফিক্স
ডিজাইনিং সম্পর্কিত ফেসবুক গ্রুপে সার্চ করতে হবে। চাকরি পাওয়ার জন্য ফেসবুক
গ্রুপ খুব ভালো মাধ্যম। একজন ছাত্রী যদি মনে করে যে, সে গ্রাফিক ডিজাইন হিসেবে
তার ক্যারিয়ার শুরু করতে চাই। তাহলে অবশ্যই ফেসবুক গ্রুপে সম্পর্কিত গ্রাফিক
ডিজাইন খুঁজতে হবে। অনেক লোকজনই ফ্রিল্যান্সারের জন্য চাকরির ভেকেন্সি নিয়ে
থাকে।
সেক্ষেত্রে একজন ছাত্রী চাইলে সেখান থেকে তার ক্যারিয়ার শুরু করতে পারে। একজন
ছাত্রীকে চাইলে বিদেশী কোম্পানিতে কাজ খুঁজে নিতে পারে এক্ষেত্রে তার ইংরেজি
জানাটা জরুরী। তার একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এনআইডি কার্ড অথবা পাসপোর্ট এর
প্রয়োজন হয়ে থাকে। অনেকে ফ্রিল্যান্সারের জন্য শূন্য পদ জমা দেয়। কোন বিশেষ
কাজ করার জন্য একজন ছাত্র তার ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারে। ওই দেশীয়
কোম্পানিগুলোর সাথে।
একজন শিক্ষার্থী বিদেশী কোম্পানিতেও ফ্রিল্যান্সিং করতে পারে। তবে তার জন্য
কিছু জিনিস লাগবে। উদাহরণস্বরূপ, একটি ব্যাংক একাউন্ট, একটি এনআইডি কাড বা
পাসপোর্ট সেখানে একটি একাউন্ট খোলার জন্য।
১৮ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি NID , একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট
পাওয়া খুব কঠিন। তারা বিদেশি ক্লাইন্ট এর সাথে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে
তাদের পিতা-মাতার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং এনআইডি ব্যবহার করতে পারে। একজন
ছাত্রী চাইলেই ফাইবার ও upwork থেকে বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল
ফ্রিল্যান্সিং জব পেতে পারে। একজন ছাত্রী ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সিং
চাকরি খোঁজে দেখতে পারে। একজন ছাত্রী বাংলাদেশে বসে এসব ওয়েবসাইট
থেকে অর্থ খুব সহজেই উপার্জন করতে পারে। দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং
সময়মতো প্রজেক্ট সাবমিট করতে হবে। এবং আরো নানাভাবে এই সেক্টরের সফল হতে
পারে।
একজন শিক্ষার্থী ফাইবার আপ ওয়ার্কের মতো ওয়েবসাইটে আন্তর্জাতিক
ফ্রিল্যান্সিং চাকরির সন্ধান করতে পারে। এই ওয়েবসাইটগুলো ছাড়া আরো কিছু
ওয়েবসাইট রয়েছে। যেখানে একজন শিক্ষার্থী আরও ফ্রিল্যান্সিং চাকরি সন্ধান
করতে পারে। একজন শিক্ষার্থী এ ওয়েবসাইট গুলো থেকে বাংলাদেশের অর্থ উপার্জন
করতে পারে।
ব্লগিং করে ইনকাম
বর্তমান সময়ে ঘরে বসে থেকে ইনকাম করার একটি সহজ মাধ্যম হলো ব্লগিং। বিশেষ করে
আপনি যদি একজন ছাত্র হয়ে থাকেন এবং পড়াশোনার পাশাপাশি ইনকাম করতে চান। তাহলে
এই উপায়টি অবলম্বন করতে পারেন। যদি ব্লগিং করে ইনকাম করতে চান তাহলে
আপনাকে প্রথমে একটি ওয়েবসাইট ওপেন করতে হবে নিয়মিত এবং google এডসেন্স পেলে
ইনকাম শুরু হবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে
যদি আপনার একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকে এবং আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটের সংখ্যা অনেক
বেশি থাকে তাহলে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারবেন। সাধারণত
এখানে বেশ কিছু পণ্যের বিজ্ঞাপন দিতে হবে। এই বিজ্ঞাপন থেকে যারা এ ধরনের
পণ্যগুলো ক্রয় করবে, সাধারণত তাদের কাছ থেকে কমিশন হিসেবে যে টাকা পাবেন সেটি
আপনার ইনকাম
ডিজিটাল মার্কেটিং করে
বর্তমান সময়ে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল ডিজিটাল মার্কেটিং। অনলাইনে যে সকল কাজ
রয়েছে এগুলো থেকে সবথেকে চাহিদা সম্পন্ন কাজ হল ডিজিটাল মার্কেটিং। সাধারণত বড়
বড় প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রতিষ্ঠান এবং পন্যকে মানুষের কাছে পরিচয় করিয়ে
দেওয়ার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর আশ্রয় নিয়ে থাকে। মানুষ এখন যেকোনো
পন্য ক্রয় করার আগে ইন্টারনেট এ পন্য সম্পর্কে জেনে বুঝে,তারপর ক্রয় করে। মানুষ
এখন দোকানে ঘুরে ঘুরে না কিনে অনলাইন থেকে বেশির ভাগ কেনাকাটা করে থাকে।
তাই আপনি যদি হন তাহলে আপনার উচিত। ডিজিটাল মার্কেটিং গ্রাফিক ডিজাইন করে আরো
একটি চাহিদা সম্পন্ন কাজ হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন। বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং
সেক্টরে যে সকল কাজ রয়েছে সেগুলোর মধ্যে অত্যন্ত চাহিদা সম্পন্ন কাজ গ্রাফিক্স
ডিজাইনার হায়ার করে তাদের থাকে, তাদের কোম্পানির জন্য গ্রাফিক ডিজাইন করতে।
ফাইবার ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই ফাইবার
ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ ফ্রিল্যান্সিং এর এই কাজগুলো ফাইবার
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। এখানে আপনি যে কাজের উপর এক্সপার্ট সে
কাজগুলো নিতে পারেন এবং কাজ হয়ে যাওয়ার পরে আপনার ক্লায়েন্টকে ডেলিভারি দিয়ে
অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
একজন ছাত্র হিসেবে ইনকাম
ছাত্র লাইফে ইনকাম ছাত্র জীবনে ইনকাম করতে হলে আপনাকে আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ
সহকারে পড়তে হবে। আমরা যারা পড়াশোনা করি সাধারণত আমরা সবাই ছাত্র জীবনে ইনকাম
করতে চাই। অনেকেই পড়াশোনা অবস্থায় ইনকাম করতে পারে। আবার অনেকেই পারে না এখন
যদি বলি আপনি যদি একজন ছাত্র হয়ে থাকেন এবং বাড়ির ওপর চাপ কমাতে থাকেন। নিজের
পড়াশোনার খরচ নিজে চালাতে চান। তাহলে ছাত্র জীবনে ইনকামের পদ্ধতি
রয়েছে।
বর্তমান সময়ে সব থেকে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হলো ফেসবুক ব্যবহার করে
না এরকম মানুষ খুব কম রয়েছে। ফেসবুক থেকে পুরো ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করা
যায়। এই বিষয়টি চালু হওয়ার পর থেকে আপনার যদি ফেসবুকে একটি পেজ থাকে এবং সেখানে
ভালো পরিমানে ফ্যান ফলোয়ার থাকে তাহলে আপনি ফেসবুক থেকে অর্থ উপার্জন করতে
পারেন। আর্টিকেল লিখে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে যারা আর্টিকেল লিখে অর্থ প্রদান
করে। আপনি যদি লেখালেখি করতে পছন্দ করে থাকেন বাংলা অথবা ইংরেজিতে।
তাহলে আপনার জন্য ভালো একটি কাজ যা পড়াশোনার পাশাপাশি করা যায়। আপনি যদি
পড়াশোনা ক্ষতি না করে ইনকামের একটি ভালো সুযোগ খুঁজে থাকেন। তাহলে লেখালেখি
অর্থাৎ আর্টিকেল লিখতে পারেন।
ছবি বিক্রিঃ
ছবি বিক্রি করে? যদি আপনি ছবি তুলতে পছন্দ করেন তাহলে আপনার জন্য অনেক ভালো
একটি সুযোগ হল ছবি বিক্রি করে আয় করা। বর্তমান সময়ে আমরা যে কোন মুহূর্তের ছবি
বন্দী করে রাখতে চাই। যদি আপনি ছবি তুলতে ভালো লাগে, তাহলে বিভিন্ন জনের বিয়ে
অথবা বিভিন্ন রকম আচার অনুষ্ঠানে গিয়ে ছবি তুলে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
অনলাইনে ব্যবসা করে
সাধারণত এখন যেহেতু প্রতিটা মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এবং ইন্টারনেটের সাথে
বিভিন্ন ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হলো অনলাইন। আপনি যদি একটি ব্যবসা শুরু
করেন এবং সেটি অনলাইনের মাধ্যমে প্রচার করেন তাহলে অনেক মানুষ ক্রয় করবে।
পড়াশোনার পাশাপাশি অর্থ উপার্জন করার উপায়
ছাত্র জীবনে অনলাইন ইনকাম কিভাবে করবেন এই সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি।
ওপরে যে উপায়গুলো তুলে ধরা হয়েছে সাধারণত এগুলো আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি করতে
পারবেন। পড়াশোনার পাশাপাশি যদি ইনকাম করা যায় তাহলে আমাদের পরিবারের উপর চাপ
অনেকটাই কমে যায়। অনেকেই পড়াশোনা পাশাপাশি কাজ করা সম্ভব কিনা এ বিষয়গুলো
সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করতে থাকে। যে সকল উপায়ে কাজ করা যায়। তার মধ্যে অন্যতম
হলো মোবাইল সার্ভিসিং।
মোবাইল সার্ভিসিং
বর্তমান সময়ে সবার কাছে স্মার্টফোন রয়েছে। অনেক সময় বিভিন্ন কারণে আমাদের
স্মার্টফোনগুলো নষ্ট হয়ে যায়। সাধারণত তখন আমাদেরকে এই ফোনগুলো মোবাইল সার্ভিসিং
এর দোকানের নিয়ে যেতে হয়। আপনি যদি মোবাইল সার্ভিসিং সম্পর্কে ধারণা রাখেন,
তাহলে ছোট একটি দোকান নিয়ে এ ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
জুতার দোকান
আমরা সবাই জুতা পড়তে পছন্দ করি। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের জুতা এসে থাকে। এখন
আপনি যদি হালাল কোন ব্যবস্থা করতে চান, তাহলে জুতার ব্যবসা করতে পারেন। তাহলে
আপনি লাভবান হবেন।
ফাস্টফুড এর ব্যবসা
ফাস্টফুড এর ব্যবসা? আমাদের মধ্যে ফাস্টফুড খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কম
রয়েছে। বিশেষ করে এই জেনারেশনের মানুষ ফাস্টফুড অতিরিক্ত পরিমাণে খেয়ে থাকে।
যদি আপনি দোকান না দিতে পারেন। তাহলে ছোট্ট একটি ঠেলাগাড়ি নিয়ে একটি নির্দিষ্ট
জায়গায় যেখানে মানুষের সমাগম বেশি। সাধারণত সেখানে ফাস্টফুড এর ব্যবসা
শুরু করতে পারেন।
রেস্টুরেন্টের ব্যবসা
সাধারণত আমরা বেশিরভাগ সময় রেস্টুরেন্টে গিয়ে থাকি। বর্তমান সময়ের সফল
একটি ব্যবসা হল রেস্টুরেন্টের ব্যবসা করতে পারেন।। সাধারণত স্কুল কলেজ অথবা
ইউনিভার্সিটির পাশে আপনাকে এ ব্যবসা করতে হবে কারণ ইয়াং জেনারেশনের মানুষ বেশি
রেস্টুরেন্টে গিয়ে থাকে।
বইয়ের ব্যবসা
অন্যতম একটি সফল ব্যবসা হল বইয়ের ব্যবসা। যদিও বর্তমান সময়ে বই পড়ার মত মানুষ
অনেক কমে গিয়েছে। তবু বেশ কিছু মানুষ রয়েছে যারা বিভিন্ন ধরনের বই পাইকারি দামি
কিনে খুচরা দাম দিয়ে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করে।যেসব শিক্ষার্থী গ্রামে বসবাস
করে, তারা চাইলে খুব সহজে গৃহপালিত পশু লালন পালন করে অনায়াসে অর্থ উপার্জন করতে
পারে। গৃহপালিত পশু বিক্রি ও লালন পালন খুব অল্প পুঁজি দিয়ে শুরু করা যায়। একজন
শিক্ষার্থী কিছু গৃহপালিত পশু যেমনঃ ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মুরগি অথবা গরু
কিনতে পারে। সেগুলো লালন পালন করার পরে বিক্রি করে একজন শিক্ষার্থী অর্থ উপার্জন
করতে পারে। বাজারে বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারে।যে সকল শিক্ষার্থী গ্রামে পশু
বিক্রি করে থাকে। তাদের জন্য এটি একটি গেম চেঞ্জার হতে পারে।
পশু বিক্রি খুব অল্প বিনিয়োগে শুরু করা যায়। একজন ছাত্র ছাগল ভেড়া বা গরুর মত
কিছু পশু কিনতে পারে। তার উচিত তাদের খাওয়ানো, তাদের যত্ন নেওয়া, তারা যখন বড়
হয় তখন শিক্ষার্থীরা পশু বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারে, অনেক ছাত্রের
সমস্যা হলো তারা মোটেই পশু বিক্রি করতে চায়না। তাদের মধ্যে কেউ মনে করে
পড়াশোনার সময় পশু বিক্রি করা তাদের জন্য অপমানজনক হবে। পশু বিক্রি করা লজ্জাজনক
কিছুই নয়। তাদের উচিত গর্ব করে পেশা গ্রহণ করা। এছাড়াও পশু বিক্রির এই পেশা শুরু
করার আগে,তাদের উচিত। সকল পেশাকে গর্বের সাথে গ্রহণ করা। শিক্ষার্থীরা গৃহপালিত
পশু বিক্রির আগে সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকতে হবে। গ্রামে বসবাসকারী
শিক্ষার্থীদের জন্য একটি গেম চেঞ্জার হতে পারে।
বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা অর্থ উপার্জন করতে পারে এরকম আরো মাধ্যম
একজন ছাত্রী ছাত্র-ছাত্রী চাইলে কোন কিছু দোকান দিতে পারে। হতে পারে সেটি খাতা
কলম বা কোন ছোট খাবার হোটেল এর মাধ্যমে সে অবসর সময়ে কাজ করে ব্যবসা সম্পর্কে
অনেক বেশি অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে। শিক্ষার্থীদের অর্থ উপার্জন কে শুধুমাত্র
টাকা ইনকাম এর মাধ্যম হিসেবে নয়
অভিজ্ঞতার মাধ্যমে হিসেবেও নিতে পারে। এতে তাদের ব্যবসা সম্পর্কে যেমন ভালো
ধারণা হবে, তেমনি বাস্তব অভিজ্ঞতাও বাড়বে যদি কোনো কারণে একজন ছাত্র-ছাত্রী
তার অর্থ উপার্জনের কাজে ব্যর্থ হয়ে থাকে।
তাহলে সে তার ব্যর্থতাকে জীবনের শিক্ষা হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। সেখান থেকে
কিভাবে ব্যবসায় লাভ করা যায় বা লস হলে সেই লস কিভাবে কাটে উঠতে হয় সময়ের মধ্যে
শিখে যেতে পারে। যা ভবিষ্যতে তাদেরকে খুব বড় ব্যবসায়ী হতে সাহায্য করবে।
কেন শিক্ষার্থীদের জন্য চাকরি পাওয়া কঠিন
কেন ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য চাকরি পাওয়া কঠিন? বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাটাই হয়ে
গেছে বইয়ের মধ্যে থাকা সীমাবদ্ধ জ্ঞানের ওপর। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায়
প্রাক্টিক্যাল কাজের সুযোগটা খুব কম রয়েছে। যেটা দেশের বাহিরে শিক্ষা খুব
ভালোভাবে রয়েছে। বিভিন্ন কোম্পানি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকগুলো সদ্য পাশ
করা ক্যান্ডিডেটের সাথে থেকে অভিজ্ঞ ক্যান্ডিডেট কে নির্বাচন করে থাকে। চাকরির
জন্য কিন্তু এই পরিস্থিতি পরিবর্তন হতে পারে। যদি শিক্ষার্থীরা শিক্ষাজীবন থেকে
টুকটাক ইনকাম পথে হেটে থাকে।
তাহলে তাদের অভিজ্ঞতা হবে এবং তারা খুব সহজেই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে চাকরি পেতে
পারে। এখনকার সময় শিক্ষা ব্যবস্থায় ক্লাব কালচারটা খুব সাধারণ হয়ে উঠেছে।
ছাত্রছাত্রীরা চাইলে এখানে অংশগ্রহণ করে অনেক জ্ঞান সংগ্রহ করতে পারে। এটি তাদের
ক্যারিয়ারের লক্ষ্য পৌছাতে সাহায্য করবে।
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার পাঠশালা সফটওয়্যার ভূমিকা কতটুকু
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার পাঠশালা সফটওয়্যার ভূমিকা কতটুকু? পাঠশালা সফট
হচ্ছে বর্তমানে বাংলাদেশের একটি নতুন সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি।
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের কাজ করছে। পরিশ্রমী এবং মেধাবির
সফটওয়্যার ডেভলপার বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য পাঠশালা সফট
প্রতিষ্ঠা করেছেন। মাদ্রাসা বিদ্যালয় কলেজ বিভিন্ন স্থানে ব্যবহার করা হয়ে
থাকে।
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতি সংগ্রহ গ্রহণ যোগ্যতার কাজ, পরিশোধের কাজ,
অনলাইন এডমিশন এর কাজ কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
রেজাল্ট পাবলিশ করে এবং তথ্য সংগ্রহ করে রাখে এ সফটওয়্যার এর তথ্য সংগ্রহ
সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ এবং নিশ্চিত থাকে এই পাঠশালা সফটওয়্যার এর মাধ্যমে। বিভিন্ন
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনেক মূল্যবান সময় বেঁচে যায়। এই সফটওয়্যার এর মাধ্যমে
শিক্ষকরা ছাত্র-ছাত্রীদের উপরে আরো বেশি মনোযোগী হতে পায়।
ছাত্র-ছাত্রীদের অর্থ উপার্জন কিভাবে শুরু করা উচিত
ছাত্র-ছাত্রীদের অর্থ উপার্জন কিভাবে শুরু করা উচিত? একজন ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনার
ভালোভাবে চালিয়ে যাওয়ার পর এর পাশাপাশি চাইলে নানান ভাবে টাকা আয় করতে পারে।
কিন্তু এটা এমনই এমনি এমনি হয়ে যাবে না। কেউ এসে একজন শিক্ষার থেকে অর্থ কামাই
করে দিয়ে যাবে না। একদিনে বা অল্প সময়ে টাকা অনেক বেশি চলে আসবে না। যে আমি
একজন শিক্ষার্থী হয়ে এই কাজ কেন করব। কাকে মূলত কাজ হিসেবে নয়, শিক্ষার্থীদের
এটিকে অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষা হিসেবে গ্রহণ করা। যাতে ভবিষ্যতে শিক্ষাজীবনে কাজের এই
শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে অনেক বড় কিছু হওয়া যায়।
মানুষের কাছে সাহায্যের জন্য যাওয়া লাগবে অনেকে এগিয়ে আসবে আবার অনেকেই আসবে
না। একটি কাজ শেখার পরে সেই কাজের সফলতার জন্য কিছু কৌশল রয়েছে। এ কৌশল গুলো কেউ
ধরে ধরে শিখিয়ে দেবে না। অভিজ্ঞতা ব্যর্থতা এবং জ্ঞানের মাধ্যমে এই কৌশল গুলোকে
আয়ত্ত করে নিতে হবে। সবথেকে বড় কথা একজন শিক্ষার্থী কোন কাজটি ভালো পারে বা কোন
কাজে তার আগ্রহ বেশি এটি বোঝার পরে কাজ শুরু করা। কেউ একজন একটি কাজে ভালো করছে
মানে ওই এই নয় যে আরেকজন সে একই কাজে একই রকম ভাবে ভালো করবে। শিক্ষার্থীদের
অর্থ উপার্জন শুরু করা উচিত।
কেন একজন শিক্ষার্থীর অর্থ উপার্জন করা উচিত
কেন একজন শিক্ষার্থীর অর্থ উপার্জন করা উচিত? অনেকেই মনে করে থাকেন যে,
শিক্ষাজীবন শুধুমাত্র পড়ালেখার জন্য। এর বাইরে কোন কাজ নেই এ ধারণাটি ভুল।
এর আগে আমরা জেনে আসলাম যে কিভাবে শিক্ষার্থীরা আয় করতে পারে। কোন শিক্ষার্থীর
বাবা-মায়ের যদি অনেক অর্থ থাকে তবু তার সময় পেলে কাজ করা উচিত। হতে পারে সেটি
তার বাবার ব্যবসা বা অন্য কিছু হতে পারে। একজন ছাত্র বা ছাত্রীর বাস্তব জ্ঞান
অভিজ্ঞতা বেড়ে যায়। যা মানুষের জীবনে অতি প্রয়োজনীয় একটি জিনিস বাবা-মায়ের
পরে এই ধরনের শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা একজন ছাত্র-ছাত্রীকে ভবিষ্যতে অনেক উঁচু পর্যায়ে
নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মানুষের জীবনে খারাপ সময় যে কোন পর্যায়ে আসতে পারে। খারাপ সময়ে নিজেকে
শক্তভাবে দাঁড় করিয়ে রাখার জন্য আর্থিক স্বচ্ছলতা প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে
অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। একজন ছাত্র-ছাত্রী অর্থ উপার্জন যেমন স্বচ্ছলতা নিয়ে
আসে। ঠিক তেমনি খারাপ সময়ে শক্ত খুঁটি হিসেবে কাজ করে, তাই শিক্ষা জীবনে কাজ
করাটাকে ছোট মনে না। এটি কি জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে চিন্তা করে টাকা আয়
করা উচিত। একজন করলে আরো একজন তাকে দেখে উৎসাহী হবে এবং অর্থের প্রয়োজন না
থাকলেও শিক্ষা জীবন থেকে অর্থ উপার্জন করা বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠবে।
ছাত্র জীবনের অর্থ উপার্জন ভবিষ্যতের সফলতা চাবিকাঠি
ছাত্র জীবনে অর্থ উপার্জন ভবিষ্যতের সফলতার চাবিকাঠি? ছাত্রজীবনে অর্থ উপার্জন
করা আপনাকে পরিশ্রমী হতে শেখায়। আপনার মেধার সঠিক ব্যবহার হয় এবং আপনার মেধার
পরিধি আরও বাড়তে থাকে। ভবিষ্যতের জন্য নতুন আইডিয়া পাওয়া যায়। ছাত্র জীবনে
আয়ের পথে যে ব্যর্থতা আসে সেগুলো ঠিক করে উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা ও বুদ্ধি আসে।
ছাত্র জীবনের টাকা উপার্জনের মধ্যে দিয়ে শক্ত ও সাবলীল মানুষ হতে সাহায্য করে।
ছাত্র জীবনের টাকা ইনকাম একজন শিক্ষার্থীকে অনেক বেশি বিচক্ষণ করে তোলে।
এর ফলে সে নানা ধরনের মানুষের সাথে ওঠা বসা করে। যা তাকে মানুষ চিনতে সাহায্য
করে। আর জীবনে প্রতি পর্যায়ে মানুষকে চিনে জেনে বুঝে চলতে পারাটা অনেক বেশি
জরুরি। এর ফলে একজন মানুষ সহজে ঠকে যায় না। জীবনের প্রত্যেকটা ধাপ যে সহজ নয়
এবং অর্থ উপার্জন করাটাও যে সহজ নয়। তার শিক্ষাজীবনে একজন শিক্ষার্থী অর্থ
উপার্জনের মাধ্যম দিয়ে বুঝে নিতে পারে।
ছাত্র জীবনে অর্থ উপার্জন করার কঠিন নাকি সহজ
ছাত্র জীবনে অর্থ উপার্জন করা কঠিন নাকি সহজ? শুধু ছাত্র জীবনে কেন কর্মজীবনেও
অর্থ উপার্জন করা খুব সহজ নয়। এর জন্য প্রয়োজন সততা নিষ্ঠা মেধা যোগ্যতা সময় ও
পরিশ্রম এর পরে আসে অর্থ। আবার অনেক সময় অর্থ আয়ের জন্য অর্থ টাকা ও দরকার হয়।
কর্মজীবনে সকল ফোকাস থাকে। শুধুমাত্র অর্থ উপার্জনের ওপর কিন্তু ছাত্র জীবনে
পড়ালেখাটাই হয়ে থাকে প্রধান লক্ষ্য। যার ফলে ভালোভাবে পড়ালেখা চালিয়ে যাবার পরও অর্থ ইনকামটা একটু কঠিন হয়ে
যায়।
সারাদিন ক্লাস করার পরে আবার কাজ করা খুব একটা সহজ নয়। আবার নিজের পড়ালেখা তো
আছে তাহলে কি শিক্ষার্থীদের আয় করা উচিত নয়। সঠিক ব্যবহার করতে জানলে এবং
পরিশ্রমী হতে পারলে সকল কাজ আমাদের জন্য সহজ হয়ে যায়। আমাদের প্রত্যেকের মনে
রাখা উচিত জীবনটা আসলে সহজ নয়। সহজ করে নিতে হয় আর তার জন্য প্রয়োজন টাকা আয়
করা।
আত্মবিশ্বাস বাড়াতে অর্থ উপার্জন করায় শিক্ষার্থীর ভূমিকা কতটুকু
আত্মবিশ্বাস বাড়াতে শিক্ষার্থীর অর্থ উপার্জনের ভূমিকা কতটুকু? একজন শিক্ষার্থীর
আত্মবিশ্বাস বাড়াতে অর্থ উপার্জন করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই আত্মবিশ্বাস একজনকে
তাড়াতাড়ি আত্ম নির্ভরশীল হতে সাহায্য করে আর আত্মনির্ভরশীল হতে পারে।
প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি অংশ আত্মনির্ভরশিল। মানুষ
কারো কাছে বোঝা হয় না সকলের কাছে প্রিয় হয়।
শিক্ষার্থীগুলো জীবনে আসল মানেটা বুঝতে পারে না। ফলে পড়ালেখা শেষ করে অভিজ্ঞতার
অভাবে তারা যখন কোন চাকরি করতে পারেনা। তখন তারা হতাশায় ভোগে নিজে ইনকাম করলে
টাকার গুরুত্বটা ভালোভাবে বোঝা জায়। যার ফলে টাকা জমানোর অভ্যাস টাকার
গুরুত্ব বোঝার পর থেকেই আসে। ছাত্র জীবনে টাকা আয় আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর সাথে
টাকা সঞ্চয় করবে এবং অহেতুক খরচ করা কমে যাবে। যা ভবিষ্যতে তার জন্য এটি সফলতার
চাবিকাঠি হিসেবে কাজ করবে।
জীবনের মান উন্নয়ন বৃদ্ধি
জীবনের মান উন্নয়ন বৃদ্ধি পায় শিক্ষা জীবনে। একজন শিক্ষার্থীর অর্থ উপার্জন
করার উন্নতির সিঁড়ি হিসেবে। কাজ করে এখান থেকে একজন শিক্ষার্থী বুঝতে পারে টাকা
আয়ের গুরুত্ব কতটুকু এবং টাকা আয় করার মধ্য দিয়ে যে একটা মজা আছে সেটা
শিক্ষাজীবনে আয় করার মাধ্যমে বোঝা যায়। নিজের ইচ্ছাগুলো পূরণ করা যায়। চাইলে
প্রিয়জনদের উপহার দেওয়া যায়। নিজের সব পূরণ করা যায় এর ফলে জীবনে উন্নয়ন ঘটে
। যদিও এ সাধারন কথাগুলি আমরা সবাই জানি কিন্তু এই আর্টিকেল যখন একজন শিক্ষার্থী
পড়তে আসবে তখন তার কাছে এ সাধারণ কথাগুলো অসাধারণ লাগবে ।
কারণ অল্প বয়সে এই কথাগুলো সাধারণত শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারে না। আবার কেউ কেউ
পারেনা উপার্জনের উপর দিয়ে আর কিছুই হয় না । পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি কথাটি
এমনি এমনি তৈরি হয়নি। আর অল্প বয়স থেকে পরিশ্রম মানুষকে অনেক বেশি উপরে নিয়ে
যায়।
লেখকের মন্তব্য: কিভাবে ছাত্ররা অর্থ উপার্জন করতে পারে
উপরে উল্লেখিত উপায়ে মাধ্যমে মাধ্যমে আমরা ছাত্র জীবনে কিভাবে অর্থ উপার্জন করা
যায় সে বিষয়ে জানতে পেরেছি। আপনি চাইলে আপনার পছন্দের কাজের মধ্য দিয়ে আমার থেকে অনেক বেশি টাকা আয় করতে
পারেন এবং অনেককে করে থাকে। যে কোন সফল এবং ধনী ব্যক্তির গল্প করলে আপনি জানতে
পারবেন যে সে সফল একদিনে হয়নি। বরং তার এই যোগ্যতা মেধা এবং ছোটবেলা থেকে কাজে
লাগিয়েছে। তারা উৎকৃষ্ট উদাহরণ যে পড়াশোনার পাশাপাশি চাইলে ভালো কিছু করে
টাকা আয় করা যায।
ছাত্র জীবনের ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনেক অর্থ উপার্জন করা যায়। আর এই
অর্থ উপার্জনের জন্য সর্বপ্রথম যে জিনিসটির প্রয়োজন তাহলে ধৈর্য কঠিন
অধ্যাবস্যায় তাহলেই সম্ভব। আমাদের আর্টিকেলটি পরে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন।
তবে বেশি বেশি করে শেয়ার করে দিবেন এবং এতক্ষণ ধৈর্য ধরে থাকার জন্য আপনাকে
অসংখ্য ধন্যবাদ💗
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url