গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর এমন ফল যা সারা বছর পাওয়া যায়। এই পুষ্টিকর ফলটির গুণের শেষ নেয়। ছোট বড় সবাই এই ফলটি খেতে অনেক পছন্দ করে। ফলটির নাম হল কলা। এটা রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা এবং কলা খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেবেন। কেননা খোলা অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি ফল। গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার অনেক উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ রয়েছে। চলুন বিষয়গুলো বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।

পেজ সূচিপত্র: গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা 

গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা? গর্ভাবস্থায় কলাকে অত্যন্ত স্বাস্থ্য কর ফল হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।
গর্ভাবস্থায় বমি বমি ভাব এবং অসুস্থতা থেকে মুক্তি প্রদান করতে কলার বিশেষ অবদান রয়েছে। বমি বমি ভাব এবং অসুস্থ থেকে মুক্তি প্রদানের ক্ষেত্রে কলার উপকারিতা জুড়ি মেলা ভার। কলায় রয়েছে ভিটামিন বি৬। ভিটামিন বি৬ গর্ভাবস্থায় বমি বমি ভাব এবং অসুস্থতা নিরাময় করতে পারে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মতে, গর্ভাবস্থায় প্রথম এৈমাসিকে কলা খাওয়া গর্ভবতী মায়েদের জন্য সুপারিশ করা হয়।
  • হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
  • হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
  • শরীরের শক্তি যোগায়
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
  • ত্বকের উজ্জ্বলাতে বৃদ্ধি করে
  • ওজন কম করাতে সাহায্য করে
  • কিডনি ভালো রাখে 
  • চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি
কলাতে ক্যালসিয়াম রয়েছে। ক্যালসিয়াম শরীরের হাড় শক্ত করে। শুধু তাই নয় ক্যালসিয়া দাঁতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। গর্ভাবস্থায় কলা খেলে গর্ভবতী মায়েদের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর হয়। এবং গর্ভবতী মায়েদের দাঁতের যত্নে কলার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা? গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার স্বাস্থ্যকরিতা ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। কলা প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে সমৃদ্ধ একটি ফল। গর্ভাবস্থায় বিশেষভাবে কলা খাওয়া উপকারী।
কলা তে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি।
  • ভিটামিন বি৬ঃ ভিটামিন বি৬ মস্তিষ্কের বিকাশ সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন বি৬ কলার মধ্যে পাওয়া যায়।
  • ভিটামিন সিঃ ভিটামিন সি এ জাতীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আয়রন শোষণে ব্যাপক সহায়তা করে। 
  • পটাশিয়ামঃ গলাতে পটাশিয়াম থাকার কারণে তরল এবং ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখে।
  • ফাইবারঃ কলা একটি স্বাস্থ্যকর ফল। যা হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়া কেন জরুরি

গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়া কেন জরুরি? গর্ভাবস্থায় প্রতিটা মায়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিভিন্ন পুষ্টিকর খাদ্য সেবন করে থাকে। পুষ্টিকর খাদ্য গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য অবদান রাখে। গর্ভবতী মায়ের পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা কলা একটি পুষ্টিকর খাদ্য।

মাথা ব্যথা দূর করে 

বিভিন্ন কারণে মাথাব্যথা সমস্যা হয়ে থাকে। আর সেই সমস্যা দূর করার জন্য কলা এক ধরনের ওষুধের মত কাজ করে। প্রায় সময় মাথা ব্যথা, এসিডিটি ইত্যাদি নিয়ে থাকতে ভালো লাগে না। আর মাথা ব্যথা এক ধরনের কষ্টকর সমস্যা। এবং সুস্থ বোধ করার জন্য অবশ্যই সমস্যা সমাধান উদঘাটন করা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞদের মতে, কলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি থাকায় গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিকভাবে বমি রোধ করতে কাজ করে কলা। মাথাব্যথা সারাতেও ওষুধের মতো কাজ করে থাকে কলা।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে

কলায় পটাশিয়াম থাকার কারণে রক্তচাপের মাত্রা বজায় রাখতে ভূমিকা পালন করে। গর্ভ অবস্থায় প্রায় রক্তচাপের উঠানামা হওয়ার কারণে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। নিয়মিত কলা খাওয়ার মাধ্যমে এই সমস্যা। গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর ফল হিসেবে কলা কে বেছে নেওয়া যায়।

হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করা

হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে নানার সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে শরীর ফেকাশি, মুখ ফ্যাকাসে শরীরে ইত্যাদি সমস্যা হয়ে থাকে। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যাওয়া মানে শরীরে রক্তের উৎপত্তি হ্রাস পাওয়া। আয়রনের মাত্রা কম থাকা গর্ভবতী নারীদের জন্য একটি প্রধান সমস্যা। এই সমস্যা সমাধান করতে বেশি বেশি কলা খাওয়া প্রয়োজন। কারণ কলা সকল সমস্যা প্রাকৃতিকভাবে সমাধান করে থাকে। 

শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে

ভিটামিন বি৬, আয়রন, ফলিক এসিড ইত্যাদি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কলা একটি প্রাকৃতিক পুষ্টিকর উপকারী ফল। নিয়মিত কলা খাওয়ার মাধ্যমে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ সাধন হয়। সুস্বাস্থ্য গঠনে কলার ভূমিকা অনেক।

গর্ভাবস্থার প্রতিদিন কলা খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায় 

গর্ভাবস্থার প্রতিদিন কলা খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায়? গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন কলা খেলে যে সকল উপকার পাওয়া যায় তার নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

এডেমা কমাতে সাহায্য করে

গর্ভবতী মহিলারা তাদের গর্ভাবস্থায় দ্বিতীয় বার বা তৃতীয়বার এডিমা বা জল পূর্ণ হওয়ার অভিজ্ঞতা পান। এডিমার কারনে নানান ব্যাধি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যেমন গোড়ালি বা পা ফাটা, অন্যান্য জয়েন গুলিতে ফোলা ফোলা ভাব, আপনি যদি জয়েন্টে বা গোড়ালিতে ফোলা ভাব লক্ষ্য করেন। আপনার ডায়েটে কলা অন্তর্ভুক্ত করুন। একটি ফোলা ভাব হ্রাস করতে আপনাকে সাহায্য করবে।

শিশুর জন্মগত ত্রুটি সম্ভাবনা হ্রাস করে

কলা ফুলেটের একটি ভালো উৎস। শিশুর মস্তিষ্ক ও মেরুদন্ডের বিকাশের জন্য ব্যাপক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। গর্ভ অবস্থায় কলা খাওয়ার ফলে শরীরে ফলেটের মাত্রা উন্নত হয়। আর গর্ভকালীন অবস্থায় কলা না খেলে শিশুর জন্মগত ত্রুটি দেখা দেয় বলে জানা যায়।

অ্যানিমিয়া প্রতিরোধের সহায়তা করে

রক্তস্বল্পতা এমন একটি অবস্থা যেখানে রক্তে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি থাকে। যা সাধারণত দেহের লাল রক্ত কোষের স্তরকে হ্রাস করতে পারে। এই কোষগুলি সারা শরীর জুড়ে অক্সিজেন গ্রহণের জন্য কাজ করে। রক্তস্বল্পতার অন্যতম প্রধান কারণ হলো দেহের আয়নের ঘাটতি। শরীরের রক্তশূন্যতা দেখা দিলে ত্বক ফ্যাকাসে হতে পারে, সর্বদা ক্রান্তীয় বোধ করতে পারে, এটি আপনার শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক হতে পারে। গর্ভ অবস্থায় কলা খেলে আয়রনের ঘাটতি পূরণ হয়। কলা আয়রনের একটি ভালো উৎস।

কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি

করাতে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটরী ফাইবার থাকে। যা অন্ত্রের গতিকে উত্তেজিত করতে গ্যাসের ফুলে যাওয়া পেটে ফোলা ভাব কমাতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। মাঝারি আকারের একটি কলাতে প্রায় ছয় গ্রাম ফাইবার বিদ্যমান। গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্যের একটি সাধারণ সমস্যা। কলা ফেল খেলে তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

হাড়ের বিকাশের সহায়তা করে

কলাতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। শিশু এবং মায়ের হারের বিকাশের জন্য কলা একটি অত্যান্ত পুষ্টিকর ফল। শরীরে পেশি সংকোচন নিয়ন্ত্রণের জন্য ক্যালসিয়াম অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই বেশি বেশি করে কলা খান। মা ও শিশুর হাড়ের বিকাশ ঘটান।

গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়া বাচ্চার জন্য কতটা উপকারী

গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়া বাচ্চার জন্য কতটা উপকারী? গর্ভবস্থায় কলা খাওয়ার জন্য বিশেষ উপকারী একটি ফল। গর্ভবস্থায় কলা খেলে বাচ্চার বুদ্ধির বেকার ঘটে বাচ্চা সুস্থ থাকে। পুষ্টি সমৃদ্ধ ফল হচ্ছে কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। যা বাচ্চা স্বাস্থ্যকর রক্তের মাত্রা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা উন্নত করে। আয়রনের মাত্রা কম হওয়ার কারণে অনেক সময় গর্ভাবস্থায় বাচ্চাদের হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি দেখা দেই। আরে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতির ফলে বাচ্চার মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। 

শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে অ্যানিমিয়া রোগের আক্রমণ বেড়ে যায়। অ্যানিমিয়া অতিরিক্ত বাড়ার ফলে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। গর্ভকালীন সময়ে মা যদি নিয়মিত কলা সেবন করে থাকে। তাহলে বাচ্চার হিমোগ্লোবিন নেট সমস্যা আর থাকে না। কারণ কলাতে রয়েছে প্রাকৃতিক আয়রন সম্পৃক্ত উপাদান। যা বাচ্চার শরীরে রক্ত উৎপাদনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে সাহায্য করে। ভিটামিন বি৬, আইরন ও ফলিক এসিড মস্তিষ্ক বিকাশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উপকারী ফল কলা এতে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। প্রতিদিনে খাদ্য তালিকায় কলা যোগ করুন যেন আপনার শিশুর মস্তিষ্কের উন্নতি করাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।

গর্ভাবস্থায় কলার ক্ষতিকারক প্রভাব

গর্ভাবস্থায় কলার ক্ষতিকারক প্রভাব? গর্ভাবস্থায় কলা সেবন করা যায়। কলাতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি যা মা ও শিশুর উভয়ের জন্য বেশ স্বাস্থ্যসম্মত উপাদান। পরিমাণ মতো কলা খেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে না। কলা শর্করা জাতীয় ফল। খুব বেশি কলা খাওয়া এবং সঠিক স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা না করাই যাতে ক্ষতি হতে পারে। মহিলাদের খুব বেশি কলা খাওয়া ঠিক না।

  • গর্ভবতী মায়েদের ঘুম জনিত সমস্যা থাকলে। রাতের বেলায় কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। দিনের বেলায় পরিমাণ মতো কলা খাওয়া উচিত।
  • গর্ভবতী মায়েদের যদি ঠান্ডা জনিত সমস্যা হয়ে থাকে। তাহলে কলা খাওয়া ঠিক হবে না। কলা খেলে ঠান্ডা জনিত সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। আর অতিরিক্ত কলা খেলে ঠান্ডা লাগার পরিমাণ আরও বেড়ে যেতে পারে।
  • আপনি যদি ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাহলে কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ কলা খাওয়ার ফলে ওজন আরো বৃদ্ধি পাবে।
  • ডায়াবেটিস রোগীদের কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা ডাক্তারের মতে কলার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে সুগার এবং কার্বোহাইড্রেট থাকে। যা দাঁতের সমস্যা এবং ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়াবেটিস বাড়িয়ে দিতে পারে।
অতিরিক্ত কলা খেলে সুগারের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। গর্ভাবস্থা কালীন ডায়াবেটিস যদি থেকে থাকে। আপনি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে কলা খাবেন। একটি এলার্জেন লাটেক্স ফুড সিনড্রোমের কারণ হয়। এ গোষ্ঠীতে কিউবি এবং অ্যাভোকাডো মতো অন্যান্য ফল রয়েছে। যা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে খাওয়া ঠিক হবে।

গর্ভাবস্থায় কলা দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করে

গর্ভাবস্থায় কলা দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করে? গর্ভবস্থায় শেষ এৈমাসিকে গর্ভবতী মায়ের শক্তির স্তর সঠিক থাকা গুরুত্বপূর্ণ। কলা খাওয়ার মাধ্যমে গর্ভবতী মায়ের দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি পেতে থাকে। সুতরাং এই ফলটি হাতের কাছে পাওয়া যায় বারোমাসি কলা বাজারে পাওয়া যায়। কলাতে শর্করা থাকে কারণ গ্লুকোজ, জাতীয় সাধারণ শর্করা থাকে যা শরীরে দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। কলা আপনাকে দ্রুত বলশক্তি হ্রাস হওয়া থেকে বাঁচাবে।

গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন কয়টি কলা খাওয়া যাবে

গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন কয়টি কলা খাওয়া যাবে? গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন কলা খেতে হলে আপনাকে নিয়ম মেনে চলতে হবে। সঠিক নিয়ম না মানলে গর্ভাবস্থায় অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। আপনি দিনে এক থেকে তিনটি মাঝারি আকারের কলা আপনার প্রতিদিন মেনুতে রাখতে পারেন। তবে গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার ব্যাপারে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়াই ভালো। গর্ভবতী মহিলাদের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির এক দুর্দান্ত উপাদান।

এবং শিশু ও মা উভয়ের জন্য বেশ কার্যকরী স্বাস্থ্যকর উপকারিতা রয়েছে। গর্ভাবস্থায় কলা সেবন করা যায়। কলাতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি যা মা ও শিশুর উভয়ের জন্য বেশ স্বাস্থ্যসম্মত উপাদান। পরিমাণ মতো কলা খেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে না। কলা শর্করা জাতীয় ফল। তাই বেশি বেশি কলা খাওয়া তাই গর্ভাবস্থায় বেশি বেশি কলা খাওয়া মা ও শিশুর জন্য পুষ্টি সম্মত খাদ্য।

গর্ভাবস্থায় কলা এড়িয়ে চলুন

গর্ভাবস্থায় কলা এড়িয়ে চলুন? সাধারণত বেশিরভাগ গর্ভবতী মহিলাদের জন্য নিরাপদ এবং উপকারী পুষ্টিকর ফল হল কলা। গর্ভবতী মহিলাদের জন্য নিরাপদ এবং উপকারী একটি ফল তবে কিছু সত্যবদ্ধ বাধকতা মেনে চললে। নিরাপদ থাকা যাই। গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মহিলাদের প্রাকৃতিক চিনির উপাদানের কারনে তাদের কলা খাওয়ার উপর নজর রাখা উচিত।

এলার্জি প্রক্রিয়া

আজকাল বেশিরভাগ লোকেরই এলার্জির সমস্যা রয়েছে। খুব কম লোকেরই দেখা যায় কলার এলার্জি। কলা থেকে এলার্জি অনুভব করতে যে সকল লক্ষণ গুলি থেকে বুঝবেন আপনার কলাতে এলার্জি রয়েছে। চুলকানি, ফোলা ভাব, শ্বাসকষ্টের সমস্যা, ইত্যাদি।

শেষ কথা: গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা? কলা খাওয়ার উপকারিতা অপারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আমাদের আর্টিকেলের মধ্যে। আপনি যদি গর্ভাবস্থায় নিয়মিত কলা খেয়ে থাকেন এবং অতিরিক্ত পরিমাণে কলা খেতে পছন্দ করেন। তাহলে আপনাকে অবশ্যই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়তে হবে। তাহলে আপনি গর্ব অবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনি নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল বিভিন্ন ফলের বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে চান। তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। কারণ আমরা বিভিন্ন স্বাস্থ্যমূলক আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকে আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করছি। ধন্যবাদ💗

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url