রাতারাতি ফর্সা হওয়ার -গোপন টিপস

পুতুলের মত সুন্দর চেহারা ধবধবে দুধের মত গায়ের রং প্রতিটা নারীর স্বপ্ন। প্রতিটা মেয়ে চাই উজ্জ্বল ত্বকের অধিকারী হতে। বর্তমান যুগ কেমিক্যাল প্রোডাক্টের ভরপুর। এ কেমিক্যাল যুক্ত প্রোডাক্ট আমাদের কোমল ত্বকের অনেক ক্ষতি করে থাকে। রাতারাতি ফর্সা হতে কেনা চায়।
যে সকল প্রোডাক্ট ব্যবহারের ফলে সুন্দর্য নষ্ট হয়, কোমলতা হারিয়ে যায় নানান সমস্যায় ভুগতে হয়। সে সকল প্রোডাক্টকে না বলে প্রাকৃতিক উপায়ে রাতারাতি ফর্সা হওয়ার কিছু গোপন টিপস আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আর্টিকেলটির মাধ্যমে।

পেজ সূচিপত্রঃ রাতারাতি ফর্সা হওয়া গোপন টিপস

রাতারাতি ফর্সা হওয়ার গোপন টিপস

যদিও নারীর সৌন্দর্যের কোন পরিমাপক একক হয় না। নারী সৌন্দর্য আল্লাহর দেয়া এক অশেষ নেয়ামত হিসেবে গণ্য করা হয়। তবুও আমাদের সমাজে আজও ফর্সা রঙকে সুন্দরজের অধিকারী বলে স্বীকার করা হয়। বাজারে প্রচুর কেমিক্যালযুক্ত প্রডাক্ট, আমাদের ত্বককে পরিষ্কার এবং ফর্সা করার ভরসা দিয়ে থাকে। এরকম প্রোডাক্ট ব্যবহার করার ফলে আমাদের ত্বকে নানান সমস্যা সৃষ্টি হয়। যে সমস্যা কাটিয়ে উঠতে বেশির ভাগ সময় জীবনটাই দিতে হয়। কেননা বাজারের সকল কেমিক্যাল প্রোডাক্ট এর মধ্যে এত ক্ষতিকারক কেমিক্যাল দেয় যে। এটি ব্যবহারের ফলে স্কিন ক্যান্সার হয়ে থাকে।

আমরা যদি সতর্ক হয়ে। অতিরিক্ত কেমিক্যালযুক্ত প্রোডাক্ট বর্জন করে। ঘরোয়া উপায়ে ত্বক ফর্সাকারী স্বাস্থ্যকর উপাদান ব্যবহার করি। তাহলে আমাদের ও ভালো থাকবে, শরীর সুস্থ থাকবে, আমরা ভালো থাকবো। আসুন তাহলে আমাদের আর্টিকেলটির মাধ্যমে জেনে নেওয়া যায় তখন সুস্থ ও স্বাস্থ্যে উজ্জল করতে এবং রাতারাতি ফর্সা করতে কিছু গোপন টিপস গুলো। যে সকল উপাদান ব্যবহারের ফলে রাতারাতি ফর্সা হওয়া যায়।

ত্বক ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া পদ্ধতি

যে সকল প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের ফলে রাতারাতি ফর্সা হওয়া যায়। সে সকল উপাদানগুলো আমরা ঠিকমত ব্যবহার করলে উপকার পাব। আজকালকার মেয়েরা বাজারের কেমিক্যাল যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করে নিজে নিজের ক্ষতি করছে। আবার ত্বকের ক্ষতির পাশাপাশি ক্যান্সারের মত মারাত্মক ব্যাধি বাসা বাঁধছে শরীরে।
সে সকল ক্ষতিকারক প্রোডাক্ট এর হাত থেকে ত্বকে বাঁচাতে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা প্রয়োজন। যে সকল প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের ফলে ফর্সা ত্বক পাওয়া যায়। নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হলোঃ

হলুদের মাধ্যমে ফর্সা ত্বক

হলুদ একটি প্রাকৃতিক ঔষধ। এটা আমাদের শরীরকে বিভিন্ন রোগ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। যার মধ্যে একটি হলো আমাদের ফর্সা ত্বক উপহার দিয়ে থাকে। এছাড়া ইহা আমাদের ত্বককে স্থিতিস্থাপক করতে এবং আমাদের স্কিন টানটান ভাব নিয়ে আসতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ইহা ব্যবহার করার ফলে আমাদের ত্বক লাবণ্যময় উজ্জ্বল হয়ে থাকে।

হলুদের ব্যবহার

প্রথমে হলুদ পাটাই বেটে বা ব্লেন্ডারে পেস্ট করে নিতে হবে। তারপর এর সাথে একটু লেবুর রস মিশাতে হবে। লেবুর রস মিশিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। এরপর পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। এবার হলুদের পেস্টটি ত্বকের উপর লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। কেননা হলুদ মাথার ফলে ত্বকে উজ্জ্বল ও দীপ্তিময় মায়াবী চেহারা ফুটে ওঠে। যে সমস্ত মহিলাদের ত্বক সংবেদনশীল। তারা এই পেস্টে লেবুর পরিবর্তে পানি ব্যবহার করতে পারেন। পেস্টটি শুকিয়ে গেলে এবার আপনি হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নেবেন। সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার এ পেস্টটি লাগিয়ে দেখতে পারেন।

চালের গুড়া মাধ্যমে ফর্সা ত্বক

চালের গুঁড়ো এমন একটি উপাদান। যেটা খাওয়া যায় আবার মুখে মাখা যায়। মধ্যে আছে প্যারা অ্যামিনোবেনজয়িক এসিড। যা সূর্য থেকে আপনার ত্বককে বাঁচাবে এবং শরীরে ভিটামিন সি এর স্তর অটুট রাখতে সাহায্য করবে। চালের সকল উপাদান থাকে। চালের গুরতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দ্বারা ভরপুর। যার কারনে চালের গুঁড়ো হাইডিটিং ও ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। কাঁচা চাল কে বেটে গুঁড়ো করে নিতে হবে। তাহলে চালের গুঁড়ো তৈরি হয়ে যাবে।

ব্যবহারের পদ্ধতি

  • চালকে প্রথমে পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর পাঠাই কিংবা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে গুঁড়ো করে নিতে হবে।
  • এবার পরিমাণ মতো পাউডার। এবং তার সাথে পরিমাণ মতো দুধ নিয়ে মিশিয়ে একটি সুন্দর পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে।
  • এরপর মুখ পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এইবার মুখে ভালো হবে মেশানো পেস্টটি মুখে লাগিয়ে আধা ঘন্টার অপেক্ষা করতে হবে।
  • আধা ঘন্টা পরে আবার পুনরায় পানি দ্বারা মুখ ধুয়ে নিতে হবে। তাহলে উজ্জ্বল ও দীপ্তিময় চেহারার অধিকারী হতে পারবেন। দুধের সাথে চালের গুড়া খুব ভালো একটি উপাদান এবং কার্যকরী রং ফর্সা করি প্যাক। আপনি এই পেজটি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করলে তাড়াতাড়ি ভালো রেজাল্ট পাবেন।

গোলাপজল ব্যবহারে মাধ্যমে ফর্সা ত্বক

গোলাপজল পানি গোলাপের পাপড়ি থেকে তৈরি করা হয়ে থাকে। গোলাপজল ভিটামিন এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুর। গোলাপ জলের পানি তোকে কমল এবং মোলায়েম করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। গোলাপ জলের পানি ত্বকের মৃত কোষ কে দূর করে এবং ত্বককে টানটান ও সতেজ করে তোলে।

গোলাপজলের পানির ব্যবহার

প্রথমে চার চামচ পানি আধাঘন্টার জন্য উষ্ণ জলে ভিজিয়ে দিন। আধাঘন্টা হয়ে যাবার পর তার জল থেকে বের করে নিন। গোলাপজল এবং অর্ধেক চামচ দই দিন। এবার পেস্টটি আপনার ত্বকের উপর লাগান। ত্বকের উপর লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর নরমাল পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই পেস্টটি আপনি দিনে দুইবার ব্যবহার করতে পারেন।

কমলালেবুর ব্যবহারে ফর্সা ত্বক

কমলালেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি। যা আমাদের ত্বকের জন্য চমৎকার একটি উপাদান। হাজারো কেমিক্যালযুক্ত প্রোডাক্টের কারণে ত্বকের কোষ নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে সমস্যা সমাধানের জন্য কমলালেবুর ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনার ত্বক ফর্সা এবং লাবণ্যময় চেহারার অধিকারী হতে চাইলে কমলালেবুর ফেসপ্যাক ব্যবহার করা উচিত। কমলালেবুর ফেসপ্যাক ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি অনেক উপকার পেয়ে থাকবেন।

কমলালেবুর ব্যবহার

প্রথমে কমলালেবুর রস কে বের করে নিতে হবে। এবার তাতে এক চা চামচ হলুদের গুঁড়ো সাথে মিশিয়ে একটি সুন্দর পেস্ট তৈরি করে নিন। এবার সারারাতের জন্য মুখে লাগিয়ে রেখে ঘুমিয়ে যান। সকালে উঠে উষ্ণ গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। আপনি এক আশ্চর্যকর জিনিস দেখতে পাবেন। আপনি ফর্সা হয়ে গেছেন। এটা একমাত্র কমলা লেবুর ফেসপ্যাক দিয়ে সম্ভব।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় যে পাঁচটি উপাদান

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় যে পাঁচটি উপাদান সেগুলো হল পাতি লেবুর রস, মসুর ডাল, মধু, কলা, শসা ইত্যাদি। উজ্জ্বল দাগ হীন ত্বক প্রতিটা মেয়ের স্বপ্ন। ধুলাবালি অনিয়মিত জীবন যাপন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য আমাদের ত্বকে নানান ধরনের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। দৈনন্দিন জীবনে কাজের চাপে আমরা ঠিকমত ত্বকের যত্ন নিতে পারি না। এর কারণে আমাদের অল্প বয়সে ত্বক নষ্ট হয়ে, যায় কালো কুচি হয়ে যায় এবং ঝুলে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা দূর করতে এই পাঁচটি উপাদান বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

পাতিলেবুর রসের উপকারিতা ও ব্যবহার

পাতি লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে মানা হয়ে থাকে। কিন্তু সরাসরি লেবুর রস তোকে লাগাবেন না। কারণ লেবুতে প্রচুর এসিড থাকে। যার ফলে সরাসরি লেবুর রস তোকে লাগালে তখন নষ্ট হয়ে যায়। এবং তাকে তীব্র জ্বালাপোড়া ভাব ও নানান ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই সরাসরি লেবুর রস না লাগে তার সাথে অন্য কিছু মিশে আপনি ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।

পাতিলেবুর রস ব্যবহারের নিয়ম

পাতি লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচ হওয়ার কারণে। যে সকল নিয়ম কানুন মেনে চলা উচিত তা হলোঃ এক চামচ লেবুর রসের সাথে এক চামচ চিনি মিশিয়ে ত্বকে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। চিনি গলে গেলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। লেবুরের ব্যবহার করার পর অবশ্যই ভালো কোন মশ্চারাইজার মুখে লাগিয়ে রাখবেন। এতে আপনার লাবণ্য ও দীপ্তিময় হয়ে উঠবে এবং সুস্থ থাকবে। পাতি লেবুর রস ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

মুসুরের ডালের উপকারিতা ও ব্যবহার

মসুর ডাল ব্যবহারের মাধ্যমে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি এবং টানটান ভাব বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। মসুর ডাল একটি পাত্রে বেশ কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে। ডাল ভিজলে তা পাঠায় বেটে কিংবা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। ব্লেন্ড ঘন হলে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর শুকিয়ে গেলে তা পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এবং ভালো কোন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। মুখে ডালের পেস্ট দিয়ে কথা না বলাই ভালো। কেন না কথা বলতে গেলে মনে হয় মুখটা টানটান ভাবে ছিঁড়ে যাচ্ছে। আশ্চর্য এখন অনুভূতি অনুভব করা যায় সেই সময়। মুখে ডাল দিয়ে না শুকানো পর্যন্ত কথা বললে মুখের চামড়ায় চাপ লাগতে পারে এবং মাঝেমধ্যে রক্ত বেরিয়ে যায়।

মধু ব্যবহারের নিয়ম

মধু এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। উপাদান হওয়ার কারণে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় ত্বক নরম রাখে,পলিরেখা ও কালচে ভাব দূর করতে এর গুরুত্ব অনস্বীকার্য। মধু এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা ত্বকের অতি ক্ষতিকারক জীবাণু ধ্বংস করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। খুব কম সময়ে রাতারাতি উজ্জ্বলতা পেতে মধুর প্যাক ব্যবহার করা উচিত।
  • মধু সরাসরি মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন। আবার ভালো ফলাফল পেতে যায়নি মধুর সাথে দই, দুধ, কলা, পেঁপে, লেবুর রস এসবের যেকোন একটি মিশে লাগাতে পারেন।

কলার সঠিক ব্যবহার

অল্প সময়ের ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল করতে কলা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যার মাধ্যমে খুব দ্রুত ত্বক ফর্সা হয় রাতারাতি। কলার সাথে দুধ একত্রিত করে খুব ভালোভাবে মিহি করে পেস্ট বানিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বক উজ্জ্বল লাগবে। একটা কলাকে পেস্ট করে নিয়ে তাতে পরিমাণ মতো দুধ মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন।

শসার সঠিক ব্যবহার

শসা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। শসা খাওয়ার পাশাপাশি মুখে মাখা যায়। তিন টেবিল চামচ শসার রসের সঙ্গে এক টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি অনেকদিন সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন। দিন কয়েকবার এই মিশ্রণটি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিতে পারেন। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

বিট পালং এর ব্যবহার

বিট পালং আয়রনএবং ভিটামিন দিয়ে ভরপুর একটি সবজি । যা মানব দেহের ত্বককে প্রাকৃতিক ফর্সা ভাব তে সাহায্য করে। গোপন ছিদ্র গুলো পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

  • প্রথমত চার চামচ বেসন ২ চামচ হলুদের পাউডার এবং এক বাটির মধ্যে টাটকা ক্রিম নিন। এখন বিট পালং ছিড়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। ব্লেন্ড করা হয়ে গেলে একটি ছাঁকনির সাহায্যে রস থেকে নিন।
  • এবার বিট পালং এর রস হলুদ গুঁড়া এবং বেসন ও ক্রিম একসাথে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। মুখ পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে এ পেস্ট টি মুখে লাগিয়ে বিশ মিনিট অপেক্ষা করুন তারপর ধুয়ে ফেলুন। তাহলে আপনি উজ্জ্বলতা লক্ষ্য করবেন। সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার করতে পারেন এ পদ্ধতি।

আখরোট এর ব্যবহার

আখরোট ভিটামিন প্রোটিন দিয়ে ভরপুর একটি খাদ্য। আপনার ত্বকে স্বাস্থ্যকর ফর্সা এবং চমৎকার সুন্দর করতে আখরোটের এর ব্যবহার অতুলনীয়। আখরোট এক ধরনের বাদাম জাতীয় ফল। যা খাওয়া হয় এবং ত্বকে ব্যবহার করা হয়।
  • সর্বপ্রথম আখরোট পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে কিছুক্ষণ তারপর ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এবার তার মধ্যে দই এবং তিসি বীজ দিবেন ভালোভাবে পেস্ট তৈরি হওয়ার পর এটা আপনার ত্বকে লাগে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ফেলুন। এই পেস্ট আপনি পুরো দিনে দুইবার ব্যবহার করতে পারবেন।

রাতারাতি ফর্সা হওয়ার নীতিমালা

রাতে রাতে ফর্সা হওয়ার গোপন টিপস গুলো মেনে চললে অবশ্যই আপনি রাতারাতি ফর্সা ত্বক পেতে পারেন। যে সকল প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে রাতারাতি ত্বক ফর্সা করা যায় তা নিচে উল্লেখ করা হলো এবং কি উপায়ে করা হয়ে থাকে তারও নীতিমালা দেওয়া হল

লেবুর রস ও মধুর ব্যবহার

লেবুর রস ও মধু ব্যবহার করার ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত লেবুর ও মধুর প্যাক বানিয়ে বানিয়ে মুখে লাগালে অনেক উপকার পেয়ে থাকি।
  • একটি চামচ লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগান।
  • ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন
  • উজ্জলতা বাড়াতে সাহায্য করবে আপনাকে।

দুধ ও ময়দার ব্যবহার

লেবুর রস ও মধুর ব্যবহারের পাশাপাশি দুধ ও ময়দা ব্যবহারের ব্যাপক গুরুত্ব পূর্ণ অবদান রয়েছে।
যে সকল উপায়ে দুধের পেস্ট মুখে লাগালে রাতারাতি উজ্জ্বল চেহারার অধিকারী হতে পারবেন।
  • কাঁচা দুধের সামান্য ময়দা মিশিয়ে তা ভালোভাবে পেস্ট করে নিতে পারেন।
  • এটি মুখে হাতে লাগানোর পরে শুকিয়ে গেলে নরমাল পানি দ্বারা ধুয়ে ফেলুন।

অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার

দুধ ও ময়দার পাশাপাশি এলোভেরার জেল এর ব্যবহার প্রতি আবশ্যকীয়। কেননা এলোভেরা জেল ব্যবহারে চুল এবং ত্বকের বিশেষ পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়ে থাকে।
  • এলোভেরা জেল সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করা যায়।
  • এটিকের দাগ দূর করতে বারণ করে থাকে এবং রাতারাতি ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে থাকে।

বেসন এবং হলুদ

  • ২ চামচ বেসনের সাথে এক চিমটি হলুদ হালকা কিছু কাঁচা দুধ একত্রে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে।
  • তারপর ত্বকে এটি ব্যবহার করার পর ওয়েট করে নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

পর্যন্ত পানি পান করতে হবে

  • রাতারাতি ত্বক ফর্সা করতে চাইলে অতিরিক্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত। যত পানি খাবেন তত শরীর সুস্থ থাকবে। তাজা থাকবে সতেজ থাকবে।
  • এটির শরীর থেকে টনিক দূর করতে সাহায্য করে।
  • বেশি পানি পান করা উচিত।

ঘুমের প্রয়োজন

  • প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে পারলে ত্বকের সৌন্দর্য ঠিক থাকবে। তাই প্রচুর ঘুমানো উচিত।

বাহিরে গেলে সানস্ক্রিন ব্যবহার

  • সূর্যের অতি ক্ষতিকর রশ্মি আমাদের ত্বককে ক্ষতিগ্রস্ত করে। যার ফলে তখন লাবণ্যতা, উজ্জ্বলতা ত্বক হারিয়ে ফেলে। এই সূর্যের ক্ষতিকার রশি থেকে বাঁচতে বাহিরে বের হবার সময় এসপিএফ সমৃদ্ধ সানস্ক্রিম ব্যবহার করা প্রয়োজন।

যে খাবার খেলে ভেতর থেকে ত্বক ফর্সা হবে

যদি নিয়মিত খাবার তালিকায় কমলার রস খেয়ে থাকেন। তবে আপনি পর্যন্ত ভিটামিন সি গ্রহণ করছেন। কেননা কমলার প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। যা আপনার শরীরের বিভিন্ন চাহিদা পূরণের সক্ষম। এবং সমস্যার সমাধানে এর গুরুত্ব অপরিসীম। ভিটামিন সি ত্বকে রক্ষা করে বিভিন্ন সমস্যা থেকে। মিডেমি সি সূর্যের ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মি ক্ষতি থেকে আমাদের রক্ষা করে। অন্যদিকে আপনি যদি তেল জাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করেন তাহলে ব্রণের প্রভাব সহজে কমবে না।
এভাবে আমাদের খাদ্য তালিকায় আমাদের ত্বকের উপর প্রভাব ফেলে। কিছু খাবার নিয়মিত খেলে ত্বক ভেতর থেকে পুষ্টি পাবে এবং সুস্থ থাকবে। কমলা খাওয়ার মাধ্যমে ত্বক প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল কোমল হয়।
  • প্রতিদিন গাজর খেলে বিভিন্ন সমস্যা হতে মুক্তি পাবে আপনার ত্বক। গাজরে রয়েছে ভিটামিন এ। যা  অতিরিক্ত সিরাম উৎপাদন প্রতিরোধ করেন। এছাড়া টক্সিন বের করে দেয়।
  • মিষ্টি আলু উজ্জ্বল ত্বক পেতে বিশেষ অবদান রাখে। ভিটামিন সি এবং ই রয়েছে এতে, যা ত্বকে দ্রুত উজ্জ্বলতা নিয়ে আনে। ভিটামিন সি কোলাজেন তৈরি করে। যা বার্ধক্য লক্ষণকে দূর করতে  সাহায্য করে।
  • ত্বকে যদি বয়সের ছাপ দূর করতে চান তাহলে টমেটো তরকারি খান। কেননা টমেটো বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে।
  • হলুদ একটি অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। হলুদ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। খাদ্য তালিকায় হলুদ রাখুন তাহলে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। হলুদের রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।
  • ভিটামিন এ এর চমৎকার উৎস পেঁপে। কেননা পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন যা মানব দেহে ব্যাপক উপকার করে থাকে। পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে পেঁপাইন নামক উপাদান রয়েছে। যা ত্বকে হাইডেড করতে সাহায্য করে। পেঁপে খেলে ত্বকের কালো দাগ দূর হয়।
  • প্রতিদিন ডিম খেলে ত্বক থাকবে উজ্জ্বল লাবণ্যময় ও আকর্ষণীয়। প্রোটিনের পাশাপাশি ডিমে রয়েছে সালফার যা খোলা যেন উৎপাদনে সাহায্য করে।
  • গ্রিন টি যেমন উপকারী তেমনি বার্ধক্য রোধ করতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। গ্রীনটিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন যেমনঃ ভিটামিন বি১২ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এই দুই উপাদান ত্বককে আরো স্বাস্থ্যের জল ও তরুণ ও আকর্ষণীয় করে তোলে।
  • উজ্জ্বল ত্বক পেতে নিয়মিত আখরোট খান। আখরোট এক ধরনের বাদাম। এতে রয়েছে এমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড। এটি শরীর নিজেই থেকে উৎপাদন করে। এক আঁখরোটে জিংক রয়েছে যা ত্বকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

উজ্জ্বল ত্বকের অধিকারী হওয়া জন্য কিছু ফল

উজ্জ্বল ত্বকের অধিকারী হওয়ার জন্য বিশেষ করে কিছু ফল খাওয়া উচিত। বর্তমানে ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল করতে বা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বাজারে বিভিন্ন ধরনের নাইট ক্রিম বা ফেসপ্যাক পাওয়া যায়। আমাদের আর্টিকেলটির মাধ্যমে তা আলোচনা করা হলোঃ

ডালিমঃ

ডালিম এমন একটি পুষ্টিকর ফল। যার শরীরে রক্তাক্ত করতে সাহায্য করে। ডালিমে রয়েছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি। যা মানব দেহ সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ডালিম ত্বককে সুস্থ ও টান রাখতে সাহায্য করে।

পেঁপেঃ

পেপে রয়েছে ভিটামিন সি, এ যা মানব দেহের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। পেঁপে আপনার ত্বকে এক্স ফলিয়েট করে থাকে আর নতুন কোষ তৈরিতে ভূমিকা পালন করে।

পেয়ারাঃ

পেয়ারায় রয়েছে ভিটামিন এ, সি, লাইকোপিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি আপনার ত্বককে ক্ষতি থেকে রক্ষা করবে। এটি আপনার ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

নারিকেলঃ

নিয়মিত নারিকেলের পানি বা নারিকেলের শাঁস খেলে বলি রেখার সমস্যা দূর হয়।

কলাঃ

কলায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ইত্যাদি থাকে যা ত্বকের বলিরেখা দূর করে।

পালং শাক

পালং শাকে আছে এমন পুষ্টি উপাদান। এত পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে পালং শাকে যা ত্বকের সাহায্য করে। বার্ধক্য ছাপ দূর করে।

শেষ কথাঃ রাতারাতি ফর্সা হওয়ার গোপন টিপস

রাতে ফর্সা হওয়ার গোপন টিপস? রাতে ফর্সা হওয়ার গোপন টিপস সম্পর্কে আমরা আমাদের আর্টিকেলে খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছি। আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি কোন প্রকারের উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে একটি শেয়ার করে দেবেন। যদি স্বাস্থ্য বিষয়ক, ভ্রমণ বিষয়ক, প্রবাস ভিসা বিষয়ক ইত্যাদি বিষয়ে যদি গুরুত্বপূর্ণ টপিক সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের পেজটিতে একটু সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। যেন আমরা পরবর্তীতে নতুন কোন পোস্ট পাবলিশ করলে সর্ব প্রথমে আপনি দেখতে পান। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। এভাবে আমাদের সর্বদা পাশে থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ💗

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url