ছাত্র জীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং করা উচিত
ছাত্র জীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং করা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা আপনার ক্যারিয়ারের গতিপথ, আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং কর্মজীবনের ভারসাম্য তৈরি করে। উভয় বিকল্প কেননা সুযোগ এবং চ্যালেঞ্জ নিয়েই আসে। এবং সঠিক পদ্ধতি মূলত আপনার লক্ষ, পছন্দ এবং ব্যক্তিগত পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।
সঠিক দিকনির্দেশনার মাধ্যমে আপনাকে একটি জ্ঞান সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করার জন্য উভয়ে পথে মূল দিকগুলিকে খুঁজে বের করে। ছাত্র জীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি চাকুরী নাকি ফ্রিল্যান্সিং কোনটি করা উচিত এই সম্পর্কে জানতে হলে আপনাদেরকে আমাদের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং করা উচিৎ
- পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং করা উচিৎ
- ছাত্র জীবনে চাকুরী করার সুবিধাসমূহ
- চাকুরী করার অসুবিধা গুলো
- ফ্রিল্যান্সিং বলতে কী বোঝায়
- ফ্রিল্যান্সিং এর মূল বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি
- ফ্রিল্যান্সিং করার সুবিধা
- ছাত্রজীবনে ফ্রিল্যান্সিং করার গুরুত্বপূর্ণ দিক
- কেন ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে
- একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
- লেখক এর মন্তব্যঃ পড়াশোনা পাশাপাশি চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং কোনটি করা উচিত
পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং করা উচিৎ
ছাত্রজীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং? ছাত্র জীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি চাকুরী নাকি ফ্রিল্যান্সিং কোনটি করা উচিৎ চলুন এবার বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।ছাত্র জীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি ও ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে পছন্দ আপনার কোনটি সেটা একমাত্র আপনার জীবনধারা এবং লক্ষ্যের উপর নির্ভর করে। একটি চাকুরি স্মৃতিশীলতা এবং কাঠামো প্রদান করে। প্রতিটি পথের সুবিধা এবং অসুবিধা গুলি বোঝার মাধ্যমে।
মনে রাখবেন, কোন পছন্দই ঠাঁই নাই আপনার কর্মজীবনে। একটি যাত্রায় চাকুরী এবং ফ্রিল্যান্সিং উভয় একটি পরিপূর্ণ পেশাগত জীবনে সঠিক দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করতে পারে। কারো কারো জন্য খন্ডকালীন কর্মসংস্থান এবং ফ্রিল্যান্সিং এর একটি হাইব্রিড মডেল উভয় বিশ্বের সেরা অফার করে এই পদ্ধতিতে আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রদান করে যখন আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং সুযোগগুলি অন্বেষণ করার অনুমতি দেয় যারা সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতি ছাড়াই ফ্রিল্যান্সিং এর জল পরীক্ষা করতে চান। তাদের জন্য এটি একটি চমৎকার বিকল্প পথ।
ছাত্র জীবনে চাকরি করার সুবিধা সমূহ
ছাত্র জীবনে চাকুরী করার সুবিধাসমূহ? ছাত্র জীবনে চাকরি আপনার জন্য একটা উপযুক্ত লক্ষ্য এবং পছন্দের ওপর নির্ভর করবে। যদি আপনি স্থিতিশীল জীবনের জন্য কাজ করতে চান। তাহলে চাকুরী একটি দুর্দান্ত বিকল্প পদ্ধতি। আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন, তাহলে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করুন। কারণ ফ্রিল্যান্সিং একমাত্র মাধ্যম যার মাধ্যমে স্বাধীনভাবে কাজ করা যায়, বাধ্যবোধকতা থাকে না।
- নিয়মিত এবং স্থিতিশীল আয়।
- কাজের নিরাপত্তা ক্যারিয়ারে উন্নতি সুযোগ
- প্রশিক্ষণ এবং শেখার সুযোগ
- বিভিন্ন সুবিধা নির্ধারিত
- কাজের সময় টিমওয়ার্ক এবং যোগাযোগ দক্ষতা
- দায়িত্বের অভ্যাস তৈরি করা
- ছুটির দিনে এবং অন্যান্য সুযোগ
- ভবিষ্যতে নিরাপত্তা, সামাজিক স্বীকৃতি এবং স্মৃতিশীলতা
চাকুরী করার অসুবিধা গুলো
চাকুরী করার অসুবিধা গুলো? চাকরি করার অসুবিধা গুলো সম্পর্কে এবার নিচে বিস্তারিত জানাবো। নিশ্চয়ই জানেন কোন কিছু ভাল এবং খারাপ দুটো দিক থাকে। তেমনি চাকরি করার জন্য যেমন ভালো দিক রয়েছে তেমন খারাপ দিকও রয়েছে। যেগুলো এখন আপনাদের সামনে আলোচনা করতে চলেছি। চাকরি করার কিছু অসুবিধা আছে যা অনেকের জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারে। নিচে চাকুরীর অসুবিধা সমূহ গুলো আলোচনা করা হলোঃ
- স্বাধীনতার অভাব
- সীমিত আয়
- সৃজনশীলতা সীমাবদ্ধতা প্রমোশন ও প্রগতে নির্ধারিত কাজের সময়
- অফিসের রাজনীতি ক্লান্তপত্র রুটিন কর্ম মূল্যায়ন এক জায়গায় অস্থিরতা
ফ্রিল্যান্সিং বলতে কী বোঝায়
- মার্কেটিং এবং সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- আর্টিকেল রাইটিং
- ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি
- পরামর্শ এবং কোচিং
- ভার্চুয়াল সহায়তা
- ফেসবুক মার্কেটিং
- ইউটিউব মার্কেটিং
বিশেষ করে একজন ফ্রিল্যান্সার এ সকল কাজগুলো মুক্তভাবে করতে পারে। তার জন্য কোন বাধ্যবাধোকতা প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং দূরবর্তী কাজের সুযোগের উত্থানের সাথে। ফ্রিল্যান্সিং বিশ্বব্যাপী ব্যক্তিদের কাছে এক্সেস যোগ্য হয়ে উঠেছে। আপওয়ার্ক, ফাইবার এবং ফ্রিল্যান্সারের মত অনলাইন প্লাটফর্ম গুলি অসম্ভব ক্লায়েন্টদের সাথে ফ্রিল্যান্সারদের সুযোগ প্রক্রিয়াকে আরো সহজ করে তুলেছে। আপনিও চাইলে পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং বেছে নিতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর মূল বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি
ফ্রিল্যান্সিং এর মূল বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি? এ বিষয়গুলো হয়তো বা আপনারা অনেকেই জানেন না যে, কিভাবে কাজের সাথে যোগাযোগ করা হয়। তার একটি গতিশীল পরিবর্তনের প্রতিনিধিত্ব করে এটি ব্যক্তিদের পেশাদার জীবন ডিজাইন করার বৈচিত্র আলিঙ্গন করা এবং ব্যক্তিগত লক্ষ্য অর্জনের স্বাধীনতা প্রদান করে যাই মানসিকতার দাবি করে থাকে।
- স্বাধীনতা
- প্রকল্প ভিত্তিক কাজ
- বিভিন্ন ক্লাইন্ট এর সমন্বয়ে কাজের সুযোগ
- সহকর সংস্থানের ব্যবস্থা নমনীয়তা স্বাধীনভাবে কাজ করে
- প্রায় তাদের সময়সূচী সেট করে তাদের কাজের চাপ নির্ধারণ করে
- এবং সরাসরি ক্লায়েন্টদের সাথে চুক্তি নিয়ে আলোচনা করে
ফ্রিল্যান্সিং করার সুবিধা
ছাত্রজীবনে ফ্রিল্যান্সিং করার গুরুত্বপূর্ণ দিক
ছাত্রজীবনে ফ্রিল্যান্সিং করার গুরুত্বপূর্ণ দিক? ছাত্রজীবনে ফ্রিল্যান্সিংকে কখনোই ফুল টাইম হিসেবে নেওয়া উচিত নয়। আর ফুল টাইম নেওয়া সম্ভব না কারণ আপনাকে অবশ্যই লেখাপড়ার প্রতি সময় দিতে হবে। এজন্য পড়ার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিংকে পার্ট টাইম হিসেবে নিতে হবে তাহলে উন্নতি সম্ভব।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে কেন
ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে কেন? কেন ফ্রিল্যান্সিংয়ের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে সে সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। ফ্রিল্যান্সিং এর উত্থান বিভিন্ন কারণের জন্য দায়ী করা যেতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি কর্মক্ষেত্রের গতিশীলতা পরিবর্তন এবং কাজের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা। ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয়কারী হিসেবে ফুটে উঠেছে।ইন্টারনেট লাইন ভিত্তিক সরঞ্জাম এবং যোগাযোগ প্লাটফর্ম গুলি ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বিশ্বব্যাপী ক্লায়েন্টদের সাথে সহযোগিতা করার সুযোগ করে তুলেছে। এই সরঞ্জাম গুলি বিরামহীন পরবর্তী কাজ সক্ষম করে। এবং ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সুযোগগুলি প্রসারিত করে।
একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস? একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাক। একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য তো আপনাকে যে কাজটি করতে হবে। সেটি হচ্ছে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। কেননা ধৈর্য ধরা ছাড়া কখনো সফলতা অর্জন করা যায় না এছাড়া ও ধৈর্যের পাশাপাশি আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করে কাজ করে যেতে হবে। প্ল্যাটফর্ম গুলির মাধ্যমে আপনার দক্ষতা এবং অতীতের কাজ করে অভিজ্ঞতা বুঝতে সাহায্য করে।
ফ্রিল্যান্সিং একটি চুক্তিভিত্তিক পেশা। যেখানে কোন সংস্থান নিয়োগের পরিবর্তে বিক্রেতার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে বেশ কয়েকটি ক্লাইন্টকে পরিষেবা প্রদানের সক্ষম হয়। সহজ কথায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোনো কাজ করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে। অনেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেকে একজন মুক্ত চাকরিজীবী ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন। কম্পিউটার, স্মার্টফোন, ইন্টারনেট সংযোগ আছে তারা যথাযথ দক্ষ হয়ে কাজ করতে পারেন। সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। এ সকল নিয়ম মেনে চললে সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়া সম্ভব।
ফ্রিল্যান্সিং একটু কম বয়স থেকে শুরু করা ভালো। কারণ পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি
নাকি ফ্রিল্যান্সিং এই দুইটা নিয়ে আপনি কাজ করতে পারবেন। আপনাকে যেহেতু
দুটো কাজ সমান্তরাল ভাবে করতে হবে। যেমন পড়াশোনা করা এবং অনলাইনে কাজ শেখা দুটো
কাজই আপনি সমানভাবে ধৈর্য সহকারে করতে পারবেন প্রথম থেকে।
- প্রথমে আপনাকে ইন্টারনেট সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা রাখতে হবে। তারপর আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে কোন বিষয়টি নিয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান মানে আপনি কোন বিষয়ের উপর কাজ করতেন ভালো লাগে এবং পারদর্শী। যেমনঃ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনস, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কন্টেন রাইটিং, ডিজিটাল মার্কেটে সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে হবে আপনাকে।
- আপনি Sco নিয়ে কাজ করলে, ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে খুব ভালোভাবে সঠিক ধারণা নিতে হবে আপনাকে Sco সম্পর্কে।
- প্রাথমিক ধারণা লাভের জন্য আপনি গুগল ও ইউটিউবে খোঁজ করুন। পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং কমিউনিটি, যেমনঃ আপ ওয়ার্ক বাংলাদেশ, ফ্রিল্যান্সিং বাংলাদেশ, টেক ফোরাম, ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে যুক্ত থাকতে পারেন।
- কাজ শেখার পর স্থানীয় কিছু সহজ কাজ করে আপনি পোর্ট ফোলিও করতে পারেন।
- পাশাপাশি আপনি মার্কেটপ্লেস যেমন upwork, ফ্রিল্যান্সাং বা ফাইবারের মতো প্লাটফর্মে নিজের প্রোফাইল তৈরি করুন
লেখক এর মন্তব্যঃ পড়াশোনা পাশাপাশি চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং কোনটি করা উচিত
পড়াশোনা পাশাপাশি চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং কোনটি করা উচিত? আপনি যাই করুন না কেন, পড়াশোনা ঠিক রেখে তারপর কাজ করতে হবে। শিক্ষার মূল্য চিরদিনই থাকবে। আপনি চাইলে ফ্রী টাইম আপনি কাজ শিখতে পারেন। ও এর পাশাপাশি ইংরেজি দক্ষতা বাড়াতে পারবেন। পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং কোনটি করা উচিত এই সম্পর্কে জানতে আমাদের এই পোস্টটি আপনাকে বিশেষভাবে সহযোগিতা করবে। কেননা চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং কোনটি করা উচিত সে সম্পর্কে আমরা আপনাদের মাঝে বিস্তারিত ভাবে উপস্থাপন করেছি।
আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি যদি কোন ধরনের উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আমাদের এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। পড়াশোনার পাশাপাশি চাকুরী নাকি ফ্রিল্যান্সিং কোনটি করা উচিত। আশা করি এই বিষয়টি সম্পর্কে আপনার আর বুঝতে বাকি রইল না। আমাদের আর্টিকেল লেখায় যদি কোন ভুল ত্রুটি থেকে থাকে। তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে আমরা সংশোধন করার চেষ্টা করব। এতক্ষণ ধরে ধৈর্য সহকারে আমাদের পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।💗
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url