ছাত্র জীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং করা উচিত

ছাত্র জীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং করা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা আপনার ক্যারিয়ারের গতিপথ, আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং কর্মজীবনের ভারসাম্য তৈরি করে। উভয় বিকল্প কেননা সুযোগ এবং চ্যালেঞ্জ নিয়েই আসে। এবং সঠিক পদ্ধতি মূলত আপনার লক্ষ, পছন্দ এবং ব্যক্তিগত পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।

সঠিক দিকনির্দেশনার মাধ্যমে আপনাকে একটি জ্ঞান সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করার জন্য উভয়ে পথে মূল দিকগুলিকে খুঁজে বের করে। ছাত্র জীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি চাকুরী নাকি ফ্রিল্যান্সিং কোনটি করা উচিত এই সম্পর্কে জানতে হলে আপনাদেরকে আমাদের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ  পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং করা উচিৎ

পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং করা উচিৎ

ছাত্রজীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং? ছাত্র জীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি চাকুরী নাকি ফ্রিল্যান্সিং কোনটি করা উচিৎ চলুন এবার বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।ছাত্র জীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি ও ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে পছন্দ আপনার কোনটি সেটা একমাত্র আপনার জীবনধারা এবং লক্ষ্যের উপর নির্ভর করে। একটি চাকুরি স্মৃতিশীলতা এবং কাঠামো প্রদান করে। প্রতিটি পথের সুবিধা এবং অসুবিধা গুলি বোঝার মাধ্যমে।

মনে রাখবেন, কোন পছন্দই ঠাঁই নাই আপনার কর্মজীবনে। একটি যাত্রায় চাকুরী এবং ফ্রিল্যান্সিং উভয় একটি পরিপূর্ণ পেশাগত জীবনে সঠিক দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করতে পারে। কারো কারো জন্য খন্ডকালীন কর্মসংস্থান এবং ফ্রিল্যান্সিং এর একটি হাইব্রিড মডেল উভয় বিশ্বের সেরা অফার করে এই পদ্ধতিতে আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রদান করে যখন আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং সুযোগগুলি অন্বেষণ করার অনুমতি দেয় যারা সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতি ছাড়াই ফ্রিল্যান্সিং এর জল পরীক্ষা করতে চান। তাদের জন্য এটি একটি চমৎকার বিকল্প পথ।

ছাত্র জীবনে চাকরি করার সুবিধা সমূহ

ছাত্র জীবনে চাকুরী করার সুবিধাসমূহ? ছাত্র জীবনে চাকরি আপনার জন্য একটা উপযুক্ত লক্ষ্য এবং পছন্দের ওপর নির্ভর করবে। যদি আপনি  স্থিতিশীল জীবনের জন্য কাজ করতে চান। তাহলে চাকুরী একটি দুর্দান্ত বিকল্প পদ্ধতি। আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন, তাহলে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করুন। কারণ ফ্রিল্যান্সিং একমাত্র মাধ্যম যার মাধ্যমে স্বাধীনভাবে কাজ করা যায়, বাধ্যবোধকতা থাকে না। 

আর আপনি যদি আগে থেকে দক্ষ হয়ে থাকেন। তাহলে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে জীবনে উন্নতি করতে পারেন। পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি করার সুবিধাগুলো হলোঃ

  • নিয়মিত এবং স্থিতিশীল আয়।
  • কাজের নিরাপত্তা ক্যারিয়ারে উন্নতি সুযোগ
  •  প্রশিক্ষণ এবং শেখার সুযোগ
  •  বিভিন্ন সুবিধা নির্ধারিত
  • কাজের সময় টিমওয়ার্ক এবং যোগাযোগ দক্ষতা
  • দায়িত্বের অভ্যাস তৈরি করা
  •  ছুটির দিনে এবং অন্যান্য সুযোগ
  •  ভবিষ্যতে নিরাপত্তা, সামাজিক স্বীকৃতি এবং স্মৃতিশীলতা
কেননা চাকরিতে প্রতিমাসে একটি নির্দিষ্ট বেতনের গ্যারান্টি রয়েছে। যা ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক খরচের পরিকল্পনা করতে সহায়তা করে। একটি চাকুরী একজন ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট কাজের দায়িত্ব প্রদান করে থাকে। যার জীবিকার একটি নির্ভরযোগ্য উৎস। শুধু তাই নয় পদোন্নতি বেতন বৃদ্ধি এবং অভিজ্ঞতা অর্জনে মাধ্যমে চাকরিতে দীর্ঘমেয়াদি অগ্রগতির সম্ভাবনা রয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান কর্মীদের জন্য প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ প্রদান করে।

 এটি ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান হতে পারে। চাকুরীতে নির্দিষ্ট অফিস সময় থাকে, যা কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করা একজন ব্যক্তির সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করে এবং পরিবারে আর্থিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আসে।চাকুরীর নির্দিষ্ট সময়ে অফিসের সময় সহকর্মীদের সাথে কাজ করা। এবং পেশাদার যোগ্যতা ও দক্ষতা উন্নয়ন করে অনেক প্রতিষ্ঠান কর্মজীবীদের বার্ষিক ছুটির ইত্যাদি সুবিধা প্রদান করে থাকে।

চাকুরী করার অসুবিধা গুলো

চাকুরী করার  অসুবিধা গুলো? চাকরি করার অসুবিধা গুলো সম্পর্কে এবার নিচে বিস্তারিত জানাবো। নিশ্চয়ই জানেন কোন কিছু ভাল এবং খারাপ দুটো দিক থাকে। তেমনি চাকরি করার জন্য যেমন ভালো দিক রয়েছে তেমন খারাপ দিকও রয়েছে। যেগুলো এখন আপনাদের সামনে আলোচনা করতে চলেছি। চাকরি করার কিছু অসুবিধা আছে যা অনেকের জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারে। নিচে চাকুরীর অসুবিধা সমূহ গুলো আলোচনা করা হলোঃ

  • স্বাধীনতার অভাব
  • সীমিত আয়
  • সৃজনশীলতা সীমাবদ্ধতা প্রমোশন ও প্রগতে নির্ধারিত কাজের সময়
  • অফিসের রাজনীতি ক্লান্তপত্র রুটিন কর্ম মূল্যায়ন এক জায়গায় অস্থিরতা

চাকরি করার সুবিধা এবং অসুবিধা দুটোই আছে। যাই হোক আপনি যদি একটি সুশৃংখল জীবন পছন্দ করেন এবং একটি স্থিতিশীল এর প্রয়োজন হয় তাহলে চাকরি একটি ভালো বিকল্প পদ্ধতি। আর আপনি যদি স্বাধীনতা সৃজনশীলতা এবং আপনার পছন্দমত কাজ করার স্বাধীনতা চান তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং বা অন্যান্য স্বাধীন কাজের পদ্ধতি বিবেচনা করতে পারেন। আপনার সিদ্ধান্ত আপনার লক্ষ্য এবং পছন্দের উপর নির্ভর করবে। আশা করি চাকরির সুবিধা অসুবিধা গুলো বুঝতে পেরেছেন।

ফ্রিল্যান্সিং বলতে কী বোঝায়

ফ্রিল্যান্সিং বলতে কী বোঝায়? ফ্রিল্যান্সিং বলতে কী বোঝায় চলুন এবার এই বিষয়ে জানা যাক। যদি আপনি লেখাপড়ার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে চান। তবে আপনাকে অবশ্যই সময় সঠিক ব্যবহার করতে হবে। এজন্য অবশ্যই আপনাকে একটা রুটিন এর মধ্যে থাকা উচিত। কখন কোন কাজে সময় দেবে সেটা সম্পূর্ণ আপনাকে নিজেকে ঠিক করতে হবে। যেহেতু আপনি একজন ছাত্র এবং সাথে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান। সেহেতু অযথা এদিক-ওদিক সময় না পার করে কাজের প্রতি সময় দেওয়া উচিত।

ছাত্রজীবনে ফ্রিল্যান্সিংকে কখনোই ফুল টাইম হিসেবে নেওয়া উচিত নয়। আর ফুল টাইম নেওয়া সম্ভব না কারণ আপনাকে অবশ্যই লেখাপড়ার প্রতি সময় দিতে হবে। এজন্য পড়ার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিংকে পার্ট টাইম হিসেবে নিতে হবে তাহলে উন্নতি সম্ভব।যখন লেখাপড়ার চাপ একটু কম থাকবে। তখন আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ে ভালোভাবে সময় দিয়ে কাজ করতে পারেন। যেহেতু আপনি দুই কাজ একসাথে করছেন। সেহেতু আপনাকে সব দিক ঠিকঠাক রেখে ভালোভাবে কাজ করার চেষ্টা করতে হবে। মোটকথা হলো আপনি যদি যথেষ্ট ধৈর্য এবং পরিশ্রমের সাথে

ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি শব্দ যা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে উল্লেখযোগ্য রেকর্ড অর্জন করেছে। কারণ বেশি ব্যক্তি নমনীয় কাজের ব্যবস্থা এবং তাদের পেশাগত জীবনে উপর আরো বেশি নিয়ন্ত্রণ চান। এর মূলে ফ্রিল্যান্সিং বলতে, একই নিয়োগকর্তার সাথে একত্রিত হয়ে প্রায় একটি প্রকল্প বা চুক্তিভিত্তিতে বিভিন্ন ক্লাইন্টকে স্বাধীনভাবে পরিষেবা প্রদান করকে বোঝায়।

তাদের দক্ষতা অন্বেষণ করতে তাদের প্রকল্প গুলি বেছে নিতে এবং কাজের প্রয়োজন অনুসারী একটি কর্মজীবনের ভারসাম্য তৈরি করছে সক্ষম করে। এই নিবন্ধে আমরা ফ্রিল্যান্সিং এর অর্থ এবং সুবিধায় এবং চ্যালেঞ্জগুলি এবং কেন একটি আধুনিক বিশ্বে এটি জনপ্রিয় ক্যারিয়ার হিসেবে পছন্দ হয়ে উঠেছে তা নিয়ে সঠিক আলোচনা করব। সেখানে ব্যক্তিরা ক্লায়েন্টের বিশেষ পরিষেবা প্রদান করে। সাধারণত একটি পূর্ব নির্ধারিত ফি এবং একটি সম্মত সময়সীমার মধ্যে।

কেননা প্রথাগত কর্মচারীদের থেকে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সাররা পূর্ণ সময়ের কর্মসংস্থানের সীমাবদ্ধতার দ্বারা আবদ্ধ হয় না। যেমন নির্দিষ্ট কাজের সময় অফিসের অবস্থান এবং ঠিকাদার হিসেবে কাজ করার স্বাধীনতা উপভোগ করে। ইচ্ছা করলে একই সাথে একাধিক ক্লায়েন্টের কাজ থেকে কাজ গ্রহণ করে। একজন ফ্রিল্যান্সার মুক্ত পেশা হিসেবে যে কাজগুলো করতে পারে। তা অন্য কেউ পারেনা সেগুলো নিচে বর্ণনা করা হলো। যে সকল কাজের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা শুরু হয়ে থাকে তা নিম্নরূপঃ
  • মার্কেটিং এবং সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
  • আর্টিকেল রাইটিং
  • ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি
  • পরামর্শ এবং কোচিং
  • ভার্চুয়াল সহায়তা
  • ফেসবুক মার্কেটিং
  • ইউটিউব মার্কেটিং

বিশেষ করে একজন ফ্রিল্যান্সার এ সকল কাজগুলো মুক্তভাবে করতে পারে। তার জন্য কোন বাধ্যবাধোকতা প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং দূরবর্তী কাজের সুযোগের উত্থানের সাথে। ফ্রিল্যান্সিং বিশ্বব্যাপী ব্যক্তিদের কাছে এক্সেস যোগ্য হয়ে উঠেছে। আপওয়ার্ক, ফাইবার এবং ফ্রিল্যান্সারের মত অনলাইন প্লাটফর্ম গুলি অসম্ভব ক্লায়েন্টদের সাথে ফ্রিল্যান্সারদের সুযোগ প্রক্রিয়াকে আরো সহজ করে তুলেছে। আপনিও চাইলে পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং বেছে নিতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর মূল বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি

ফ্রিল্যান্সিং এর মূল বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি? এ বিষয়গুলো হয়তো বা আপনারা অনেকেই জানেন না যে, কিভাবে কাজের সাথে যোগাযোগ করা হয়। তার একটি গতিশীল পরিবর্তনের প্রতিনিধিত্ব করে এটি ব্যক্তিদের পেশাদার জীবন ডিজাইন করার বৈচিত্র আলিঙ্গন করা এবং ব্যক্তিগত লক্ষ্য অর্জনের স্বাধীনতা প্রদান করে যাই মানসিকতার দাবি করে থাকে।


এর সূক্ষ্মতা বোঝায় এবং এর চ্যালেঞ্জগুলি সঠিকভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার মাধ্যমে যে কেউ এর সম্ভাবনার কাজে লাগতে পারে। এবং এটি গল্পসুর ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে সক্ষম হবে। এখনই ফ্রিল্যান্সিংয়ে ফুল টাইম সাধনা বা সাইড গিভ হিসেবে বিবেচনা করছেন না কেন। সম্ভব না কেন সম্ভাবনা গুলি বিশাল এবং উত্তেজনামূলক ফ্রিল্যান্সিং এর পূর্ণ বৈশিষ্ট্য গুলোর নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
  • স্বাধীনতা
  • প্রকল্প ভিত্তিক কাজ
  •  বিভিন্ন ক্লাইন্ট এর সমন্বয়ে কাজের সুযোগ
  •  সহকর সংস্থানের ব্যবস্থা নমনীয়তা স্বাধীনভাবে কাজ করে
  •  প্রায় তাদের সময়সূচী সেট করে তাদের কাজের চাপ নির্ধারণ করে
  •  এবং সরাসরি ক্লায়েন্টদের সাথে চুক্তি নিয়ে আলোচনা করে
এই স্বাধীনতা তাদের কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনে আরো কার্যকর ভাবে ভারসাম্য করতে দেয়। স্বাধীন বেশিরভাগ বিকল্প ভিত্তিক। যার অর্থ একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নির্দিষ্ট কাজ বা প্রকল্প গুলি সম্পন্ন করার জন্য ফ্রিল্যান্সারদের নিয়োগ করা হয়। বিভিন্নতা এবং নতুন দক্ষতা শেখার সুযোগের জন্য অনুমতি দেয়। ফ্রিল্যান্সাররা একই সময়ে একাধিক ক্লাইন্টের জন্য কাজ করতে পারে। যদি তারা তাদের কার্যকর ভাবে পরিচালনা করতে পারে। তাহলে এই বৈচিত্র শুধুমাত্র একটি একক আয়ের উৎসের উপর নির্ভর করে না। বরং পেশাদার বিধিকে প্রসারিত করে।

এছাড়া নিজস্ব পেশাদার হিসেবে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের নিজস্ব কর স্বাস্থ্যবীমা এবং অবসর পরিকল্পনা পরিচালনায় জন্য দায়ী তাদের অবশ্যই চালান। এবং হিসাব রক্ষকের মতো প্রশাসনিক কাজগুলি পরিচালনা করতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং করার সুবিধা

ফ্রিল্যান্সিং করার সুবিধা? ফ্রিল্যান্সিং করার অনেক সুবিধা অফার করে যা এটিকে অনেক ব্যক্তির জন্য একটি আকর্ষণীয় ক্যারিয়ার গড়তে সাহায্য করবে। কেননা ফ্রিল্যান্সারদের কাজের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকে। তারা তাদের আগ্রহ এবং দক্ষতা কাজে লাগিয়ে সদস্যপূর্ণ প্রকল্প সঠিক ভাবে বেছে নিতে পারে। তাদের হার নির্ধারণ করে এবং তাদের কাজের সময় এবং অবস্থানের বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ফ্রিল্যান্সিং কোনটি করা উচিত? এ সম্পর্কে জানতে আমাদের পোস্টটি আপনাকে সহযোগিতা করবে। বিভিন্ন ক্লাইন্টদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করার সুযোগ কাজটিকে গতিশীল এবং উত্তেজনা পূর্ণ রাখে সাহায্য করবে।

এই বৈচিত্রটি ফ্রিল্যান্সারদের একটি বৈচিত্রময় দক্ষতা সেট তৈরি করে এবং পেশাদার নেটওয়ার্ক প্রসারিত করতে দেয়। শুধু তাই নয় ফ্রিল্যান্সিং ব্যক্তিদের একটি সময়সূচি তৈরি করতে সক্ষম করে। যা তাদের ব্যক্তিগত এবং পেশাগত চাহিদা পূরণ করে। বিশেষ করে তাদের পারিবারিক দায়িত্ব এবং অন্যান্য প্রতিশ্রুতি রয়েছে তাদের জন্য মূল্যবান। ফ্রিল্যান্সিং ক্ষমতা শিখান এবং অভিযোজন কে উৎসাহিত করে। ফ্রিল্যান্সারের নতুন প্রকল্প গ্রহণ করার সাথে সাথে তারা মূল্যবান অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সক্ষম হয়। এবং শিল্প প্রবণতার সাথে আপডেট থাকে।

ছাত্রজীবনে ফ্রিল্যান্সিং করার গুরুত্বপূর্ণ দিক

ছাত্রজীবনে ফ্রিল্যান্সিং করার গুরুত্বপূর্ণ দিক? ছাত্রজীবনে ফ্রিল্যান্সিংকে কখনোই ফুল টাইম হিসেবে নেওয়া উচিত নয়। আর ফুল টাইম নেওয়া সম্ভব না কারণ আপনাকে অবশ্যই লেখাপড়ার প্রতি সময় দিতে হবে। এজন্য পড়ার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিংকে পার্ট টাইম হিসেবে নিতে হবে তাহলে উন্নতি সম্ভব।


যখন লেখাপড়ার চাপ একটু কম থাকে। তখন আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ে ভালোভাবে সময় দিয়ে কাজ করতে পারেন। যেহেতু আপনি দুই কাজ একসাথে করবেন। সেহেতু আপনাকে সব দিক ঠিকঠাক রেখে ভালোভাবে কাজ করার চেষ্টা করতে হবে। মোটকথা হলো আপনি যদি যথেষ্ট ধৈর্য এবং পরিশ্রমের সাথে কাজগুলো করতে থাকবেন। তবে অবশ্যই আপনি লেখাপড়ার পাশাপাশি আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে সফলতা অর্জন করতে পারবেন। " ইনশাআল্লাহ "

আমাদের আশেপাশে এমন অনেক নজির রয়েছে, যে অনেকেই তার পড়া লেখার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করছে। আপনিও চাইলে ফ্রিল্যান্সিংকে আপনার ক্যারিয়ার হিসেবে তৈরি করতে করে নিতে পারেন। তবে আপনি লেখাপড়ার পাশাপাশি করবেন সেহেতু আপনাকে যথেষ্ট লক্ষ্য রাখতে হবে। যাতে আপনার পড়াশোনা ঠিক থাকে। আপনি যদি লেখাপড়া নিয়ে খুব সিরিয়াস হন, তাহলে লেখাপড়ার ক্ষেত্রে চিন্তাভাবনা করে মাঠে নামুন। কেননা পরবর্তীতে পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং এ সময় দিতে আপনাকে হিমশিম খাওয়া লাগতে পারে। এজন্য যাই করেন না কেন, ভাল করে জেনে বুঝে তবে লেখাপড়ার পাশাপাশি শুরু করুন। তা না হলে আপনি যদি কোন কারণে দুটোর সময় দিতে গিয়ে দুই কূল হারিয়ে ফেলেন। তাহলে কিন্তু ভবিষ্যতে আপনাকে ভুগতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিংয়ের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে কেন

 ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে কেন? কেন ফ্রিল্যান্সিংয়ের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে সে সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। ফ্রিল্যান্সিং এর উত্থান বিভিন্ন কারণের জন্য দায়ী করা যেতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি কর্মক্ষেত্রের গতিশীলতা পরিবর্তন এবং কাজের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা। ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয়কারী হিসেবে ফুটে উঠেছে।ইন্টারনেট লাইন ভিত্তিক সরঞ্জাম এবং যোগাযোগ প্লাটফর্ম গুলি ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বিশ্বব্যাপী ক্লায়েন্টদের সাথে সহযোগিতা করার সুযোগ করে তুলেছে। এই সরঞ্জাম গুলি বিরামহীন পরবর্তী কাজ সক্ষম করে। এবং ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সুযোগগুলি প্রসারিত করে। 

অনেক ব্যক্তি তাদের কাজের জীবনে আরও বেশি নমনীয়তা খোঁজে। পরিবারের সাথে আরও বেশি সময় কাটাতে, ব্যক্তিগত স্বার্থ অনুসরণ করতে এবং ঐতিহ্যগত সীমাবদ্ধতা এড়াতে পারে কোম্পানি নির্দিষ্ট প্রকল্পের জন্য ফ্রিল্যান্সারদের দিকে ঝুঁকে পড়েছে অবিরাম। কারণ এই পদ্ধতির ফলে তারা খরচ কমাতে এবং দীর্ঘমেয়াদি কর্মসংস্থানে চুক্তিতে প্রতিশ্রুতি ছাড়াই ব্যবসায় বিশেষ দক্ষতা প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে। ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলি ব্যবসা গুলিকে বিশ্বব্যাপী দক্ষ পেশাদারদের সাথে সংযোগ করতে সক্ষম করে।

একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস

একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস? একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাক। একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য তো আপনাকে যে কাজটি করতে হবে। সেটি হচ্ছে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। কেননা ধৈর্য ধরা ছাড়া কখনো সফলতা অর্জন করা যায় না এছাড়া ও ধৈর্যের পাশাপাশি আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করে কাজ করে যেতে হবে। প্ল্যাটফর্ম গুলির মাধ্যমে আপনার দক্ষতা এবং অতীতের কাজ করে অভিজ্ঞতা বুঝতে সাহায্য করে।


ফ্রিল্যান্সিং একটি চুক্তিভিত্তিক পেশা। যেখানে কোন সংস্থান নিয়োগের পরিবর্তে বিক্রেতার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে বেশ কয়েকটি ক্লাইন্টকে পরিষেবা প্রদানের সক্ষম হয়। সহজ কথায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোনো কাজ করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে। অনেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেকে একজন মুক্ত চাকরিজীবী ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন। কম্পিউটার, স্মার্টফোন, ইন্টারনেট সংযোগ আছে তারা যথাযথ দক্ষ হয়ে কাজ করতে পারেন। সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। এ সকল নিয়ম মেনে চললে সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়া সম্ভব।

ফ্রিল্যান্সিং একটু কম বয়স থেকে শুরু করা ভালো। কারণ পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং এই দুইটা নিয়ে আপনি কাজ করতে পারবেন। আপনাকে যেহেতু দুটো কাজ সমান্তরাল ভাবে করতে হবে। যেমন পড়াশোনা করা এবং অনলাইনে কাজ শেখা দুটো কাজই আপনি সমানভাবে ধৈর্য সহকারে করতে পারবেন প্রথম থেকে।

  • প্রথমে আপনাকে ইন্টারনেট সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা রাখতে হবে। তারপর আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে কোন বিষয়টি নিয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান মানে আপনি কোন বিষয়ের উপর কাজ করতেন ভালো লাগে এবং পারদর্শী। যেমনঃ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনস, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কন্টেন রাইটিং, ডিজিটাল মার্কেটে সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে হবে আপনাকে।
  • আপনি Sco নিয়ে কাজ করলে, ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে খুব ভালোভাবে সঠিক ধারণা নিতে হবে আপনাকে Sco সম্পর্কে।
  • প্রাথমিক ধারণা লাভের জন্য আপনি গুগল ও ইউটিউবে খোঁজ করুন। পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং কমিউনিটি, যেমনঃ আপ ওয়ার্ক বাংলাদেশ, ফ্রিল্যান্সিং বাংলাদেশ, টেক ফোরাম, ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে যুক্ত থাকতে পারেন।
  • কাজ শেখার পর স্থানীয় কিছু সহজ কাজ করে আপনি পোর্ট ফোলিও করতে পারেন।

  • পাশাপাশি আপনি মার্কেটপ্লেস যেমন upwork, ফ্রিল্যান্সাং বা ফাইবারের মতো প্লাটফর্মে নিজের প্রোফাইল তৈরি করুন

শুধু তাই নয় আপনার উদ্দেশ্য গুলি সংজ্ঞায়িত করুন, স্থিতিশীলতা অর্জন করে, একটি নির্দিষ্ট কাজ করা এবং একটি নমনীয় সময়সূচি বজায় রাখা স্পষ্ট লক্ষ্য গুলি আপনার সিদ্ধান্তগুলোকে গাইড করবে এবং আপনাকে নিয়ে যেতে পারে উন্নতির এক চরম পর্যায়ে।

লেখক এর মন্তব্যঃ পড়াশোনা পাশাপাশি চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং কোনটি করা উচিত

পড়াশোনা পাশাপাশি চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং কোনটি করা উচিত? আপনি যাই করুন না কেন, পড়াশোনা ঠিক রেখে তারপর কাজ করতে হবে। শিক্ষার মূল্য চিরদিনই থাকবে। আপনি চাইলে ফ্রী টাইম আপনি কাজ শিখতে পারেন। ও এর পাশাপাশি ইংরেজি দক্ষতা বাড়াতে পারবেন। পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং কোনটি করা উচিত এই সম্পর্কে জানতে আমাদের এই পোস্টটি আপনাকে বিশেষভাবে সহযোগিতা করবে। কেননা চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং কোনটি করা উচিত সে সম্পর্কে আমরা আপনাদের মাঝে বিস্তারিত ভাবে উপস্থাপন করেছি।

 আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি যদি কোন ধরনের উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আমাদের এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। পড়াশোনার পাশাপাশি চাকুরী নাকি ফ্রিল্যান্সিং কোনটি করা উচিত। আশা করি এই বিষয়টি সম্পর্কে আপনার আর বুঝতে বাকি রইল না। আমাদের আর্টিকেল লেখায় যদি কোন ভুল ত্রুটি থেকে থাকে। তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে আমরা সংশোধন করার চেষ্টা করব। এতক্ষণ ধরে ধৈর্য সহকারে আমাদের পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।💗

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url