গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার ১৫টি উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
Jakia parvin jui
৩০ ডিসে, ২০২৪
প্রচুর পুষ্টিগুনে ভরপুর বিটরুট। এটি এক ধরনের সবজি জাতীয় ফল। আমাদের দেশে
বিটরুট ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কোষ্ঠকাঠিন্য, ওজন কমানো, শর্করার মাত্রা
নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়া অতি
আবশ্যকীয়।
গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার ১৫টি উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের আর্টিকেলে মধ্যে তুলে
ধরা হয়েছে। এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন বিটরুটের সকল গুনাগুন,
পুষ্টিগুণ উপকারিতা সম্পর্কে। আসুন তাহলে আর্টিকেলটি পড়ে বিটরুট সম্পর্কে
সঠিক তথ্য জেনে নি।
বিটরুট একটি পুষ্টিকর সবজি। আমাদের দেশে বিটরুটের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
পুষ্টিগুণের ভরপুর বিটরুট গর্ভাবস্থায় মায়ের খাদ্য তালিকার রাখা প্রয়োজন।
বিটরুট পুষ্টিগুণের পরিমাণ এত বেশি থাকে যে গর্ভাবস্থায় খাবার জন্য এই সবজির
চাহিদা ব্যাপক রয়েছে। বিটরুটে যে পরিমাণ ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে। তা গর্ভবতী
মায়ের জন্য গর্ভের ভ্রূণকে সুস্থ রাখে। গর্ভবতী মায়ের ক্রমব্ধমান গর্ভের
ভ্রূণকে ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান প্রদান করে। আমাদের আর্টিকেলটিতে আপনারা গর্ভবতী
অবস্থায় বিটরুট উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
গর্ভাবস্থায় যদি আপনার ওজন অতিরিক্ত বেড়ে যায় সেই ওজন যদি আপনি কমাতে চান
তাহলে আপনাকে খাদ্য তালিকায় বিটরুট যোগ করা উচিত। গর্ভাবস্থায় প্রায়ই মায়েদের
অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। সেই ওজন ঠিক রাখতে হলে খাদ্য তালিকায় বিট রুট
রাখা আবশ্যকীয়। প্রতিদিন খাদ্য তালিকা তে কাচা বা রান্না করা উচিত। ওজন
কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। গর্ভাবস্থায় গর্ভবতীকালীন ওজন কমাতে
বিটরুট খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেতে সাহায্য করে বিটরুট
গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের প্রধান সমস্যা হল কোষ্ঠকাঠিন্য। গর্ভবতী মায়েদের
গর্ভাবস্থায় ব্যাপক হারে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হয়ে থাকে। শরীর ফোলা ফোলা
ভাব থেকে রক্ষা পেতে বিটরুট খাওয়া প্রয়োজন। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে
নিজে রক্ষা পেতে বা সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গর্ভবতী মাকে বিটরুট
খেতে বলা হয়। বিটরুটে রয়েছে প্রচুর পরিমানে হজম শক্তি। ভিটামিন ও খনিজের
পাশাপাশি ফাইবার রয়েছে যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এছাড়া গর্ব অবস্থায় পেট ভালো রাখতে বিটরুট সাহায্য করে থাকে।
আয়রনের ঘাটতি দূর করতে সাহায্য করে বিটরুট
ঘাটতি দূর করতে সাহায্য করে বিটরুট। বিটরুটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আইরন খনিজত ও
ভিটামিন। আয়রন থাকার কারণে গর্ভবতী মায়ের দুর্বলতা ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এবং
শরীরের ক্লান্তি দূর করতেও সাহায্য করে। বিটরুট হল আয়রনের উৎস। তাই গর্ভাবস্থায়
বিটরুট খাওয়া অতি আবশ্যকীয় গর্ভবতী মায়ের জন্য।
নিউরাল টিউবের ত্রুটি প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে বিটরুট
নিউরোল টিউবের ত্রুটি প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে বিটরুট। বিটরুটে রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে ফলিক এসিড। ফলিক এসিড থাকার কারণে গর্ভবতী মায়ের গর্ভের ব্রণের ত্রুটি
এবং বিকাশ জনিত সমস্যা ঝুঁকি গুলো দূর করতে সাহায্য করে বিটরুট। বিটরুটের
উপকারিতা গুলো এতটাই যে গর্ভবতী মায়ের গর্ভের ভ্রূণের সঠিক বিকাশ এবং বৃদ্ধিতে ও
সাহায্য করে থাকে। এছাড়া মেরুদন্ডের সমস্যা দূর করতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে।
রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে বিটরুট
বিটরুটে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন, খনিজ, আয়রন, ফলিক অ্যাসিড
ইত্যাদি। বিটরুট রক্তের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে বিশেষভাবে অবদান রাখে।
বিদ্যুৎ সাধারণত কম গ্লাইসেমিক যুক্ত হওয়ার কারণে গ্লুকুজে পরিবর্তিত
হতে বেশি সময় নিয়ে থাকে। এর ফলে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকভাবে
নিয়ন্ত্রণ থাকে বললেই চলে।
বিপাকক্রিয়ার নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে বিটরুট
বিপাকক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে বিটরুট। বিপাকক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে
বিটরুট খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। গর্ভবতী মায়েদের জন্য
গর্ভাবস্থায় ইলেকট্রোলাইটটি ভারসাম্য আনতে এবং বিপাকক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে
বিটরুট খুবই জরুরী একটি ফল। কেননা বিটরুটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম,
ভিটামিন, ফলিক অ্যাসিড, আয়রন, খনিজ ইত্যাদি। পটাশিয়াম, ভিটামিন, ফলিক এসিড,
খনিজ, আয়রন একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভ অবস্থায় রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে
ব্যাপকভাবে সাহায্য করে থাকে। এবং গর্ভাবস্থায় মা ও শিশু উভয়েরই বিটরুট খুবই
পুষ্টিকর এক ধরনের সবজি হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।
স্বাস্থ্যকর যকৃত উন্নতি করণে সাহায্য করে বিটরুট
স্বাস্থ্যকর ও স্বাস্থ্যসম্মত যকৃত উন্নতিকরণে সাহায্য করে বিটরুট। যা
স্বাস্থ্যকর যকৃত উন্নতিকরণে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে। বিটরুট আপনার যকৃত এবং
রক্তকে বিষমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। বিটরুট প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, খনিজ,
ফলিক এসিড, ভিটামিন, আয়রন ইত্যাদি থাকার কারণে এটি মায়ের জন্য
স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য। এছাড়া বিট রোড এবং বিষাক্ত পদার্থ গুলোকে এমন ভাবে সরিয়ে
ফেলে যা আপনাকে একটি স্বাস্থ্যকর গর্ভাবস্থা নিশ্চিত করতে পারে।
ভিটামিন সি সরবরাহ করে বিটরুট
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে বিটরুটে। বিটরুটে ভিটামিন সি আয়রন শোষণ করে
থাকে এবং বতী মা ও শিশুর স্বাস্থ্যকর সুস্থতা নিশ্চিত করতে কার্যকরী ভূমিকা
পালন করে।
ভ্রনের জন্মগত ত্রুটি দূর করতে সাহায্য করে বিটরুট
ব্রণের জন্মগত ত্রুটি দূর করতে সাহায্য করে বিটরুল একটি সবজি জাতীয় ফল। যা খেলে
মানবদেহের বেশিরভাগই সমস্যার সমাধান হয়ে থাকে। বিটরুটে রক্তস্বল্পতা দূর করে,
হিমোগ্লোবিনের সমস্যা দূর করে, প্রচুর পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড থাকে। ভ্রনের
বিকাশ কে প্ররোচিত করতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। মানব দেহের মেরুদন্ডের সর্বোচ্চ
বিকাশ সুনির্দিষ্ট করতে জন্মগত ত্রুটিগুলো দূর করতে বিটরুট বিশেষভাবে
ভূমিকা পালন করে থাকে।
শরীরের প্রদাহ রোধ করতে সাহায্য করে বিটরুট
বিটরুটে যে পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা শরীরের প্রদাহ রোধ করতে সাহায্য করে।
বিটরুটের মধ্যে রয়েছে এক প্রকার বিরোধী এজেন্ট। আপনি যদি বিটরুট খেয়ে
থাকেন। তাহলে বিটেন নামক এজেন্ট আপনার জয়েন্ট ব্যথা এবং ফুলে যাওয়া প্রতিরোধ
করতে সাহায্য করবে।
গর্ভাবস্থায় প্রথম মাসে বিটরুটের রস
একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য বিটরুট একটি পুষ্টিকর এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ সবজি।
একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য গর্ভাবস্থায় প্রথম মাসে বিটরুট খাওয়া প্রয়োজন। কারণ
বিটরুট রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন,আয়রন, ফলিক
অ্যাসিড এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট এর মত গুরুত্বপূর্ণ কিছু পুষ্টি উপাদান।
যা গর্ভের
শিশু এবং মাকে পুষ্টি যোগিয়ে থাকে। সুস্থ কোষের বিধিতে ত্বরান্বিত করে বিটরুট।
বিটরুটে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ থাকায় এটা গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য খুবই
উপকারী সবজি। হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে বিটরুট খাওয়া প্রয়োজন।
প্রক্রিয়াকে উন্নতি করে থাকে বিটরুট। গর্ভবতী মায়ের ভ্রনকে অক্সিজেন সরবরাহ করে
থাকে। বিটরুট খাওয়া পুষ্টিকর। আপনি যদি প্রতিনিয়ত বিটরুট কাঁচা এবং সেদ্ধ বা
রান্না করে খান রস করে পান করেন তাহলে আপনার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ হতে
সাহায্য করবে। কঠিন রোগ হওয়া থেকে মুক্তি পাবেন। গর্ভাবস্থায় কোন গর্ভবতী মা
যদি রক্তস্বল্পতায় ভুগে থাকেন তাহলে বিটরুটের রস পান করতে পারেন তাহলে
উপকার পাবেন। আপনার শরীরে যদি হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি থেকে থাকে তাহলে রক্তের
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে বিটরুট খেতে পারেন।
গর্ভ অবস্থায় প্রথম মাস থেকে বিটরুটের রস পান করলে কঠিন সমস্যা দূর হয়ে
থাকে।আপনি আপনার খাদ্য তালিকাতে নিয়মিত বিটরুট রাখতে পারেন এবং বিটরুটের রস পান
করতে পারেন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে রস খেলে অনেক উপকার পাবেন। আশা করি
গর্ভবতী মায়ের জন্য কতটা উপকারী সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। গর্ভবতী অবস্থায় মা
ও শিশুর পুষ্টি চাহিদা পূরণে বিটরুটের রসের কোন বিকল্প নেই। বিটরুট এমন একটি
সবজি। যা শরীরের হিমোগ্লোবিনের সমস্যার সমাধানে এবং রক্ত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
আয়রনের ঘাটতি দূর করে। বিটরুটে রসের উপকারিতা অনেক রয়েছে। প্রতিদিন খাবার
তালিকায় নিয়মিত বিটরুট খেতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় বিটরুট ডায়েট চাটে যোগ পারেন
গর্ভাবস্থায় বিটরুট ডায়েট চার্টে যোগ করতে পারে। গর্ভাবস্থায় বিটরুট
খাওয়া অনেক উপকারী। তাই গর্ভাবস্থায় আপনার ডায়েটের অন্যান্য সবজির সাথে
বিটরুট যোগ করতে পারেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক গর্ভবতী মায়েদের
বিটরুট খাবার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে।
বিটরুট গুড়ো হিসেবে ব্যবহার
বিটরুট গুঁড়ো করে মিহি পাউডার অথবা বিটরুট রস একত্রিত করে সেবন করতে পারেন।
বিটরুট পাউডার কিভাবে খেতে হবে সে সকল নিয়ম-কানুন গুলো আমাদের আর্টিকেলটিতে
উল্লেখ করা হয়েছে। চলুন সে পদ্ধতি গুলো জেনে নেওয়া যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহ
যে সকল উপকরণগুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে তা নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ
বিটরুট-১ টি
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে একটি বিটরুট নিতে হবে। তারপর পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে
নিতে হবে। তারপর বিটরুট স্লাইস করে কেটে নিতে হবে।
স্লাইস করা বিটরুট রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। তারপর শুকিয়ে গেলে
ব্লেন্ডারে গুঁড়ো করে নিতে হবে। বা পাটায় গুঁড়ো করে নিতে পারেন।
ব্লেন্ডার বা পাটাই গুঁড়ো করা হয়ে গেলে। পরিষ্কার কাচের বয়োমে
পুরো পাউডারটি সংরক্ষণ করুন। খেয়াল রাখবেন বৈয়ামের ভিতরে যেন বাতাস
প্রবেশ করতে না পারে। বাতাস প্রবেশ করলে বিটরুট পাউডার নষ্ট হয়ে যেতে
পারে।
গর্ভাবস্থায় আপনার দ্বিতীয় তৃতীয় মাসিকের বিটরুট খাওয়ার অনেক উপকারী ও
স্বাস্থ্যসম্মত সবজি। গর্ভবতী কালে আপনার প্রসবকে উন্নতি করার ক্ষেত্রে
প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টিগুণ উপকারী সকল ভিটামিন বিটরুট রয়েছে। তাই নিয়মিত
বিটরুট সেবন করার ফলে মা ও সন্তান উভয় ভালো থাকে সুস্থ থাকে।
বাজারে বিটরুট এর দাম কত নিয়ে থাকে
বাজারে বিটরুট এর দাম কত নিয়ে থাকে? বাজারে বিট রুটের দাম কত নিয়ে থাকে সেই
সম্পর্কে আমাদের আর্টিকেলে বিস্তারিত জানতে পারবেন। অনেক মানুষই জানেন না যে
বিটরুট কত উপকারী ফল বা সবজি। বিটরুট মানবদেহে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে
সাহায্য করে। শরীরের রক্ত উৎপন্ন করে। বিভিন্ন সমস্যা ও কঠিন রোগ থেকে মুক্তি
প্রদান করে। সবারই একটা ভুল ধারণা থাকে যে বাজারে বিটরুটের দাম অনেক।
কেননা আমাদের দেশের সব জায়গাতে বিটরুট সেভাবে পাওয়া যায় না।
বিটরুট সম্পর্কে সঠিক তথ্য না জানার কারণে এই ফলটি কেউ সেভাবে কিনেও
খায় না।আর এ কারণে স্থান ভেদে এর দাম ভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। তবে যারা
বিটরুট চাষ করে থাকেন। তাদের কাছ থেকে যদি নিতে পারেন, তবে অনেকটা
সস্তায় নিতে পারবেন। যারা বিটরুট চাষাবাদ করে তাদের কাছ থেকে এই ফলটি সংগ্রহ
করতে পারেন।আপনি যদি বিটরুট চাষীদের কাছ থেকে ক্রয় করতে পারেন। তাহলে প্রায়
২০০ থেকে ২৫০ টাকা দাম দিয়ে কিনতে পারবেন। বিভিন্ন ভাবে বিটরুট ক্রয় করা
যায়।
যেমনঃ অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে বিটরুট ক্রয় করা যায়। বাজারে গিয়েও ক্রয়
করা যায়। অনলাইনে যে সকল ব্যবসায়ী বিটরুট বিক্রয় করে থাকে। তাদের কাছ থেকে
ক্রয় করা যাবে। যদি অনলাইন থেকে বিটরুট ক্রয় করতে চান তাহলে আপনাকে প্রতি
কেজিতে ৩৮০ টাকা করে লেগে যেতে পারে। বিটরুট ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি
দরে লাগতে পারে। আশাকরি বিটরুটের দাম সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন।
গর্ভাবস্থায় বিটরুটের রসের পুষ্টি উপাদান
গর্ভাবস্থায় বিটরুটের রসের পুষ্টি উপাদান? বিটরুটের রসে খনিজ এবং পুষ্টি
উপাদান রয়েছে যা গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য অনেক উপকারী। গর্ভাবস্থায়
ডাক্তারগণ প্রতিনিয়ত খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাই ১০০ মিলিগ্রাম বিটরুটে
কি পরিমাণ পুষ্টি উপাদান থাকে সে বিষয়ে সঠিক তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন কতগুলো বিটরুট খাওয়া উচিত
গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন কতগুলো বিটরুট খাওয়া উচিত? গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন
যতগুলো বিটরুট খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে আমাদের আর্টিকেলটিতে তুলে ধরা হয়েছে।
বিটরুট পটাশিয়াম, ফলিক অ্যাসিড, আয়রন, খনিজ ইত্যাদি। গর্ভকালীন
সময়ে অতিরিক্ত বিটরুট খাওয়া ঠিক নয়। মাত্রারিক্ত কোন কিছুই স্বাস্থ্যের
জন্য ভালো নয়। বিটরুট খাবার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে পরিমাণ মেনে খেতে
হবে। পরিমাণের বেশি খাওয়া উচিত না তাহলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। কোন গর্ভবতী
মা গর্ভকালীন সময়ে দিনে এক থেকে দুইটি বিটরুট কাঁচা বা সেদ্ধ বা রান্না
করা খেতে পারবে, রস করেও খেতে পারে, সালাত করে ইত্যাদি উপায় খাওয়া যায়।
গর্ভবতী মায়ের গর্ভকালীন সময়ে দুইটার উপরে কখনোই ঠিক হবে না। এ বিষয়ে
সব সময় সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে যে, অতিরিক্ত কোন কিছুই স্বাস্থ্যের জন্য
ভালো নয়। বিটরুট প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান থাকার কারণে এ ফলটি নিয়মিত
গর্ভবতী মা খেতে পারেন। এই ফলটি সেবনের ফলে রক্তের ঘাটতি আয়রনের ঘাটতি পূরণ
হতে সক্ষম। বিশেষ করে এই ফলটি গর্ভকালীন সময়ে গর্ভবতী মায়ের সুরক্ষার জন্য
বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। গর্ভবতী মায়ের জন্য বিটরুট খুবই উপকারী।
গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার সঠিক নিয়ম
গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার সঠিক নিয়ম? গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার সঠিক
নিয়ম সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা উচিত। গর্ভকালীন মায়ের জন্য পুষ্টিকর খাবার
তালিকায় বিটরুট সবজি রাখা জরুরী। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং
অন্যান্য পুষ্টি উপাদান ব্যাপক পরিমাণে রয়েছে।
তাই ডাক্তারের পরামর্শ মতে
সর্বদা রোগীকে বা গর্ভবতী মাকে গর্ভবতী মায়ের সুস্থতা ও সন্তানের সুস্থতার
জন্য বিটরুট খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় বিটরুটের
প্রয়োজনীয়তা অতুলনীয় ও অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। বিটরুট খাওয়ার জন্য
সর্বদা ডাক্তার পরামর্শ দেয়।
আপনি দুপুরের খাবারের সাথে সালাত হিসেবে বা রান্না করে বিটরুট খেতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের জন্য এর বিকল্প নেই। এত পুষ্টিগুণে ভরপুর এই
সবজি যা আপনার সকল সমস্যার সমাধান হিসেবে মোক্ষম ভূমিকা পালন করবে।
নিয়মিত এ ফলটি খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। শরীরের রক্ত উৎপন্ন হবে
হিমোগ্লোবিন বাড়বে। গর্ভবতী মায়েরা গর্ভকালীন সময়ে বিটরুট সেবনের ফলে
অনেক উপকার পাবেন "ইনশাআল্লাহ"
শরীরে রক্তস্বল্পতার জন্য বিটরুট এর রস যেভাবে খাবেন
শরীরে রক্তস্বল্পতার জন্য বিটরুট এর রস যেভাবে খাবেন? শরীরে রক্তস্বল্পতার
জন্য বিটরুট এর রস যেভাবে খাবেন তা হল গর্ভবতী অবস্থায় কোন গর্ভবতী
মায়ের জন্য প্রধান সমস্যা হলো রক্তস্বল্পতাই ভোগা। প্রায় সব মায়ের
রক্তস্বল্পতার সমস্যা থেকে থাকে। এ রক্তস্বল্পতা দূর করার জন্য বিটরুট খেতে
পারেন। কেননা এমন একটি সবজি যার রক্তস্বল্পতা ঘাটতি পূরণ করতে ব্যাপক সাহায্য
করে। আপনি যদি এই রক্তস্বল্প থেকে বাঁচতে চান তাহলে নিয়মিত বিটরুট সেবন করতে
পারেন তাহলে উপকার পাবেন।
আপনার মনে এখন প্রশ্ন জাগতে পারে যে, বিটরুট খায় কিভাবে? বিটরুট রস কিভাবে
তৈরি করে? ইত্যাদি। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে বিটরুট খায় এবং
তৈরি করে।সাধারণত বিটরুট কাঁচা বা রান্না করে, সালাত করে, সিদ্ধ করে ইত্যাদি
উপায়ে খাওয়া যায়। আর বিটরুটের রস কিভাবে তৈরি করতে হয় সম্পর্কে আসুন
জেনে নেওয়া যাক। প্রথমে আপনি একটি বিটরুট নিবেন। বিটরুট পরিষ্কার পানি
দিয়ে ধুয়ে নেবেন। তারপর ছিলে টুকরো টুকরো করে নেবেন।
এবার টুকরো গুলো একত্রিত করে ব্লেন্ডার মেশিনে দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে
রস বের করে নেবেন। তাহলেই আপনার বিটরুটের জুস তৈরি হয়ে যাবে। এবার লেবু
বা কমলার রস একত্রিত করে খেতে পারেন তাহলে ভালো লাগবে। গর্ভবতী মেয়েদের
বেশিরভাগ চিকিৎসক বিটরুট এর রস খাওয়ার পরামর্শ প্রদান করে থাকে। আয়রনের
মাত্রা অধিক পরিমাণে বাড়তি সাহায্য করে বিটরুট। এছাড়া আরও বিভিন্ন উপায়ে
আপনি এ ফলটি খেতে পারেন। যেমনঃ রান্না করে, কাঁচা, সিদ্ধ, সালাদ,জুস
করে ইত্যাদি উপায়ে খাওয়া যায়।
তবে একটি কথা ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে যে আপনার যদি কোন বিশেষ স্বাস্থ্যগত
সমস্যা থাকে ওষুধ সেবন করতে হয় সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে
তারপরে খাবেন তাহলে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। আশা করি বুঝতে পেরেছেন আমার
কথাগুলো।
গর্ভবতী মায়েদের জন্য বিটরুট খাওয়া স্বাস্থ্যঝুঁকি
গর্ভবতী মায়েদের জন্য বিটরুট খাওয়ার স্বাস্থ্য ঝুঁকি? গর্ভবতী মায়েদের জন্য বিটরুট খাওয়ার স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। বিটরুট খাবার উপকারিতার সাথে সাথে অপকারিতা ও রয়েছে। তবে গর্ভাবস্থায় সবকিছু মেনে চলাই ভালো। গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কে জানাবো।
বিটরুটে সাধারণত বিটেন এর জন্য বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া এবং অন্যান্য সমস্যায় ভুগতে হয় গর্ভবতী মায়েদের।
বিটরুটে রয়েছে অক্সালেট যা কিডনির স্টোন পাথর সমস্যার কারণ হয়ে উঠতে পারে।
আপনি যদি গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত পরিমাণে বিটরুট খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার গলার ভোকাল কর্ডে প্যারালাইসিস এর মতো সমস্যা হতে পারে।
বিটরুট রয়েছে নাইট্রেট উপাদান। যা গর্ভকালীন সময়ে ক্লান্তি ও দুর্বলতার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অতিরিক্ত পরিমাণে বিটরুট খেলে বিটুরিয়া নামক এক রোগের সৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে আপনার প্রস্রাব এবং মলের বর্ণ লাল বর্ণ হতে পারে।
লেখক এর শেষ কথা: গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার উপকারি
গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা? গর্ভকালীন মায়েদের জন্য বিটরুট এর চাহিদা অমূল্য সম্পদের মত। কারণ এটি গর্ভকালীন মায়ের শরীর সুস্থ রাখে এবং গর্ভের শিশুরকে সুস্থ রাখে। বিটরুট খেলে বিভিন্ন পুষ্টি ও রক্ত এর মাধ্যমে পেয়ে থাকে। গর্ভকালীন সময়ে গর্ভবতী মায়ের বিটরুট খুবই জরুরী এতে সকল ঘাটতি পূরণ হবে এবং শরীরে রক্ত স্বল্পতা দূর হবে। গর্ভকালীন সময়ে গর্ভবতী মায়ের বিটরুট এজাতীয় সবজি খাওয়া গুরুত্ব অপরিসীম। পুষ্টি গুণে ভরা বিটরুট নানান উপায়ে খাওয়া যায়। এটি পটাশিয়াম,আয়রন, খনিজ ইত্যাদি পুষ্টিগুনে ভরপুর একটি সবজি।
প্রিয় পাঠক আপনারা যদি আমাদের আর্টিকেলটির মাধ্যমে উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে আর্টিকেলটি সবার মাঝে শেয়ার করে দিবেন। " আফ্রাহিম আইটির" পাশে থাকবেন ধন্যবাদ💗
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url