বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত খরচ লাগে
পেজ সূচিপত্রঃ আমেরিকা যেতে কত খরচ লাগে
- আমেরিকায় যেতে কত খরচ লাগে
- আমেরিকা ভিসার আবেদন খরচ কত
- স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকায় যেতে কত খরচ লাগে
- আমেরিকায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যেতে কত খরচ হয়
- টুরিস্ট ভিসায় আমেরিকা যাওয়ার খরচ
- আমেরিকায় মেডিকেল ভিসাই খরচ
- বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার দূরত্ব কত কিলোমিটার
- বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যেতে সময় লাগে
- বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার বিমান ভাড়া
- শেষ কথাঃ আমেরিকা যেতে কত খরচ লাগে
আমেরিকা যেতে কত খরচ লাগে
আমেরিকা যেতে কত খরচ লাগে? বাংলাদেশ বসবাসকারী আমরা প্রায় সবাই আমেরিকা যাওয়ার স্বপ্ন দেখি। কেউ সেখানে কাজ করতে যান, কেউ ভ্রমণ করতে যান, কেউ পড়াশোনা করতে আবার কেউ চিকিৎসা ও বসবাস করার জন্য যাই। কিছু করতে আমরা আমেরিকায় যেতে চাই। এছাড়া আমাদের দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার সুযোগ পেলে আমেরিকায় পাড়ি জমাতে চাই। আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে? আমেরিকার ভিসার খরচ কত?
আমেরিকা ভিসার আবেদন খরচ কত
আমেরিকা ভিসার আবেদন খরচ কত? যেহেতু ভিসার ধরন ভেদে আমেরিকা যাওয়ার সর্বোচ্চ এবং সর্ব মোট খরচের তারতম্য হয়ে থাকে। তাই কোন ভিসার জন্য আবেদন করতে কত খরচ হয় এবং আবেদন ফ্রী কত সে সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে। যেমনঃ স্টাডি ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, মেডিকেল ভিসা ইত্যাদি । ইনভেস্টমেন্ট ভিসার মত ১ থেকে ৫ পর্যন্ত ভিসা কোয়ালিটি রয়েছে।
- আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন ফি $185 ডলার, যা বাংলাদেশী টাকার প্রায় ২২ হাজার টাকার সমান।
- আমেরিকার টুরিস্ট ভিসার আবেদন ফি $185 ডলার, যা বাংলাদেশী টাকার প্রায় ২২ হাজার টাকা।
- আমেরিকার অস্থায়ী ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন ফি $205 ডলার, যা বাংলাদেশী টাকার প্রায় ২৫ হাজার টাকা।
- আমেরিকার স্থায়ী ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বা কাজের ভিসার জন্য আবেদন ফি $345 ডলার, যা বাংলাদেশী টাকার ৪২ হাজার টাকার সমান।
- আমেরিকার মেডিকেল ভিসার খরচ $185 ডলার, যা বাংলাদেশী টাকার ২২ হাজার টাকা।
- আমেরিকায় আত্মীয়ের অভিবাসী ভিসার আবেদন ফি $675 ডলার, যা বাংলাদেশের প্রায় ৮০ হাজার টাকার সমান।
- আমেরিকাতে ইনভেস্টমেন্ট বা বিনিয়োগ ভিসার জন্য আবেদন ফি $315 ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকার প্রায় ৩৮ হাজার টাকার সমান।
স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা যেতে কত খরচ লাগে
স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা যেতে কত খরচ লাগে? বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসা ইউএস যেতে হলে, আপনাকে ১৪ হাজার টাকা দিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আমেরিকাতে লেখাপড়ার খরচ অনেক ব্যয়বহুল স্কলারশিপ না পেলে ওই প্রতিষ্ঠানের এক বছরে লেখাপড়ার খরচের সমপরিমাণ অর্থ ব্যাংকে জমা করার প্রয়োজন হয়।
স্টুডেন্ট ভিসা বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যেতে সর্বনিম্ন ৫ লক্ষ টাকা থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। তবে এই ভিসা পাওয়ার জন্য আপনার একাডেমিক ফলাফল অনেক ভালো হতে হবে পাশাপাশি একটি ভালো "IELTS" স্কোর বা সমমানের ইংরেজি ভাষার বলার জানার যোগ্যতার পরীক্ষায় ভালো নম্বর থাকতে হবে।
আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যেতে কত খরচ হয়
আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যেতে কত খরচ হয় ? কাজের ভিসা কে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বলে। সরকারিভাবে অনেক সময় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া যায়। সরকারি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় আমেরিকা যেতে ৬ লক্ষ টাকা থেকে ৮ লক্ষ টাকা লাগে। তবে বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে আমেরিকায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য বেশি খরচ করতে হয়।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে কাজের ধরনের উপর ভিত্তি করে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কিছুটা কম বেশি হয়ে থাকে। তবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় এমন পেশা নির্ধারণ করতে হবে যেন যে পেশার লোক আমেরিকাতে কম কিন্তু এইসব কাজের দক্ষ কর্মীর অনেক চাহিদা রয়েছে। দক্ষ কর্মী দ্বারা দক্ষতার সাথে সে সকল কাজ করিয়ে থাকে।
ডাইভিং ভিসায় আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে
ডাইভিং ভিসা আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে? ড্রাইভিং ভিসা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার
অন্তর্ভুক্ত। মালিকানাধীন গাড়ির ড্রাইভার এর চাহিদা আমেরিকাতে অনেক বেশি
রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে লরি বা বড় ট্রাক ড্রাইভারদের একজন
দক্ষ ট্রাক ড্রাইভার আমেরিকাতে প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ১৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত
উপার্জন করতে পারে। বাংলাদেশ ড্রাইভিং ভিসায় আমেরিকা যেতে নূন্যতম ৬ লক্ষ
টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগে।
ক্লিনার ভিসায় আমেরিকা যেতে খরচ
ক্লিনার ভিসায় আমেরিকা যেতে খরচ? এ ভিসার জন্য ১৫ লক্ষ টাকা থেকে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত
খরচ হয়ে থাকে আমেরিকায় যাওয়ার জন্য। আমেরিকায় ক্লিনিং কাজের একটা ভালো চাহিদা রয়েছে তাই এ ভিসা খুব সহজেই পাওয়া যায়। ক্লিনার ভিসার মাধ্যমে ব্যক্তি
তার কর্ম খুঁজে পাই এবং মোটা অংকের টাকা আয় করে থাকে।
কোম্পানি ভিসায় আমেরিকা যেতে কত খরচ লাগে
কোম্পানি ভিসায় আমেরিকা যেতে খরচ লাগে? ভিসা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার অন্তর্ভুক্ত। সরাসরি যোগ্যতার ভিত্তিতে আমেরিকান কোম্পানিতে কাজের জন্য নির্বাচিত হলে ভিসার আবেদন খরচের পাশাপাশি বিমান ভাড়া ও অন্যান্য ছোটখাটো খরচ ছাড়া আর কোন তেমন খরচ নেই। এই খরচের পরিমাণ সর্বনিম্ন ৪ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
Linkedln সহ অনেক জব প্লাটফর্মে আমেরিকান প্রতিষ্ঠান কাজের জন্য আবেদন
করে ওই কোম্পানি কর্তৃক নির্বাচিত হলে এই ভিসা সহজেই পাওয়া সম্ভব। তবে দালাল
বা এজেন্সির মাধ্যমে কোম্পানির ভিসা নিতে ১৫ লক্ষ টাকা থেকে ৩০ লক্ষ টাকা
পর্যন্ত লেগে যায়।
টুরিস্ট ভিসায় আমেরিকা যাওয়ার খরচ
টুরিস্ট ভিসায় আমেরিকা যাওয়ার খরচ? প্রথমত, আপনাকে টুরিস্ট ভিসায় আমেরিকা যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করতে হবে। বাংলাদেশ থেকে প্রচুর মানুষ টুরিস্ট ভিসায় আমেরিকায় যায়। বাংলাদেশ থেকে প্রচুর মানুষ ট্যুরিস্ট ভিসায় আমেরিকা গিয়ে আর ফেরত না আসায় আমেরিকান সরকার এ বিষয়ে অনেক কঠোর।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url