পবিত্র রমজান মাসের ২০২৫ সালের ক্যালেন্ডার- ১৪৪৬ -এর বিস্তারিত

রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ১৪৪৬ প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে প্রয়োজন আছে । কারণ আর কিছুদিন পরে রমজান মাস আর মুসলিম পরিবারের রমজান মাসে মানে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ রহমতের মাস । তাই এই রমজান মাসের ছুটির তালিকা ১৪৪৬ সম্পর্কে জানা  প্রয়োজন ।


তবে যেহেতু মার্চ মাসে রমজান মাস পরেছে সেহেতু ইংরেজি তারিখের  ২৭শে মার্চ একদিন ছুটি রয়েছে।এই ২৬ শে মার্চ দিবাগতরাতে "শবে কদর " পালন করা হয়। তাই সরকারিভাবে ২৭ মার্চ ছুটির দিন।
তাহলে চলুন রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ১৪৪৬ সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্ট সূচিপএঃপবিএ রমজান মাসের ২০২৫ সালের ক্যালেন্ডার ১৪৪৬

পবিত্র রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ১৪৪৬


ইংরেজি তারিখ বার আরবি তারিখ
01- মার্চ - ২০২৫ শনিবার ০১-রমজান-১৪৪৬
02- মার্চ - ২০২৫ রবিবার ০২-রমজান-১৪৪৬
03- মার্চ - ২০২৫ সোমবার ০৩-রমজান-১৪৪৬
04- মার্চ - ২০২৫ মঙ্গলবার ০৪-রমজান-১৪৪৬
05- মার্চ - ২০২৫ বুধবার ০৫-রমজান-১৪৪৬
06- মার্চ - ২০২৫ বৃহস্পতিবার ০৬-রমজান-১৪৪৬
07- মার্চ - ২০২৫ শুক্রবার ০৭-রমজান-১৪৪৬
08- মার্চ - ২০২৫ শনিবার ০৮-রমজান-১৪৪৬
09- মার্চ - ২০২৫ রবিবার ০৯-রমজান-১৪৪৬
10- মার্চ - ২০২৫ সোমবার ১০-রমজান-১৪৪৬
11- মার্চ - ২০২৫ মঙ্গলবার ১১-রমজান-১৪৪৬
12- মার্চ - ২০২৫ বুধবার ১২-রমজান-১৪৪৬
13- মার্চ - ২০২৫ বৃহস্পতিবার ১৩-রমজান-১৪৪৬
14- মার্চ - ২০২৫ শুক্রবার ১৪-রমজান-১৪৪৬
15- মার্চ - ২০২৫ শনিবার ১৫-রমজান-১৪৪৬
16- মার্চ - ২০২৫ রবিবার ১৬-রমজান-১৪৪৬
17- মার্চ - ২০২৫ সোমবার ১৭-রমজান-১৪৪৬
18- মার্চ - ২০২৫ মঙ্গলবার ১৮-রমজান-১৪৪৬
19- মার্চ - ২০২৫ বুধবার ১৯-রমজান-১৪৪৬
20- মার্চ - ২০২৫ বৃহস্পতিবার ২০-রমজান-১৪৪৬
21- মার্চ - ২০২৫ শুক্রবার ২১-রমজান-১৪৪৬
22- মার্চ - ২০২৫ শনিবার ২২-রমজান ১৪৪৬
23- মার্চ - ২০২৫ রবিবার ২৩-রমজান-১৪৪৬
24- মার্চ - ২০২৫ সোমবার ২৪-রমজান-১৪৪৬
25- মার্চ - ২০২৫ মঙ্গলবার ২৫-রমজান-১৪৪৬
26- মার্চ - ২০২৫ বুধবার ২৬-রমজান-১৪৪৬-(শবে কদর)
27- মার্চ - ২০২৫ বৃহস্পতিবার ২৭-রমজান-১৪৪৬
28- মার্চ - ২০২৫ শুক্রবার ২৮-রমজান-১৪৪৬
29- মার্চ - ২০২৫ শনিবার ২৯-রমজান-১৪৪৬
30- মার্চ - ২০২৫ রবিবার ৩০-রমজান-১৪৪৬

রমজান মাসের ছুটির তালিকা ১৪৪৬

রমজান মাসের ছুটির তালিকা ১৪৪৬ রমজান মাসের কোন দিন ছুটি রয়েছে তা জানতে আপনাকে রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ১৪৪৬ লক্ষ্য করতে হবে। ২০২৫ সালের মার্চ মাসের এক তারিখে রমজান মাসের প্রথম তারিখ অর্থাৎ মার্চ মাস এর ১ তারিখ এবং  মার্চ মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত রমজান মাস ।

তবে যেহেতু মার্চ মাসে রমজান মাস পরেছে সেহেতু ইংরেজি তারিখের  ২৭শে মার্চ একদিন ছুটি রয়েছে। এই ২৬ শে মার্চ দিবাগতরাতে "শবে কদর " পালন করা হয়। তাই সরকারিভাবে ২৭ মার্চ ছুটির দিন।

পবিত্র রমজানের ৩০ দিনের তালিকা

পবিত্র রমজান মাস আর মুসলিম পরিবারের রমজান মাসে মানে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ রহমতের মাস । এ মাসে ৩০ দিনকে আবার ৩ ভাগে ভাগ করা হয়েছে।যথাঃ
রহমতের ১০ দিন ঃ ০১-মার্চ -২০২৫  থেকে শুরু ১০- মার্চ -২০২৫ পর্যন্ত ।
মাগফিরাতের ১০ দিনঃ ১১- মার্চ -২০২৫ থেকে শুরু ২০-মার্চ -২০২৫ পর্যন্ত ।
নাজাতের ১০ দিনঃ ২১- মার্চ -২০২৫ থেকে শুরু ৩০- মার্চ -২০২৫ পর্যন্ত ।

রমজান মাসের রোজার নিয়ত সম্পর্কিত মাসআলা বিস্তারিত  উল্লেখ 

রমজান মাসের রোজার নিয়ত সম্পর্কিত মাসআলা গুলোর মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে যা হয়তো আমাদের মধ্যে অনেকেরই জানা আবার অনেকেরই অজানা। রমজান শরীফের রোজার নিয়ত যেই দিন রোজা সেই দিনের পূর্ব রাতে আপনি যদি নিয়ত করে নিন তাতেও ফরজ আদায় হয়ে যাবে। ভোরের পূর্ব পর্যন্ত রোজা রাখার ইচ্ছা ছিল না, এমনকি ভোর হওয়ার পরও রোজা রাখার কোন ইচ্ছা ছিল না।

কিন্তু দিনের কিছু অংশ যাওয়ার পর ভাবলেন, আল্লাহর একটি ফরজ লংঘন  করা উচিত নয়। এভাবে  সেই দিন তার রোজার নিয়ত করলেন । এতেও রোজা শুদ্ধ হবে। রমজানে রোজার জন্য আজ আমি রোজা আছি শুধু এতোটুকু নিয়ত করলেও রোজা আদায় হবে। আর যদি পরবর্তী রাতেও এই নিয়ত করে রাখেন যে আমি আগামী দিন রোজা রাখব তবুও শুদ্ধ হবে ।

যেসব কাজে রোজা ভঙ্গ হয় না

যেসব কাজে রোজা ভঙ্গ হয় না সেই সমস্ত বিষয়গুলো নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ

  •  রোজা রাখা অবস্থায় ভুলবশত কোন কিছু পানাহার করে ফেললে তবে রোজার কথা মনে পড়লে মুখে যা আছে সব ফেলে দিতে হবে । তাহলে রোজা ভঙ্গ হবে না ।
  • গায়ে তেল মালিশ করলে রোজা ভঙ্গ হবে না 
  • মুখে থুতু গিলে খেলে রোজা ভঙ্গ হবে না  
  • সামান্য পরিমাণ বমি হলেও রোজা ভঙ্গ হবে না 
  • নাকে কিংবা কানের মধ্যে পানি ঢুকলে রোজা ভঙ্গ হবে না 
  • আতর, আগরবাতি প্রভৃতির সুভাষ গ্রহণ করলে রোজা ভঙ্গ হবে না
  •  স্বপ্নদোষ হলেও রোজা ভঙ্গ হবে না
  •  চোখের মধ্যে সুরমা লাগলেও রোজা ভঙ্গ হবে না

রমজান মাসের রোজা  রাখার নিয়ত 

রমজান মাসের রোজা রাখার নিয়ত ,রমজান মাসের সেহেরি খাওয়ার পর ফজরের আযানের পূর্বে এই দোয়াটি বলে রোজার নিয়ত করতে হয়। আপনি যদি কোন কারনে সেহরি খেতে নাও ওঠেন রাতে ঘুমানোর আগে এই দোয়াটি পরে নিয়ত করে ঘুমাতে পারেন।

রমজান মাসের রোজা রাখার নিয়ত নিচে উল্লেখ করা হলোঃ

উচ্চারণঃ "নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম মিন শাহরি রামাদানাল মোবারকি ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাকবাব্বাল মিন্নি ইন্নাকা আন্তাস সামীউল আলীম" ।

বাংলা অর্থ ঃ হে আল্লাহ ! আগামীকাল পবিত্র রমজান মাসে তোমার পক্ষ হতে ফরজ রোজা রাখার নিয়ত করলাম । অতএব তুমি আমার পক্ষ হতে কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্ব স্রষ্টা ও সর্ব জ্ঞানী।

রমজান মাসের  ইফতারের দোয়া

রমজান মাসের ইফতারের দোয়া নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
উচ্চারণঃ "আল্লাহুম্মা  লাকা ছুমতু  ওয়া  আলা তাওয়াক্কালতু আলা রিজকিকা আফতারতু বি- রাহমাতিকা ইয়াআরহামার রাহিমীন "।  
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিজিক দ্বারা ইফতার করছি ।

রোজা কত শ্রেণীতে বিভক্ত

রোজা কত শ্রেণীতে  বিভক্ত বা রোজার প্রকারভেদ সম্বন্ধে আমাদের অনেকেরই জানা নেই। কোন কোন তারিখে রোজা রাখা যায়, কোন কোন সময় রোজা রাখতে হয় এই প্রসঙ্গে আমরা প্রায় সকলেই জানি কিন্তু রোজা কত শ্রেণীতে বিভক্ত এ বিষয়টি অনেকেরই অজানা। নিচে রোজার শ্রেণীবিভাগ আলোচনা করা হলোঃ

রোজার চার শ্রেণীতে বিভক্ত।যথাঃ

  •  ফরজ রোজাঃ পবিত্র রমজান মাসের পূর্ণ এক চন্দ্র মাসে রোজা এবং কাজা ও কাফফারা রোজা ফরজ রোজা। 
  • ওয়াজিব রোজাঃ নির্দিষ্ট অথবা অনির্দিষ্ট মানোতের রোজা ওয়াজিব রোজা।  
  • নফল রোজাঃ রমজান মাস ব্যতীত আর সকল মাসের ১৩-১৪ ও ১৫ তারিখ রোজা ।মহররমের ৯ এবং ১০ তারিখের রোজা এবং নিষিদ্ধ দিনগুলো ব্যতীত অন্য যেকোনো দিন আল্লাহর ওয়াস্তে রোজা রাখা নফল রোযার শ্রেণীভুক্ত।
  • মাকরূহ রোজা ঃ শুধু শুক্রবারের দিন নির্দিষ্ট করে রোজা রাখা, সারা বছর রোজা রাখা এবং কুফুরি  রোজা অথবা রোজাদার অবস্থায় কথাবার্তা একেবারে বন্ধ করে দেওয়া , তসবিহ, তাহলিল ও জিকির কিছুই না করা এ সকল রোজা মাকরূহ রোজা হিসেবে বিবেচিত। এছাড়াও ঈদুল ফিতরের দিন এবং জিলহজ্জ মাসের চাঁদের ১০-১১-১২ ও ১৩ তারিখের রোজা মাকরূহ ।

পবিত্র রমজান মাসের রোজার গুরুত্ব

 পবিত্র রমজান মাসের রোজার গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্বন্ধে ইসলাম ধর্মালম্বী মানুষেরা তো সকলেই জানি। তবে রমজান মাস সম্বন্ধে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা রয়েছে যা অনেকেরই অজানা । ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভের মধ্যে যাকাতের পরে রোজার স্থান। ইবাদত সমূহের মধ্যে রোজার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে। রোজার দ্বারা অভ্যাস অবলম্বনে দুঃখ ক্ষুধার কষ্ট অনুভবের সুযোগ হয়।

আর তা দ্বারা গরিবের প্রতি করুণা এবং দয়া-মমতা সৃষ্টি হয়। দানশীলতা ও উপকার করার আগ্রহ সৃষ্টি হয় । আল্লাহর প্রতি ভয়-ভীতির সৃষ্টি হয়। তাছাড়াও রোজাদার মানুষের সংযম , ধৈর্য,  গুণ এবং স্বাস্থ্যগত উপকার সাধিত হয়।

রোজাদার মানুষ কর্মী ,সহনশীল , নিয়মানুবর্তিতা ও পরিশ্রমী হতে সুযোগ লাভ করে।

পবিত্র রমজান মাসের রোজা ভঙ্গের কারণসমূহ

যে  সকল কারনে পবিত্র রমজান মাসের রোজা  ভঙ্গ হয়ে যায়। সে সকল  কারণ সম্মুহ নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ 

  • রোজা অবস্থায় মুখ ভরে বমি হলে রোজা ভেঙ্গে যায়।
  • ভুলবশত পানাহার করে ফেললে পরে মনে পড়ার পরও পানাহার করলে রোজা ভেঙে যায় ।
  •  অচেতন অবস্থায় পানাহার  করলে রোজা ভেঙে যায়।
  • ইচ্ছাকৃত ভাবে ওষুধ সেবন করলে রোজা ভেঙে যায়।
  • দাঁত হতে বুট বা তার বড় কোন জিনিস বের হলে করে গিলে ফেললে রোজা ভেঙে যায়।
  • কুলি করার সময় গলার ভিতরে পানি চলে গেলে রোজা ভেঙে যায়।
  • থুথুর সাথে অর্ধেকের বেশি রক্ত গিলে ফেললে রোজা ভেঙে যায়।
  •  মুখের থুথু বের করে পুনরায় তা গিলে ফেললে রোজা ভেঙে যায়।
  • নাকের সাহায্যে কোন কিছু টেনে নিলে রোজা ভেঙে যায়।
  • রাত আছে মনে করে প্রভাতে সেহেরী করলে রোজা ভেঙে যায়।

 রমজানের রোজার বিবরণী সম্বন্ধে

রমজানের রোজার বিবরণী সম্বন্ধে আমরা বিভিন্ন ইসলামিক বই পড়ে এ সম্বন্ধে জ্ঞান অর্জন করে থাকি। সাওম আরবি শব্দ । আর রোজা ফার্সি শব্দ। সাওম  শব্দের অর্থ বিরত থাকা ,আত্মসংযোগ ও কঠোর সাধনা। আর রোজা শব্দের অর্থ জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া । তাই এই মাসটিকে  সাওম ও রোজা নামকরণ করা হয়েছে।

শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে রোজা হচ্ছে মহান আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নিয়তের সাথে সুবহে সাদেক হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আহার পানাহার ও স্ত্রীর সহবাস থেকে বিরত থাকা। এ রোজা হচ্ছে ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভের মধ্যে চতুর্থ । মানবজাতির জগতের উন্নতি সাধন এবং মহান আল্লাহর প্রশিক্ষণ গ্রহণের নির্মিত রোজার বিধান প্রবর্তন করা হয়েছে।

রমজান মাসের ফজিলত সমূহ

রমজান মাসের ফজিলত ও তাৎপর্য সম্বন্ধে বলে শেষ করা সম্ভব নয় । আল্লাহ তাআলা কুরআন শরীফে বলেনঃ রমজান এমন এক মহিমা ময় ও গৌরব এর  মাস যে মাসে আল্লাহ তাআলা পাক কালাম কোরআন মাজিদ অবতীর্ণ হয়েছে। আসমানী কিতাব সমূহের সর্বশেষ কিতাব বিশ্ব মানবতার সর্বশ্রেষ্ঠ মুক্তি সনদ সর্ব যুগের সর্ব দেশের পবিত্র কিতাব "আল কোরআন"  রমজান মাসের নাযিল করা হয়েছে।এটা রমজান মাসের বিশেষ ফজিলতের কথা প্রমাণ করে। রমজান মাসের কোরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে।


এই কথাটির তাৎপর্য হয়েছে এই যে এই মাসের সমগ্র কোরআন মাজীদকে লওহে মাহফুজ হতে প্রথম
আসমানে হযরত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে অহিরূপে প্রেরণ করা হয় ।এভাবে ২৩ বছরের ৩০ সিপারা কোরআন হযরত ( সাঃ ) এর ওপর নাযিল হয়।

রোজা কার উপর ফরজ

রোজা কারো উপর ফরজ এর সম্বন্ধে আমরা সকলেই কম বেশি জানি। বালিক মুসলিম নর-নারীর উপর রমজান মাসের রোজা রাখা ফরজ । নাবালিকের উপর রোজা ফরজ নয়। জ্ঞানশূন্য অর্থাৎ পাগল ব্যক্তিদের ওপর রোজা ফরজ নয় । 

মোট কথা রোজার ফরজ হওয়ার তিনটি শর্ত। যেমন ঃ

  •  বালেগ হওয়া
  • মুসলমান হওয়া ।
  • আকুল অর্থাৎ চেতনা বহাল থাকা।

আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকার কারণে রমজান শরীফের চাঁদ দেখা গেল না। কিন্তু কোন একজন দ্বীনদার পরহেজগার সত্যবাদীর লোক নিজ চোখে চাঁদ দেখেছে বলে সাক্ষী দিলে চাঁদ ওঠা প্রমাণিত হবে। কিন্তু ঈদের চাঁদের বেলায় এই হুকুম প্রযোজ্য নয়। অর্থাৎ ২৯ এর রমজান তারিখে মেঘের দরুন ঈদের চাঁদ দেখা না গেলে শুধু ঐরূপ একজন লোকের সাক্ষীতে রোজা ভঙ্গ করা চলবে না । বরং ঐরকম দুইজন বিশ্বাসী পুরুষ অথবা একজন পুরুষ ও দুইজন স্ত্রী লোকের সাক্ষী প্রযোজ্য হবে । পুরুষ ছাড়া শুধু স্ত্রীর লোক চারজন হলেও তার কথার বিশ্বাস করা যাবে না।

রমজান মাসের ইবাদত

রমজান মাসের ইবাদত ও ফজিলত সম্বন্ধে বহু হাদিসে এবং বিশেষ করে আল কুরআনের রমজান মাসের ইবাদত ও ফজিলত সম্বন্ধে বহু বর্ণনা খুজে পাওয়া যায়। পবিত্র রমজান মাস আরবি মাস এ বছরের নবম তম মাস এবং মর্যাদার দিক দিয়ে পবিত্র রমজান মাস বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ মাস । এই মাসে ইবাদতের ৭০ গুণ বেশি সওয়াব লাভ করা যায়। পবিত্র রমজান মাসের ফজিলত সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে এবং হাদিসে অসংখ্য বর্ণনা পাওয়া যায়।

পবিত্র রোজার মাকরুহ সমূহ

রোজার মাকরূহ সম্মূহ সম্বন্ধে নিচে আলোচনা করা হলোঃ

  • রোজা পালন অবস্থায় মিথ্যা বললে বা গীবত করলে রোজা মাকরুহু হয়ে যায়।
  • মন্দ বা খারাপ বাক্য উচ্চারণ করলে রোজা মাকরুহ হয়ে যায়।
  • রোজা রেখে একেবারে চুপ করে বসে থাকলে রোজা মাকরুহ হয়ে যায়।
  •  অন্য স্ত্রী বা যে কোন মহিলার প্রতি কুদৃষ্টি দিলে রোজা মাকরুহ  হয়ে যায় ।
  • ভেজা কাপড় শরীরে জড়িয়ে রাখলে রোজা মাকরুহ হয়ে যায় ।

 রমজানের রোজার সুন্নত সমূহ

 রমজানের রোজার সুন্নত সমূহ নিচে তুলে ধরা হল ঃ

  • সর্বদা ভালো কাজ করা।
  • গরিবদেরকে , এতিম বাচ্চাদের ও মসজিদ মাদ্রাসায় দান করা।
  • সময়মতো ইফতার করা।
  • পবিত্র রমজান মাসের মধ্যে ইত্তেকাফ করা।
  • তারাবির নামাজে পবিত্র কুরআন শরীফ খতম করা অথবা শোনা।
  • আল কোরআন তেলুয়াত করা।
  • বেশি বেশি তসবিহ তেলুয়াত করা।

শেষ কথা 

উপরে উক্ত আর্টিকেল আজ আপনাদের সাথে আলোচনার মুখ্য বিষয় ছিল রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ১৪৪৬ সম্বন্ধে । এছাড়াও আপনাদের সাথে আলোচনা করছি রমজান মাসের রোজার নিয়ত সম্পর্কিত মাসআলা কি কি এবং রমজান মাসের রোজার নিয়ত কি এবং কোন সময় নিয়ত করলে কি হয় এবং যেসব কাজের রোজা ভঙ্গ হয় না এসব সমস্ত বিষয় সম্বন্ধে আশা করি অনেক উপকৃত হবেন।

আজকের আর্টিকেলটি পরে আপনি কতটুকু উপকৃত হয়েছেন এবং রমজান মাসের কোন কোন বিষয়গুলি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে তা আপনার নিকটস্থ বন্ধুদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করবেন। এমনই গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষনীয় আর্টিকেল প্রতিদিন পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন । আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য "ধন্যবাদ"

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url